ঢাকায় থাকি

বিশ্ব সাহিত্য

  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
Menu
ঢাকায় থাকি
  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
ঢাকায় থাকি

২২. এই সেই উত্তর মেরু-ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস

এই সেই উত্তর মেরু-ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস যা আবিষ্কারের জন্যে বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেছেন। মানব জাতির ইতিহাসে আজ এক বিশেষ স্মরণীয় দিন। অজেয়কে জয় করার স্পৃহা আদিকাল থেকেই মানুষের মাঝে লক্ষ্য করা যায়। আজ তারই এক সার্থক সাফল্যের দিন।

অভিযাত্রীরা গর্বিত; কিন্তু ক্যাপ্টেনকে হারানর শোকে সবাই মুহ্যমান। তবুও ওরা পা দিল উত্তর মেরুতে। আস্তে আস্তে এগোতে লাগল সামনের দিকে। দেখতে লাগল অগ্নৎপাতের আশ্চর্য দৃশ্য। এমন সময়ে দূর থেকে ডাকের আওয়াজ শোনা গেল। ঘেউ ঘেউ ঘেউ। মনে হচ্ছে ডাক যেন ওদেরকে ডাকছে। অভিযাত্রীরা ছুটল ডাকের আওয়াজ লক্ষ্য করে। কাছে এসে দেখল অদ্ভুত এক দৃশ্য। সারা গায়ে ইংল্যান্ডের পতাকা জড়ানো ক্যাপ্টেনের নিস্পন্দ দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। ডাক সামনে দাঁড়িয়ে।

সঙ্গে সঙ্গে ডক্টর ঝুঁকে পড়লেন ক্যাপ্টেনের দেহের উপর। হাতের কব্জি ধরে নাড়ির স্পন্দন পরীক্ষা করে দেখলেন ক্যাপ্টেনের দেহ নিষ্প্রাণ নিস্পন্দ নয়। শরীরে তাপ আছে। হৃদস্পন্দনও ঠিক আছে।

ক্যাপ্টেন বেঁচে আছেন! বলে খুশিতে চিৎকার করে উঠলেন ডক্টর। অন্যেরাও ডক্টরের সঙ্গে মিলিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ল।

ওদের আনন্দ হুল্লোড়ে ক্যাপ্টেন সাড়া দিয়ে উঠলেন! ক্ষীণ কণ্ঠে তিনি বললেন, না আমি মরিনি। আমি বেঁচে আছি। আর হ্যাঁ, আমিই প্রথম উত্তর মেরুতে পা রেখেছি।

সবাই অবাক হল ক্যাপ্টেনের কথা শুনে। জীবন যেখানে যায় যায় অবস্থা, সেখানেও তিনি মনে রেখেছেন তার অন্তরের বাসনা। উত্তর মেরুতে প্রথম পা দেবার কথা!

ক্যাপ্টেন আস্তে আস্তে বললেন তার রক্ষা পাবার কাহিনী। সমুদ্রে ছিটকে পড়ার পর স্রোতের টানে তীরে এসে আছড়ে পড়লেও বার বার ঢেউ তাঁকে একবার টেনে নিয়ে গেছে জলে আবার আছড়ে ফেলেছে তীরে। ক্যাপ্টেনের কোন শক্তিই ছিল না কোন কিছু আঁকড়ে ধরে উঠে পড়ার। ঠিক যেন লোনা জলের ফেনা ঢেউয়ের সঙ্গে আসছে আবার চলে যাচ্ছে। বেশ কয়েকবার এরকম হবার পর ঢেউ যখন তাকে আবার নিয়ে এল তীরে, তখন শরীরের সমস্ত শক্তি এক করে ধরে ফেললেন একটা পাথর। এবার আর উল্টো স্রোত তাঁকে সমুদ্রে টেনে নিতে পারল না। বহুকষ্টে এক পা দুপা করে উঠে এলেন তীরে। ঢেউয়ের নাগালের বাইরে। কিন্তু তিনি এতই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন যে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলেন ওই জায়গায়। তারপর ডাক এসে তাকে দেখতে পেয়ে সবাইকে ডেকে এনেছে।

সবারই খিদেতে পেট চোঁ চোঁ করছে। জনসন আর বেল সকালের নাস্তার সব ব্যবস্থা করে ফেলল। নাস্তা করতে যেতেই ক্যাপ্টেন নতুন গো ধরলেন। আগে মেরুবিন্দু ঠিক কোথায় সেটা বের করে নিই তারপর না হয় নাস্তা করা যাবে। ক্যাপ্টেনের কথা ফেলবার সাহস কার আছে। তার খ্যাপামির সঙ্গে এতদিনে সবাই যথেষ্ট পরিচিত হয়ে উঠেছে। সুতরাং অনিচ্ছাসত্ত্বেও যন্ত্রপাতি বের করে মাপজোক করতে লেগে গেলেন ডক্টর।

দেখা গেল, তারা যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে আর মাত্র পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড অর্থাৎ প্রায় পৌনে এক মাইল দূরে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের ভিতর মেরুবিন্দুর অবস্থান। এখান দিয়েই গিয়েছে ভূগোলকের অক্ষরেখা। সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দে হুল্লোড়ে নাস্তা সেরে ফেলল ওরা। তারপর মেরুবিন্দু আবিষ্কারের পুরো ঘটনা সংক্ষিপ্ত আকারে ক্যাপ্টেনের সইসহ একটা কাগজে লিখে উত্তরসুরি অভিযাত্রীদের জন্যে পাহাড়ের গর্তে চাপা দিয়ে রাখল।

উত্তর মেরুতে এসে অভিযাত্রীরা আজ একদিকে যেমন আনন্দিত অন্যদিকে তেমনি ব্যথাতুর। আজ তারা সবচেয়ে বড় বিজয়ের গৌরবে গৌরবান্বিত। যে জায়গা হাজার বছর ধরে মানুষের কাছে অজানা রয়ে গিয়েছিল আজ তা এদের করায়ত্ত। এরা সবাই মিলে করেছে এই অসাধ্য সাধন। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে! কিন্তু একই সঙ্গে মনে পড়ে যায় ১৭ জনের দলটির কথা। সিম্পসন তো চোখের সামনেই চলে গেল আর এক অজানার পথে। শ্যানডন আর তার সঙ্গীরা কোথায় আছে, কেমন আছে কে জানে! বিশ্বাসঘাতকতা করলেও সে-ই তো পুরো অভিযানের সব ব্যবস্থা একান্ত নিজের মনে করে করেছিল। আজ যদি সবাই একসঙ্গে থেকে বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারত তাহলে কত মজাই না হত।

Recent Posts

  • গাঢ় অন্ধকার নেমে এসেছে চারদিকে
  • কাজ থেকে ফিরে
  • মামলা হওয়ায়
  • বুয়েন্স আয়ার্সের পাবলিক প্রসিকিউটর
  • ডাক্তার সালভাদরের সঙ্গে

Categories

©2025 ঢাকায় থাকি | Powered by WordPress & Superb Themes