মেরু অভিযাত্রীদের নৌকা উত্তর দিকে এগিয়ে চলেছে। শান্ত সমুদ্র। সেইসঙ্গে নৌকার গতিও মন্থর। চলার গতি এতই ধীর যে তা সবার কাছেই বিরক্তিকর ঠেকছে। যতদূর চোখ যায় শুধু খোলা আকাশ আর সমুদ্রের অথৈ জল। ডাঙার চিহ্নমাত্র নেই। ক্যাপ্টেনের কোন ভাবান্তর নেই। একমনে তাকিয়ে আছেন উত্তর দিকে। সন্ধ্যার কিছু আগে বহুদূরে কি যেন আবছা কুয়াশার মত দেখা…
দি ভয়েজেস এন্ড এডভেঞ্চার অফ ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস
২২. এই সেই উত্তর মেরু-ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস
এই সেই উত্তর মেরু-ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস যা আবিষ্কারের জন্যে বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেছেন। মানব জাতির ইতিহাসে আজ এক বিশেষ স্মরণীয় দিন। অজেয়কে জয় করার স্পৃহা আদিকাল থেকেই মানুষের মাঝে লক্ষ্য করা যায়। আজ তারই এক সার্থক সাফল্যের দিন। অভিযাত্রীরা গর্বিত; কিন্তু ক্যাপ্টেনকে হারানর শোকে সবাই মুহ্যমান। তবুও ওরা পা দিল উত্তর মেরুতে। আস্তে আস্তে…
২৩. এত বড় বিজয়ের গৌরবে
এত বড় বিজয়ের গৌরবে সবাই যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু জীবন্ত বিশ্বকোষ-জ্ঞানের ভান্ডার ডক্টর বোনি যেখানে থাকেন সেখানে চুপ করে বোবা হয়ে বসে থাকা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। সবার নীরবতা ভঙ্গ করে ডক্টর বলে উঠলেন, জনসন, তুমি কি জান, এখানে তুমি একদম নড়ছ না? জনসন ডক্টরের কথা ঠিক ধরতে পারল না। জ্বি! মানে আমি ঠিক…
২৪. ডক্টরের সেবা শুশ্রুষা
ডক্টরের সেবা শুশ্রুষায় সংজ্ঞাহীন ক্যাপ্টেনের জ্ঞান ফিরে এল। কিন্তু এ কি দশা হয়েছে তার? ক্যাপ্টেনের দিকে তাকিয়ে সবাই যেন হতবাক হয়ে গেছে! জ্ঞান ফিরে পেয়ে অবোধ শিশুর মত বোকা চোখে তাকিয়ে আছেন হ্যাটেরাস। নিষ্পলক চোখ। যেন সামনের কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। ক্যাপ্টেনের চোখে চোখ রাখলেন ডক্টর। কিন্তু ডক্টরের উপস্থিতি তিনি টের পেলেন বলে মনে…