ঢাকায় থাকি

বিশ্ব সাহিত্য

  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
Menu
ঢাকায় থাকি
  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
ঢাকায় থাকি

১৭. দুর্গ

আশ্চর্য তো! বলল বেন গান, জলদস্যুদের পতাকা নয় এটা! তোমার বন্ধুরা উড়িয়েছে নিশ্চয়!

কিন্তু…জাহাজ ছেড়ে ওখানে গেল কেন ওরা?

একটা দুর্গ আছে ওখানে। নিশ্চয় জাহাজ থেকে পালিয়ে গিয়ে ওখানে আশ্রয় নিয়েছে।

তাহলে তো জাহাজটা দখলই করে নিয়েছে ডাকাতেরা!

হয় তো…

এই সময় আবার কামান গর্জে উঠল, থেমে গেল বেন গান। মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে কামানের গোলা। দুর্গের দিকে এগোতে গেলাম। হাত ধরে টেনে আমাকে থামাল সে। বনের ভেতরে গাছপালার আশ্রয়ে থাকাই এখন নিরাপদ।

গোলাগুলি থামলে আমাকে দুর্গে পৌঁছে দিয়ে পরে আসবে বলে চলে গেল বেন গান।

দুপুরে আমি জাহাজ ছেড়ে আসার পর কি কি ঘটেছে, সংক্ষেপে জানিয়ে ডাক্তারচাচাকে জিজ্ঞেস করলাম, হিসপানিওলা দখল করেই নিল তাহলে সিলভারের লোকেরা?

আমি চলে যাওয়ার পর কি কি ঘটেছে, আমাকে সংক্ষেপে জানালেন ডাক্তারচাচা।

দুজনেরই কাহিনী পরস্পরকে জানানো হলে, উঠে দাঁড়ালাম। দুর্গের ভেতরটা দেখতে লাগলাম মশালের আলোয়। পাইনের অসমান গুঁড়ি আর কান্ড পর পর সাজিয়ে তৈরি হয়েছে দুর্গ। ছাদও পাইন কাঠের তৈরি। ঝর্না থেকে সরু নালা কেটে নিয়ে আসা হয়েছে ভেতরে। পাইপের সাহায্যে এই নালা থেকে একটা বিশাল লোহার গামলায় পানি আনার ব্যবস্থা আছে। ঘরে এক কোণে একটা বিশাল চ্যাপ্টা পাথর রাখা আছে। কাঠপোড়া কয়লার স্তুপ ওতে। ফায়ারপ্লেস হিসেবে পাথরটা ব্যবহার করত ডাকাতেরা, বোঝা যাচ্ছে।

সারা রাত বাইরেই পড়ে থাকবে নাকি রেডরুথের লাশটা? এক সময় বললেন জমিদার। ওটার সত্ত্বার করা উচিত না? পাথরের ফায়ারপ্লেসের কাছ থেকে এসে দাঁড়ালাম তাদের কাছে।

নিশ্চয়ই, বললেন ডাক্তারচাচা। চল যাই, কবর দিয়ে আসি তাকে।

আঙিনার এক জায়গায় কবর খোঁড়া হল। বালি খুঁড়তে বেগ পেতে হল না মোটেও। লাশের মাথার দিকে ধরলেন ট্রেলনী, পায়ের দিকে হান্টার! জয়েসও সাহায্য করল। তিনজনে মিলে ধরাধরি করে এনে কবরে নামাল লাশ। পকেট থেকে বাইবেল বের করে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পাদ্রীর কাজ সারলেন ক্যাপ্টেন।

রেডরুথের লাশ মাটি চাপা দেয়ার পরও কয়েক মিনিট কবর ঘিরে দাঁড়িয়ে রইলাম আমরা। আঙিনার বাইরের পাইন আর ফারের জঙ্গলে জমাট অন্ধকার। মুঠো মুঠো জোনাকির আলোয় অন্ধকার যেন আরও চেপে ধরেছে বনভূমিকে। নতুন কবরটার পাশে দাঁড়িয়ে কেমন যেন গা ছম ছম করে উঠল আমার। কাঁটা দিয়ে উঠল।

দুর্গের ভেতরে, বালির ওপর বসে মশালের আলোয় নীরবে রাতের খাওয়া শেষ করলাম।

কম্বল গায়ে দিয়ে বন্দুক হাতে দুর্গের আঙিনায় বেরিয়ে এলাম আমরা। দূরে জাহাজে ডাকাতদের উন্মত্ত-মাতাল চিৎকার এত দূরেও ভেসে এল। অস্বাভাবিক নিস্তব্ধ বনভূমি।

Recent Posts

  • গাঢ় অন্ধকার নেমে এসেছে চারদিকে
  • কাজ থেকে ফিরে
  • মামলা হওয়ায়
  • বুয়েন্স আয়ার্সের পাবলিক প্রসিকিউটর
  • ডাক্তার সালভাদরের সঙ্গে

Categories

©2025 ঢাকায় থাকি | Powered by WordPress & Superb Themes