ভেসপার রোজই নার্সিংহোমে আসত ফুল নিয়ে, বন্ডকে দেখতে। আশ্চর্য, বন্ড খুব একটা ফুল ভালোবাসে না। তার কাছে ফুল কেমন এক মেয়েলি জিনিস! তাছাড়া, ফুল মনকে নরম করে দেয়। বন্ড নরম মন চায় না। তাছাড়া, কাজের দিক থেকে ভেসপার লিন্ড বেশ কয়েকটা ভুল করেছে। এম-এর কাছে রিপোর্টে এখুনি সে সব লেখার খুব প্রয়োজন নেই। ডাক্তার আশ্বাস…
ক্যাসিনো রয়্যাল
২২. বন্ড এখন প্রায় পুরো সুস্থ
বন্ড এখন প্রায় পুরো সুস্থ। লন্ডনে রিপোর্ট পাঠানো হয়ে গেছে। ভেসপারের কিডন্যাপিংটা বিশদভাবে লিখল। ভেসপার রোজই আসে বন্ডকে দেখতে। দুজনে অনেক গল্প করে। সে জানাল, চিফ অব পুলিশ এবং ক্যাসিনোর এক কর্তার সঙ্গে আলাপ হয়েছে তার। বন্ড মেয়েদের খুব একটা পছন্দ করত না। কিন্তু ভেসপারের আন্তরিকতা ওকে অনেকটা মুগ্ধ করেছিল। ভেসপার এক ঝলক পরিষ্কার হাওয়া,…
২৩. বন্ড ও ভেসপারের ঘরের মাঝখানে বাথরুম
বন্ড ও ভেসপারের ঘরের মাঝখানে বাথরুম। ভেসপারের ঘর ডবল বেড রুম। ভেসপারের ঘরের বাইরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বন্ড, ভেসপার এবং প্রোপ্রাইটর। প্রোপ্রাইটর পরে আসবে জানিয়ে চলে যায়। প্রোপ্রাইটর চোখের বাইরে চলে গেলে দরজায় গায়ে হেলান দেওয়া বন্ড এবার ভেসপারের দিকে তাকায়। ভেসপারও তার দৃষ্টি বন্ডের দৃষ্টির সাথে আটকে নেয়। বন্ড ভেসপারের সারা শরীরটার দিকে একবার…
২৪. সমুদ্রে স্নান
–হ্যালো, জেন্টলম্যান, সমুদ্রে স্নান করলেন?–মাদাম ভারসোয়া গেটের মুখে দাঁড়িয়ে। –না, তবে জাস্ট সান-বাথ। আর কোনো কথা না বলে বন্ড তার ঘরের দিকে চলে যায়। মাদাম ভারসোয়া উন্মুখ হয়ে বন্ডের দিকে তাকিয়ে থাকে। ঘরে ঢুকে বন্ড বিস্মিত। একী! তার জিনিসপত্র টিপটপ করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যেখানে যেটা থাকা উচিত। এমনকি বেসিনে টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, শেভিং আইটেমস, সোপ,…
২৬. আরও তিনটে দিন
আরও তিনটে দিন পার হয়ে গেল। ভেসপার একবার রয়্যালে গিয়েছিল। ফিরে এসে জানাল, ওর কতগুলো ওষুধের খুব প্রয়োজন ছিল। হঠাৎ সে খুব উল্লসিত। আসল, না নকল, কে জানে। কিন্তু বহুদিন বাদে বন্ডের সঙ্গে হাসিঠাট্টা-আদর-আহ্লাদের মধ্যে রাতটা কাটিয়ে দিল সে। আশ্চর্য, ভোরবেলা কান্না। গমকে গমকে কান্নায় ভেঙে পড়ছে। বন্ড ব্যাপারটা ধরতে পারল না। ভোরবেলায় চুপি চুপি…
২৭. পরদিন সকালে যা ঘটল
পরদিন সকালে যা ঘটল, তার জন্য একটুও প্রস্তুত ছিল না বন্ড। অবশ্য ঘটনা ঘটছে সকালে নয়, আগের বাতেই। প্রোপ্রাইটার ছুটে এসে জানাল–দারুণ অ্যাক্সিডেন্ট, মাদাম— তার হাতে একটা খাম। পরিচারিকার চিৎকার শোনা যাচ্ছে। বন্ড লাফিয়ে উঠে ভেসপারের ঘরে ছুটল। ভেসপারের ঘরের দরজা খোলা। ভেসপার ইহজগতে নেই। টেবিলে খালি গেলাস। চারপাশে সাদা সাদা ওডে। স্লিপিং পিলের বোতলটা…
২৫. এখন হোটেল অন্ধকার
এখন হোটেল অন্ধকার, কেন? একটা টেলিফোন বুথ থেকে ভেসপার বেরিয়ে আসছে। বন্ডের চিৎকার শুনে সে ফিরে দাঁড়াল। মুখে হাত চেপে দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। বন্ড বলল–কী ব্যাপার? কী হয়েছে তোমার? –তেমন কিছু না। পরার মতো ড্রেস নেই। জামাকাপড়ের দোকানে এক বান্ধবীর খোঁজ করছিলাম। ম্যাথুসকেও জানাচ্ছিলাম, যদি কিছু পোশাক জোগাড় করে দিতে পারে। –কিন্তু তুমি…