ঢাকায় থাকি

বিশ্ব সাহিত্য

  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
Menu
ঢাকায় থাকি
  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
ঢাকায় থাকি

০৮. আবার সাবধানী পর্যবেক্ষণ

নিজের ঘরে এসে আবার সাবধানী পর্যবেক্ষণ সারল বন্ড। তারপরে যথারীতি শাওয়ারবাথ, এবং শয্যায় টান হয়ে শোওয়া। চিন্তার পর্দায় ছবি উঠছে—ম্যাথুস, লিটার আর মিস লিন্ড। কার কী ভূমিকা, সেটা বোঝা যাবে ঠিক সময়েই।

এখন নটা কুড়ি। ল্য শিফের সঙ্গে লড়াই তো আরম্ভ হয়ে গেছে।

পোশাক পরতে পরতে আয়নায় নিজের চেহারাটাও ভালো করে দেখল বন্ড। ডানগালের কাটা দাগটার জন্য মুখটা একটু ভিলেন টাইপের হয়ে গেছে বটে, কিন্তু সব মিলিয়ে চেহারাটা বেশ আকর্ষণীয় আছে।

হিপ পকেটে সিগারেট কেস নিয়ে সে আবার পরীক্ষা করল লাইটারে গ্যাস আছে কিনা। পকেটে এক বান্ডিল দশ হাজারর নোট, তারপর সেফটি ক্যাচ লাগিয়ে লোডেড ২৫ অটোমেটিক রিভলবারটাও নিল। গায়ে চড়াল একটা প্রিন্টেড জ্যাকেট।

হঠাৎ লিফট খোলার শব্দ।

–গুড ইভিনিং।

মিস লিন্ড! বন্ড সামান্য উত্তেজিত। মিস লিন্ড লিফটের কাছেই দাঁড়িয়ে। কালো ভেলভেটের ড্রেস, গলায় সরু হিরের নেকলেস। বুকের কাছটা V শেপে কাটা, সেখানেই লকেটটা।

–বাঃ, ইউ আর লুকিং ফাইন।

সোজাসুজি বন্ডের হাত ধরে মিস লিন্ড বলল–চলুন আগে খেয়ে নিই। আপত্তি নেই তো?

সামান্য হাসি-ঠাট্টা! ততক্ষণের খাদ্যের সঙ্গে সামান্য পানীয়ও এসে গেছে। এই রেস্টুরেন্টের একটা অংশ জাহাজের মতো বাগানের দিকে ঢুকে গেছে। এই জায়গাটা বেশ জাঁকজমকপূর্ণ।

মিস লিন্ড অবশ্য তার পছন্দমতো পানীয়ের অর্ডার দিল।

বন্ড বলল— আজকে আপনার পোশাক মুগ্ধ করার মতো। এবার আপনার নামটা বলুন।

–ভেসপার। ভেসপার লিন্ড! আমার জন্ম এক ঝড়ের সন্ধ্যায়। তাই নিজের নামের তাৎপর্য। ব্যাখ্যা করতে হয় অনেক সময়। নামটা কারুর ভালো লাগে, কারুর লাগে না।

–আমার ভালো লেগেছে।

কিছু হালকা সুন্দর কথাবার্তা।

বন্ড বলল— এবার খাবারের অর্ডার দিই?

-হ্যাঁ, লাখোপতির উপযুক্ত আইটেম চাই।

–বুঝিয়ে দিন।

–যেমন, ক্যাভিয়ার দিয়ে শুরু হোক। তারপর গ্রিলড় রোভোন দ্য ভো। সঙ্গে পোম্ সুফল। তারপর ফেজ দ্য বোয়া ক্রিম! …ইস, খুব নির্লজ্জের মতো কথা বলছি। তাইনা?

–নট অ্যাট অল! তবে প্রচুর টোস্ট চাই। নইলে খাবারটা জুতসই হবে না।

এরপর আরও কিছুক্ষণ পানীয় বিশেষজ্ঞের ভূমিকা পালন করল বন্ড। টর্নেডো, সঙ্গে বার্নিস স। স্ট্রবেরি, আভাকাভো পেয়ার সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ড্রেসিং।

এরপরেই শেষ নেই। শেষরাতে দুজনেই শ্যাম্পেন খাওয়ার পরিকল্পনা করল।

বাটলারও কমতি নয়। সে সুপারিশ করল–-ব্লা দ্য ব্লা ব্রাট ১৯৪৩! বলল–এটাকেই বলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্যাম্পেন।

বন্ড বলল— অবিবাহিতদের দোষ সব কিছু খুঁচিয়ে দেখা।

–আমারও সেই অভ্যাস। তবে আমাকে বোধহয় মানায় না।

গেলাস তুলে বলল–আজ রাতে কথাবার্তা ঠিক হবে মনে হয়।

বন্ড চুপ করে শুনছে।

ভেসপার বলল–হ্যাঁ, ভালো কথা। ম্যাথুস খবর পাঠিয়েছে ওই বোমাবিস্ফোরণ সম্বন্ধে। খবরটা অদ্ভুত, গল্পের মতো।

Recent Posts

  • গাঢ় অন্ধকার নেমে এসেছে চারদিকে
  • কাজ থেকে ফিরে
  • মামলা হওয়ায়
  • বুয়েন্স আয়ার্সের পাবলিক প্রসিকিউটর
  • ডাক্তার সালভাদরের সঙ্গে

Categories

©2025 ঢাকায় থাকি | Powered by WordPress & Superb Themes