ঢাকায় থাকি

বিশ্ব সাহিত্য

  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
Menu
ঢাকায় থাকি
  • হোম
  • ঢাকা বৃত্তান্ত
  • বিক্রয়
  • অভিজ্ঞতা
  • সেবা
  • টু-লেট
  • রিভিউ
  • ফার্স্টসেল
  • স্টকস্টাডি
  • বইমেলা
  • বিশ্ব সাহিত্য
  • আড্ডা
  • জবস
  • সাইট ব্যবহারবিধি
ঢাকায় থাকি

২১. ভেসপার রোজই নার্সিংহোমে আসত

ভেসপার রোজই নার্সিংহোমে আসত ফুল নিয়ে, বন্ডকে দেখতে।

আশ্চর্য, বন্ড খুব একটা ফুল ভালোবাসে না। তার কাছে ফুল কেমন এক মেয়েলি জিনিস! তাছাড়া, ফুল মনকে নরম করে দেয়। বন্ড নরম মন চায় না।

তাছাড়া, কাজের দিক থেকে ভেসপার লিন্ড বেশ কয়েকটা ভুল করেছে। এম-এর কাছে রিপোর্টে এখুনি সে সব লেখার খুব প্রয়োজন নেই।

ডাক্তার আশ্বাস দিয়েছেন–শরীরে বড়ো কোনো ক্ষতি হবে না। ধীবে পুরো ফিট হয়ে যাবে। তবে দুর্দান্ত ধকল গেছে, সময় লাগবে।

তবে মনটা বেশি ধাক্কা দিয়েছে। ইস্, তার পৌরুষ কেড়ে নেওয়া–ভাবা যায় না!

ভেসপারকে আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল। তাকে কাছে পাওয়ার অনেক সুযোগ এসেছিল–গাড়িতে, ভিলাতে। অবশ্য এখনও সে জানেনা, কেমন মেয়ে ভেসপার, কেমন তার মন।

রিপোর্টটা পাঠাতে হবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে।

আটদিন কেটে গেছে। এখন সকাল। রাতে ভালো ঘুম হওয়াতে শরীর-মন দুই-ই সতেজ। ভেসপার লিন্ড এল। ক্রিম রঙের ফ্রক, কালো বেল্ট।

–বাঃ, ভেসপার, বিপদে পড়ে তুমি দেখছি আরও সুন্দর হয়ে উঠেছ। কী করছ তুমি এখন? ভেসপার একটু মনমরা।

–কী আর করব! এখন আমি একা। সমুদ্রের ধারে যাই, বই পড়ি। বেশ কিছু দিন রোদে পুড়েছি, চান করেছি। এখন শুধু বালিয়াড়ির ওপর দিয়ে বেড়াতে ভালো লাগে।

বন্ড চুপ করে শুনছে।

ভেসপার বলল–ডাক্তাব বলেছেন, তুমি শিগগিরই হাঁটা-চলা করতে পারবে। তখন তোমাকে সমুদ্র পারে নিয়ে যাব। সমুদ্রে স্নান করা তোমার পক্ষে ভালো।

–আমার গা এখন ক্ষতবিক্ষত। সমুদ্রস্নানের সময় যে কেউ আমার চেহারার দশা দেখলে আঁতকে উঠবে।

বন্ড ইঙ্গিতে দেখাল। তার নিম্নাঙ্গের অবস্থা, যা চাদরে ঢাকা আছে, আরও ভয়াবহ।

ভেসপার অনুতপ্ত। সে নিজেকে দোষী মনে করছে। দু-হাতে মুখ ঢাকল সে।

বন্ড পরিস্থিতিটা হালকা করার চেষ্টা করল।

–ঠিক আছে। সেরে উঠে আমরা সমুদ্রপারে বেড়াব, স্নান করব। বেশি দেরি নেই।

এরপর অন্য কথা। ল্য শিফ খতমে লন্ডনের প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।

বন্ড জিজ্ঞেস করল–আচ্ছা ভেসপার, তোমাকে নাইট ক্লাব থেকে ওরা কীভাবে ছিনতাই করল?

–মাথাটা ঠিক ছিল না। অন্যমনস্ক অবস্থায় বাইরে আসতেই পাশের গাড়ি থেকে দুটো লোক ঝাপিয়ে পড়ল। আমি ভাবছি, পত্রবাহক ওই গাড়ির মধ্যে আছে, তাই গাড়ির দিকে এগোচ্ছিলাম। আমার স্কার্টেই আমাকে মুড়ি দিয়ে বেঁধে তুলে নিয়ে গেল। ছিঃ, গাড়িতে সিটের ওপর ফেলে আমাকে আবার বাঁধতে চাইল। আমি ব্যাগটা জানলা দিয়ে ফেলে দিলাম .. যদি কারুর চোখে পড়ে! মাথা কাজ করছিল না, যা মনে এল, তাই করলাম।

–হ্যাঁ, ব্যাগটা ছুড়ে ফেলে তুমি বুদ্ধিমতীর কাজই করেছিলে! ল্য শিফের ভিলাটায় পৌঁছে দেখেছিলাম তুমি আমার কাছে আসার চেষ্টা করছ।

–তোমায় ওরা কী করল?

–আর্ম চেয়ারে ফেলে ওরা নিজেরা মদ আর তাস নিয়ে বসে গেল। স্মার্শের লোকটা একবার ঢুকেছিল। বাইরে থেকে নানা শব্দ কানে আসছিল। কেমন একটা ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম, কিন্তু তোমার চিৎকার শুনেছিলাম একবার। স্বপ্ন কিনা জানি না।

— স্বপ্ন নয়, সত্যি।

–ইস্‌, সবই আমার জন্য!

ভেসপারকে সান্ত্বনা দিল বন্ড–থাক, ওসব কথা থাক।

–কাল আসছ তো?

–আসব।

চোখ মুছে চলে যায় ভেসপার।

Recent Posts

  • গাঢ় অন্ধকার নেমে এসেছে চারদিকে
  • কাজ থেকে ফিরে
  • মামলা হওয়ায়
  • বুয়েন্স আয়ার্সের পাবলিক প্রসিকিউটর
  • ডাক্তার সালভাদরের সঙ্গে

Categories

©2025 ঢাকায় থাকি | Powered by WordPress & Superb Themes