আরও তিনটে দিন পার হয়ে গেল।
ভেসপার একবার রয়্যালে গিয়েছিল। ফিরে এসে জানাল, ওর কতগুলো ওষুধের খুব প্রয়োজন ছিল। হঠাৎ সে খুব উল্লসিত। আসল, না নকল, কে জানে। কিন্তু বহুদিন বাদে বন্ডের সঙ্গে হাসিঠাট্টা-আদর-আহ্লাদের মধ্যে রাতটা কাটিয়ে দিল সে।
আশ্চর্য, ভোরবেলা কান্না। গমকে গমকে কান্নায় ভেঙে পড়ছে। বন্ড ব্যাপারটা ধরতে পারল না।
ভোরবেলায় চুপি চুপি নীচে গেল ভেসপার।
ফোন করতে কি? রবিবার আবার সেই চোখে পট্টি-আঁটা লোকটির আগমন।
ইতিমধ্যে কালো গাড়ি এবং লোকটার খবর জেনেছে ম্যাথুস। লোকটার নাম অ্যাডলফ গেটলার। ভাগ্য ভালো হিটলার নয়। তবে সে জার্মান নয়, সুইস। ঠিকানা, জুরিখের একটা ব্যাংক।
এখানে কী মতলবে এসেছে লোকটা। একটা ঘরও ভাড়া নিয়েছে।
ভেসপার আরও অদ্ভুত ব্যবহার করছে। যেন পাথর হয়ে গেছে। যেন বন্ডকেও চিনতে পারছে না।
বন্ড এবার বলল–ভেসপার, এভাবে চলতে পারে না। তোমার কী হয়েছে পরিষ্কার বলো।
ভেসপার চুপ।
বন্ড বলে–আমি তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু—
ভেসপারের চোখ দিয়ে জল পড়ছে।
–কীসের কষ্ট তোমার?
–আমায় একটু সময় দাও।
রাতের ডিনারে শ্যাম্পেন চাইল ভেসপার। আবার রুমাল দিয়ে চোখ মুছল।
রাতটাও সুন্দর কাটল বটে, কিন্তু ভেসপার আসল কথা বিন্দুমাত্র বলল না।