যথাসময়ে জেনারেল গ্রান্ট সানফ্রান্সিসকোয় এসে নোঙর ফেললো। তখন সকাল। ফগ আমেরিকার মাটিতে পদার্পণ করেই শুনলেন নিউইয়র্কের ট্রেন সন্ধ্যার সময় ছাড়বে। তারা একটা হোটেলে গিয়ে উঠলেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হোটেলটায় কোনো জিনিশেরই অভাব ছিলো না। প্রাতরাশের পর ফিলিয়াস ফগ আউদাকে নিয়ে ইংরেজ কন্সলের আপিশে গেলেন পাসপোর্টে সই করিয়ে নিতে। পাসপার্তু বললে : শুনেছি আমেরিকার রেলপথে ঠগ-জোচ্চোর দস্যু-ডাকাতের বড়ো…
এরাউণ্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ
১১. কখনও হতাশ হতে নেই
ফিলিয়াস ফগের কুড়ি ঘণ্টা দেরি হয়ে গেলো। পাসপার্তু খুব দুঃখিত হয়ে পড়লো। ভাবতে লাগলো, আমার জন্যেই সর্বনাশ ঘটলো ফিলিয়াস ফগের। ফিক্স ফগকে বললেন : সত্যিই কি আপনার তাড়াতাড়ি যাওয়া দরকার? বিলেতের ডাক-জাহাজ ধরতে চান বুঝি? তাহলে এগারো তারিখের আগেই আপনার নিউইয়র্ক পৌঁছুনো দরকার। হ্যাঁ। ডাক-জাহাজের ওপরই আমার সর্বস্ব নির্ভর করছে। যদি এ-সব বাধা-বিপত্তি না-ঘটতো তাহলে…
১২. ভাগ্য যখন বিরূপ
আমেরিকার ডাক কুইন্স-টাউনে নামতো। একটি দ্রুতগামী ট্রেনে সেই ডাক পাঠানো হতো ডাবলিনে। ডাবলিনে ডাক নেবার জন্যে লিভারপুলগামী স্টীমার প্রস্তুতই থাকতো। ফগ হিশেব করে দেখলেন, সেই পথে গেলে নির্দিষ্ট সময়ের বারো ঘণ্টা আগেই লিভারপুল পৌঁছুনো যাবে—আর অনায়াসেই আটটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে পৌঁছুনো যাবে লণ্ডন। রাত একটার সময় আঁরিয়েতা কুইন্সটাউনে নোঙর করলো। তিলমাত্র দেরি নাকরে ফগ ট্রেনে উঠলেন,…
১৩. আউদার কথা
লণ্ডনে পৌঁছেই ফিলিয়াস ফগ সোজা বাড়ি চলে এলেন, ক্লাবে আর গেলেন না। এমনিতর সর্ব-বাজি-ধরা এক ভ্রমণে অপরের দোষে শেষমুহূর্তে হেরে-যাওয়া যে কী মর্মান্তিক তা অন্যে বুঝতে পারবে না। কিন্তু মিস্টার ফগ তখনও অবিচলিত। তার যথাসর্বস্ব তখন বারিং-এর গদিতে ছিলো—সে-টাকা এখন রিফর্ম ক্লাবের সভ্যদের। খরচপত্র বাদে তার হাতে যা-কিছু সামান্য টাকাকড়ি ছিলো, তা নিয়েই কোনোরকমে এবার…