এস-বিভাগ মূলত কাজ করে রুশ বিরোধী বিষয়গুলো নিয়ে।
এর প্রধান-এর অফিস বাড়ি রিজেন্ট পার্কে। এখন প্রধান কাজ ল্য শিফ খতম!
ফাইল হাতে সে এগিয়ে গেল হেড অফ এস এর কাছে। ১৯৪৪ সাল থেকে সে এই কাজ করছে। এখনও বেশি বয়েস হয়নি।
এম-এর প্রাইভেট সেক্রেটারি মিস মানিপেনি সুন্দরী মহিলা। কিন্তু তার চোখ দুটি বরফ দেওয়া মাছের মত। ভাষাহীন। এস-এর চিফ মিস মানিপেনিকে একটা ফাইল দিয়ে বললেনতোমার কর্তাকে দিয়ে আমায় এই কাজটা পাশ করে দাও।
–ও. কে. স্যার!
আদেশ এল। এস-এর চিফ এম-এর হেড অব অফিসের চেম্বারে গেলেন। নীল আলো জ্বলে উঠল। অর্থাৎ জরুরি কথা হচ্ছে। এখন যেন কেউ এই ঘরে না ঢোকে।
একটু পরে কথাবার্তায় বোঝা গেল হেড অব এস বেশ খুশি। ল্য শিফকে শায়েস্তা করার জন্য আমাদের হাতে একজন যথেষ্ট যোগ্য লোক আছে।
–কে?
–০০-দের কেউ হবে মনে হয়। খুব সম্ভব ০০৭। মন্টিকার্লোতে জুয়ার আড্ডায় ভালো কাজের রেকর্ড আছে। ০০৭ আর দেরাজিয়েন বুরো মিলে ওদের ফিনিশ করে দিয়েছিল। লাভ হয়েছিল দশলক্ষ ফ্রাঁ! মন্দ নয়!
বন্ডকে হেড অফ এস্-এর রিপোর্টটা পড়তে দেওয়া হল। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে জানলা দিয়ে গাছের মাথাগুলো দেখল বন্ড। তারপর এম-এর ঘরে ঢুকে গেল।
–কাম ইন!
–থ্যাংক ইউ স্যার ফর দ্য জ! তবে জেতা নিশ্চিত কিনা বলা মুশকিল। চড়া বাজি, প্রথমেই পাঁচলাখ ফ্রাঁ লাগবে।
–টাকার অভাব হবে না। তাছাড়া, ওরাও হারতে পারে। আড়াই কোটি পাবে তুমি, প্রথমে এককোটি নাও। আশাকরি, পঞ্চাশ লাখ নিজেই খেলে রোজগার করতে পারবে। … আমার ইচ্ছে, কয়েকদিন আগে থাকতেই যাও। দোয়াজিয়েম বুরোকে বলব–ম্যাথুসকে পাঠাতে। তোমার সঙ্গে ওর বোঝাঁপড়া ভালো; NATO-র স্বার্থজড়িত। ফনটেন ব্লোতে সি. আই.এ-কে পাবে। আর কী চাই?
–ও. কে. স্যার। থ্যাংক ইউ।
–গুড লাক। …আচ্ছা, আরও দুজন লোক দেন। ক্যাসিনো রয়্যালে ওরা তোমাকে কনট্যাক্ট করবে। দক্ষ লোক।
বন্ড একাই কাজ করতে ভালোবাসে। তবু যখন দিচ্ছে, দিক।