কর্মব্যস্ততার মাঝে কাটল সারাটা রাত। এক রাতে এর অর্ধেক কাজও কখনও করিনি অ্যাডমিরাল বেনুবোয়। নতুন সংসার গোছানোর মতই ক্যাপ্টেনের আদেশে হিসপানিওলার মালপত্র গোছগাছ করতে হল আমাদের। এর ওপর অতিথিদের অভ্যর্থনা আর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা যেন গোদের ওপর বিষফোড়ার মত অবস্থা করে ছাড়ল। অতিথিরা সবাই ব্রিস্টলের লোক। মি. ব্ল্যান্ডলি আর স্কয়ার ট্রেলনীর নতুন বন্ধু বান্ধব বিদায় জানাতে এসেছে। ভোরের আগে যখন কাজ শেষ হল, জাহাজ ছাড়ার প্রথম সঙ্কেত জানাল সারেঙ ভেঁপু বাজিয়ে, নোঙর তোলার জন্যে তৈরি হল মাঝিমাল্লারা, আমার সারা শরীর ভেঙে এল দারুণ ক্লান্তিতে। ঘুম জড়িয়ে এল দুচোখে, কিন্তু ডেক ছেড়ে যেতে মন চাইল না। যা কিছু দেখছি শুনছি, ওপরওলাদের নির্দেশ, নাবিকদের হাঁক ডাক, হুইসেলের তীক্ষ্ন আওয়াজ, লণ্ঠনের আলোয় জাহাজের ডেকে লোকের চলাফেরা, ইত্যাদি সবই যেমন অভিনব আমার কাছে, তেমনি চিত্তাকর্ষক।
এই সময় একজন নাবিক বলে উঠল, এই বারবিকিউ, একটা গান ধর তো, নইলে জমছে না!
পাশে দাঁড়ানো আরেকজন বলল, সেই পুরানো গানটা, যেটা গাইতাম এককালে…
ঠিকই বলেছিস। গান গাওয়া দরকার এখন, রান্নাঘর থেকে ডেকে কখন বেরিয়ে এসেছে লঙ জন, দেখিনি। তার ক্রাচের আওয়াজও শুনিনি। লোকটা চলে ছায়ার মত নিঃশব্দে। তার আরেক নাম তাহলে বারবিকিউ!
গেয়ে উঠল সিলভার। চমকে উঠলাম আমি, ভীষণভাবে। এই গান, এই সুর আমার অতি পরিচিত। সিলভার শুরু করতেই তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে কোরাস ধরল সবাইঃ মরা মানুষের সিন্দুকটায় চড়াও হল পনেরো নাবিক…। রেলিঙ ধরে দাঁড়ানো নাবিকেরা। ইয়ো হো হো কী মজা! বলার সময় রেলিঙে জোর ধাক্কা মারল। উত্তেজনা প্রকাশ পেল ওদের ভঙ্গিতে।
অ্যাডমিরাল বেনবোয় ভেসে গেল আমার কল্পনা। মনে হচ্ছে এই গায়কদের মাঝে ক্যাপ্টেন বোনসের কণ্ঠ শুনছি।
ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে আদেশ পেয়েই নোঙর তুলতে শুরু করল নাবিকেরা। বিচিত্র শব্দে ক্যাপস্টান-এ জড়াচ্ছে শিকল, পানি থেকে উঠে আসা অংশটুকু থেকে পানি গড়াচ্ছে। রেলিঙে পেট ঠেকিয়ে নিচে উঁকি দিলাম। ধীরে ধীরে নোনাপানির তলা থেকে উঠে এল তেমাথা নোঙরটা, আবছা ধূসর আলোয় মনে হল কোন দানবের বাকানো নখ উঠে আসছে আমাদের ভাগ্যকে আঁচড়ে রক্তাক্ত করে দিতে। কেমন যেন ছম ছম করে উঠল গা।
পাল খাটানো হয়ে গেল। ধীরে ধীরে পিছাতে শুরু করল হিসপানিওলা। ডকের অন্যান্য জাহাজগুলোর কাছ থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে আসছে। পুবের আকাশে ধূসর আলোর আভাস। ক্রমেই হোট হয়ে আসছে জাহাজগুলো। আর দাঁড়াতে পারছি না, কিছুতেই খোলা থাকতে চাইছে না চোখের পাতা। নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও কেবিনে গিয়ে ঢুকতে হল।
সেই দিনটা এবং তার পরের দিনও একঘেয়ে ভাবেই কেটে গেল। কোন নতুনত্ব নেই। চারদিকে কেবল পানি আর পানি। তীর থেকে যতই দূরে সরে যাচ্ছে হিসপানিওলা, পাখির সংখ্যাও কমতে লাগল। শেষ পর্যন্ত আর একটাকেও দেখা গেল।
