শঙ্কর একটু ঘুমিয়ে পড়েছিল বোধ হয়, কিংবা হয়তো অজ্ঞান হয়েই পড়ে থাকবে। মোটের উপর যখন আবার জ্ঞান ফিরে এল তখন ঘড়িতে বারোটা— সম্ভবতঃ রাত বারোটাই হবে। ও উঠে আবার চলতে শুরু করলে। এক জায়গায় তার সামনে একটা পাথরের দেওয়াল পড়ল— তার রাস্তা যেন আটকে রেখেছে। টর্চের রাঙা আলো একটিবার মাত্র জ্বালিয়ে সে দেখল যে দেওয়াল…
চাঁদের পাহাড়
১২. চাঁদের পাহাড় – দ্বাদশ পরিচ্ছেদ
গুহার মধ্যে ঢুকে শঙ্কর টর্চ জ্বেলে দেখলে (নতুন ব্যাটারী তার কাছে তখনো ডজন দুই ছিল) গুহাটা ছোট, বেশ একটা ছোটখাটো ঘরের মতো, মেঝেটাতে অসংখ্য ছোট ছোট পাথর ছড়ানো। গুহার এক কোণে চোখ পড়তেই শঙ্কর অবাক হয়ে গেল। একটা ছোট্ট কাঠের পিঁপে! এখানে কি করে এল কাঠের পিঁপে? দু-পা এগিয়েই সে চমকে উঠল। গুহার দেয়ালের ধার…
১৩. চাঁদের ত্রয়োদশ – দ্বাদশ পরিচ্ছেদ
দুপুরের রোদে যখন দিক-দিগন্তে আগুন জ্বলে উঠল, একটা ছোট্ট পাথরের ঢিবির আড়ালে শঙ্কর আশ্রয় নিলে। ১৩৫ ডিগ্রী উত্তাপ উঠেছে তাপমান যন্ত্রে, রক্তমাংসের মানুষের পক্ষে এ উত্তাপে পথ হাঁটা চলে না। যদি যে কোনো রকমে এ ভয়ানক মরুভূমির হাত এড়াতে পারতো, তবে হয়তো জীবন্ত অবস্থায় মানুষের আবাসে পৌঁছুতেও পারতো। সে ভয় করে শুধু এই মরুভূমি, সে…
১৪. চাঁদের ত্রয়োদশ – চতুর্দশ পরিচ্ছেদ (শেষ)
সলস্বেরি! কত দিনের স্বপ্ন! আজ সে সত্যিই বড় একটা ইউরোপীয় ধরনের শহরের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে। বড় বড় বাড়ি, ব্যাঙ্ক, হোটেল, দোকান, পিচঢালা চওড়া রাস্তা, একপাশ দিয়ে ইলেকট্রিক ট্রাম চলছে, জুলু রিকশাওয়ালা রিক্সা টানছে, কাগজওয়ালা কাগজ বিক্রি করছে। সবই যেন নতুন, যেন এসব দৃশ্য জীবনে কখনো সে দেখেনি। লোকালয়ে তো এসেছে, কিন্তু একেবারে কপর্দকশূন্য। এক পেয়ালা চা…