ঢাকায় থাকি

বিশ্ব সাহিত্য

  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
Menu
ঢাকায় থাকি
  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
ঢাকায় থাকি

২১. অস্ট্রেলিয়ার অতিথি

আমি একজন খ্যাতিমান এবং ধনী লেখক হয়ে গেলাম। অ্যাগনেসের সঙ্গে জীবনটা আমার হয়ে উঠল আনন্দময়।

আমাদের বিয়ের দশ বছর পূর্ণ হলো। আমি আর অ্যাগনেস বসে আছি আমাদের লণ্ডনের বাড়িতে, আগুনের পাশে। আমাদের তিন বাচ্চা খেলছে ঘরের মধ্যে। এমন সময় একজন চাকর এসে আমাকে বলল যে জনৈক অপরিচিত লোক দেখা করতে চায় আমার সঙ্গে।

লোকটা কি কোন দরকারে এসেছে? জিজ্ঞেস করলাম।

না, জবাব দিল চাকরটি। তিনি একজন বৃদ্ধ। চাষীর মত দেখতে। আমার বাচ্চারা এর মধ্যে রহস্যের গন্ধ পেল।

তাকে নিয়ে এসো, বললাম ওকে।

একজন স্বাস্থ্যবাদন পাকা চুলঅলা বুড়ো এসে দাঁড়ালেন দরজার মুখে।

এ যে মি. পেগোটি! বলে চেঁচিয়ে উঠে অ্যাগনেস ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরল তাকে।

পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পর আমরা বসলাম আগুনের পাশে। আমার বাচ্চারা চড়ে বসল তার কোলে।

আমি তো আর জোয়ান হচ্ছি না, বললেন তিনি। তাই এ তেরো বছর ধরে কেবলই ভেবেছি থুথুরে বুড়ো হয়ে যাবার আগে একবার এসে মাস্টার ডেভিকে দেখে যেতে হবে।

বললাম, এখন আমাদেরকে বলুন, বলুন সবকিছু। আমাদের বন্ধুরা সবাই কেমন আছে অস্ট্রেলিয়ায়?

প্রথম দিকে আমাদের সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে, জানালেন তিনি। এখন আমাদের ভেড়ার খামারের বেশ উন্নতি হয়েছে।

আর, এমিলি? একসাথে জিজ্ঞেস করলাম আমি এবং অ্যাগনেস।

হ্যামের মৃত্যুর খবর আমি জেনেছিলাম একজন ইংরেজের কাছে। আমি খবরটা বছরখানেক এমিলিকে জানতে দিইনি। ও জানল এক বছর পরে। কিছুদিন খুব মনমরা হয়েছিল। তবে খামারের কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে আঘাতটা সামলে ওঠে। বিয়ে করার সুযোগ অনেক এসেছে ওর কাছে। কিন্তু ও বলে, কাকা, সেসব আর হবে না। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে, রোগীর সেবা করে, আর ওর প্রিয় কাকার সেবাযত্ন করেই দিন কাটায় মেয়েটি, বললেন মি. পেগোটি।

মার্থার কি হলো? জানতে চাইলাম। একটি চমৎকার ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ওর। ছেলেটি চাষী। এবার শেষ খবরটি বলুন। মি. মিকবারের কি হলো? জিজ্ঞেস করলাম।

তিনি কয়েক বছর চাষ-আবাদ করেছেন। কিন্তু এখন তিনি আমাদের শহরের ম্যাজিস্ট্রেট। সবাই তাকে অত্যন্ত সম্মান করে।

মি. পেগোটি এক মাস থাকলেন আমাদের সাথে। অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার আগে হ্যামের কবর দেখতে ইয়ারমাউথে যেতে চাইলেন। আমাকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন। আমি কবর-ফলকে উৎকীর্ণ বাণীটি লিখে দিলাম তাকে। তিনি নিচু হয়ে এক গোছা ঘাস তুলে নিলেন কবর থেকে।

এমিলির জন্য, বললেন তিনি ঘাসগুলো পকেটে ভরে। ওকে কথা দিয়েছিলাম, মাস্টার ডেভি। গ্রেট এক্সপেকটেশানস

Recent Posts

  • গাঢ় অন্ধকার নেমে এসেছে চারদিকে
  • কাজ থেকে ফিরে
  • মামলা হওয়ায়
  • বুয়েন্স আয়ার্সের পাবলিক প্রসিকিউটর
  • ডাক্তার সালভাদরের সঙ্গে

Categories

©2025 ঢাকায় থাকি | Powered by WordPress & Superb Themes