জাহাজের পরিবেশে প্রথম নতুনত্ব আনল মেট অ্যারো। ক্যাপ্টেনের কথাই ঠিক, লোকটা মোটেও সুবিধের নয়। কাজকর্ম করতেই চায় না, খালি ফাঁকি দেয়ার তালে থাকে। নিজেকে মাঝিমাল্লাদের সমকক্ষ মনে করে, হাসি ঠাট্টা ইয়ার্কিতে মেতে ওঠে ওদের সঙ্গে। প্রায় সারাক্ষণই মদ গিলে মাতাল হয়ে থাকে। এহেন লোককে দিয়ে একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসারের কর্তব্য করানোর চেষ্টা বৃথা।
অ্যারোকে অনেক রকমে সাবধান করলেন ট্রেলনী, ছোটখাটো শাস্তিও দিলেন, কিন্তু ফল হল না। আরও বেশি উশৃঙ্খল হয়ে উঠল সে। মাতাল অবস্থায় একদিন ডেকে এসে দড়ির স্তুপ কিংবা অন্য কিছুতে হোঁচট খেয়ে পড়ে কপাল কাটল, পায়ের গোড়ালি মচকাল, দুএকজনের সঙ্গে মারপিটও বাধাল। ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে জোর করে শুইয়ে দিল নিজের বাংকে।
অ্যারোকে মদ সরবরাহ একেবারে বন্ধ করে দেবার আদেশ দিলেন ট্রেলনী, আদেশ পালনও করল সিলভার। কিন্তু কোন কাজই হল না। কোথা থেকে যেন ঠিকই মদ আসে অ্যারোর কাছে! মেটের ওপর লক্ষ্য রাখার ব্যবস্থা হল, কিন্তু রহস্যের সমাধান হল না। আগের মতই মদ খায়, মাতাল হয়ে থাকে অ্যারো, গোলমাল বাধায়। কোথায় মদ পায় সে, জিজ্ঞেস করলে কথা বলে না, শুধু হাসে। তার মাতলামিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মাঝিমাল্লারা। অ্যারোকে বেঁধে রাখার কথা ভাবলেন ট্রেলনী, কিন্তু তার দরকার হল না।
এক অন্ধকার ঝড়ের রাতে জাহাজ থেকে গায়েব হয়ে গেল মেট অ্যারো। কিন্তু এতে অবাক হল না কেউই। মাতাল অবস্থায় হয়ত খোলা ডেকে উঠে এসেছিল, রেলিঙের ধারে গিয়েছিল, ঝড়ো বাতাস উড়িয়ে নিয়ে ফেলে দিয়েছে পানিতে।
গম্ভীর মুখে বললেন ক্যাপ্টেন, আপদ গেছে। ভালই হয়েছে।
নামেমাত্র একজন ছিল এতদিন, এখন আর তা-ও রইল না, অথচ একজন মেট দরকার। কাজেই ভেবেচিন্তে সারেঙ জোব অ্যান্ডারসনকে এই পদ দেয়া হল। অবশ্য সারেঙের কাজও তাকেই করতে হবে। সাধ্যমত দায়িত্ব পালন করে গেল অ্যান্ডারসন। তাকে সাহায্য করলেন ট্রেলনী। কথায় কথায় বলে ফেলেছিলেন অ্যাডমিরাল হবেন, কিন্তু আসলে ক্যাপ্টেন হবার যোগ্যতাও তার নেই। তবে সাগরে ঘোরার অভিজ্ঞতা আছে প্রচুর। জাহাজের ছোটখাট অনেক কাজ বেশ ভালমতই চালাতে পারেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে এমনকি গার্ডের কাজ করতেও দ্বিধা করেন না।
পরিণত বয়স্ক, সাবধানী, চতুর এবং সাগর সম্পর্কে অভিজ্ঞ নাবিক ইসরায়েল হ্যান্ডস। কোন কাজের দায়িত্ব তার ওপর দিয়ে নির্ভর করা যায়। ইসরায়েলকে দারুণ পছন্দ সিলভারের, বিশ্বাসও করে খুব।
বাবুর্চি হিসেবে সিলভারের তুলনা হয় না। ধীরে ধীরে জানলাম, শুধু রান্নাই নয়, জাহাজের অনেক কাজই সে জানে। একটা পা নেই, তবু তার স্বচ্ছন্দ চলাফেরা দেখলে আশ্চর্য হতে হয়। জোর বাতাস বইলে সাগরে উথালপাতাল বড় বড় ঢেউ ওঠে, বাদামের খোসার মত দুলতে শুরু করে জাহাজটা। এই দুলুনির মাঝেই ক্রাচ বগলে চেপে ধরে খোলা ডেকে যেভাবে স্বচ্ছন্দে হাঁটে সিলভার, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
হিসপানিওলার নাবিকেরা বলে, সাধারণ মানুষ নয় বারবিকিউ। আমাদের মত অশিক্ষিতও নয়, ছেলেবেলায় ভালই লেখাপড়া শিখেছে। আর সাহস? না দেখলে বিশ্বাস করবে না, খোকা। সিংহের বিরুদ্ধেও খালি হাতে রুখে দাঁড়াতে দেখেছি ওকে!
নাবিকেরা সবাই সম্মান করে সিলভারকে। আর আমি তো ভালইবাসতে শুরু করেছি। আমাকে দারুণ স্নেহ করে সে। জোর করে আমার হাত থেকে নিয়ে ডিশটিশগুলোও ধুয়ে দেয়। হাতে কাজ না থাকলে পুরানো দিনের গল্প শোনায়। একটা পোষা তোতাপাখি আছে তার। সেটা থাকে ঝকঝকে পরিষ্কার রান্নাঘরের এক কোণে, খাঁচায়।
গল্প বলার সুযোগ পেলেই আমাকে ডাকে সিলভার, জিম, এসো, তোমাকে গল্প শোনাই। একদিন বলল, তোমাকে আমার খুব ভাল লাগে, জিম। আর ওই তোতাটাকেও ভালবাসি আমি। ওর নাম কি রেখেছি জানো? ক্যাপ্টেন ফ্লিন্ট। চমকে উঠলে? ওই জলদস্যুর নাম তাহলে তোমারও জানা। গুড, তোতাপাখিটার দিকে চেয়ে বলল সে। ক্যাপ্টেন, আমাদের অভিযান সম্পর্কে তোমার কি ধারণা?
কোন কথা থেকে কোন কথায় চলে গেছে সিলভার!
কথা বলে উঠল তোতা, পিসেস অভ এইট, পিসেস অভ এইট… বার বার এই কথাটাই আউড়ে গেল পাখিটা। খাঁচার গায়ে রুমাল ছুঁড়ে পাখিটাকে থামাল সিলভার।
আমার দিকে তাকিয়ে বলল, পাখিটার বয়েস কত হবে, জিম? দুশো হলেও অবাক হব না। এরা নাকি অমর! আমার এই তোতাটা কিন্তু অনেক দেখেছে জীবনে। অনেক হাত ঘুরে শেষে আমার সম্পত্তি হয়েছে। বিখ্যাত জলদস্যু ক্যাপ্টেন ইংল্যান্ডের সঙ্গে জাহাজে জাহাজে ঘুরেছে। মাদাগাস্কার, মালাবার, সুরিনামা, প্রভিডেন্স, পোর্তোবেলোয় গিয়েছে। ডুবে যাওয়া একটা জাহাজ তুলতে দেখেছে একবার। ভেঙে যাওয়া জাহাজটায় সাড়ে তিন লাখ মুদ্রা ছিল। মুদ্রাগুলোকে পিসেস অভ এইট বলছিল নাবিকেরা। শুনেছে, ব্যস মুখস্থ করে বসে আছে! তোতার দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করল, ক্যাপ্টেন, বারুদের গন্ধ পেয়েছ?
সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল পাখি, পালানোর জন্যে তৈরি থাক!
জন সিলভার আর তোতাটার মাঝে এই ধরনের কথাবার্তা দুর্বোধ্য ঠেকে আমার কাছে।
চমৎকার বলেছ হে, বলে পকেট থেকে চিনি বার করে খেতে দিল পাখিটাকে সিলভার। মাঝেমধ্যে খাঁচার শিক ঠোকরাতে ঠোকরাতে জঘন্য গালাগালি শুরু করে আজব পাখিটা, কোন কারণ ছাড়াই। আমি সামনে থাকলে লজ্জিত হাসি হাসে সিলভার, বদলোকের সঙ্গে সঙ্গে থেকেছে তো, গালাগালিগুলোও দিব্যি রপ্ত করে বসে আছে! হায়রে কপাল! নিজের কপালে আলতো করে চাপড় মারে বাবুর্চি। নাহ্, লোকটা নেহায়েতই ভালমানুষ, মনে হয় আমার। পাখিটার গালাগালিও অভদ্রতা মনে হচ্ছে তার কাছে।
এদিকে ক্যাপ্টেন আর জাহাজের মালিক ট্রেলনীর মাঝে একটা বিরাট ফাঁক রয়েই গেছে। এব্যাপারে অবশ্য জমিদারের কোন মাথাব্যথা নেই, তার জাহাজ ঠিকমত চললেই হল। ক্যাপ্টেনও যেচে এসে কোন কথা বলেন না মালিকের সঙ্গে। ট্রেলনী কখনও কোন কথা জিজ্ঞেস করলে, কাটা কাটা জবাব দেন ক্যাপ্টেন। রেগে যান জমিদার। থমথমে মুখে পায়চারি করতে থাকেন সাড়া ডেকে। মাঝে মাঝেই মুখ তুলে তাকান এই সময় আকাশের দিকে। বিড়বিড় করে ওঠেন কখনও, ব্যাটাকে এবার তাড়াতে হবে! অসহ্য…
প্রচন্ড ঝড় উঠল একদিন। জাহাজটা দেখতে যেমনই হোক, তার গুণের পরিচয় পাওয়া গেল এই সময়। ভয়ঙ্কর ঢেউয়ের মাঝে দোল খেল হিসপানিওলা, বাতাসের ঝাপটায় কাত হয়ে গিয়ে ডোবে ডোবে অবস্থা হল, কিন্তু ডুবল না। কোন ক্ষতিই হল না জাহাজের। সাংঘাতিক শক্ত কাঠামো।
জাহাজটা ভাল, এতদিনে স্বীকার করলেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু মালিকের বাড়াবাড়ি আরও অসহ্য হয়ে উঠছে, এটাও জানালেন। অনিশ্চিত অভিযানে চলেছে হিসপানিওলা, কবে ফিরবে ঠিক নেই। এই অবস্থায় নাবিকদের প্রচুর মদ খাওয়ার অনুমতি দেয়া একেবারেই উচিত হয়নি ট্রেলনীর, ক্যাপ্টেনের ধারণা। আর কি জমিদারী ব্যবস্থা! দুদিন যেতে না যেতেই জাহাজসুদ্ধ লোককে দামি খাবার খাওয়ানোর ঘটা। ফলমূলের ব্যাপারে তো দরাজ ব্যবস্থার অন্তই নেই। বিশাল এক পিপে আপেল রেখে দেয়া হয়েছে ডেকে। যার যখন খুশি নিয়ে খেতে পারে, সেরকম নির্দেশ আছে ট্রেলনীর।
আর সবার মত আমিও ইচ্ছে হলেই পিপে থেকে আপেল নিয়ে খাই। সেদিন আপেল খেতে গিয়েই জেনে ফেললাম, কি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে চলেছে।
স্বচ্ছন্দ গতিতে ভেসে চলেছে হিসপানিওলা। পালে জোর হাওয়া লেগেছে, চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ট্রেজার আইল্যান্ড চোখে পড়বে, আশা করছেন ক্যাপ্টেন। আমি, ডাক্তার লিভসী, স্কয়ার ট্রেলনী সবাই খুশি। নিরাপদেই গন্তব্যে পৌঁছতে যাচ্ছে আমাদের জাহাজ।
সূর্য অস্ত গেছে। ধূসর সন্ধ্যাকে গিলে খাওয়ার জন্যে যেন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে রাতের অন্ধকার। সারাটা দিন খেটেছি, পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে শরীর। সকাল সকালই শুতে যাবার ইচ্ছে। আগামী সকালে উঠেই হয়ত দেখতে পাব দ্বীপের গায়ে ভেড়ানো আছে জাহাজ। কর্মব্যস্ততা বাড়বে তখন। কাজেই আজ রাতে বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।
ডেকের ওপর দিয়ে নিজের বাংকে যাবার সময় পিপেটার ওপর চোখ পড়ল। একটা আপেল খেলে মন্দ হয় না। এগিয়ে গেলাম।
প্রায় শেষ হয়ে এসেছে আপেল। বিশাল পিপের তলায় পৌঁছে গেছে একেবারে। হাত বাড়িয়ে নাগাল পেলাম না আমি। খেতে হলে পিপের ভেতরে নামতে হবে আমাকে। ঢুকেই পড়লাম। ওখানে বসেই খেলাম একটা আপেল। তারপর তুলে নিলাম আরও একটা। এই সময় কে একজন এসে ধপ করে বসল পিপের গায়ে হেলান দিয়ে। আরও পায়ের আওয়াজ পাওয়া গেল। সব কজনই এগিয়ে এসে বসে পড়েছে পিপেটার কাছে। বেরিয়ে আসব, এমনি সময় কথা বলে উঠল সিলভার। যা বলল, শুনে চমকে গেলাম। বসে পড়লাম আবার। দুরু দুরু করতে লাগল বুক। কান পেতে শুনতে লাগলাম ওদের কথা।