১.০১ ছেলের নাম সান্তিয়াগো। শূণ্য গির্জার বুকে উঠে এল সে ভেড়ার পাল নিয়ে, আকাশ বেয়ে উঠে এল অন্ধকার। কত আগে ভেঙে পড়েছে ছাদ। বিশালবপু এক গাছ উঠেছে আজ সেখানে, যেখানে ছিল ধার্মিকদের আনাগোনা। রাতটা কাটাবে এখানেই। সব ভেড়া ঢুকছে ভাঙা দরজা দিয়ে। ভাঙা ডালপালা জোগাড় করে সে, যেন পালটা এদিক সেদিক বেরিয়ে যেতে না পারে।…
দ্য এ্যালকেমিস্ট
২.০১ মাসখানেক হল কাজ করছে সান্তিয়াগো
দ্বিতীয় অংশ মাসখানেক হল কাজ করছে সান্তিয়াগো। স্ফটিক-দোকানে কাজ করে কেন যেন মনে ঠিক শান্তি নেই। কাউন্টারের পিছন থেকে দোকানি অহর্নিশি তাকে উপদেশ দিয়ে চলে। সাবধান হতে হবে। কিছু যেন ভেঙে না যায়। তবু সে সেখানেই আছে। কারণ বুড়ো ভাম হলেও বণিক লোকটা তার সাথে ভাল ব্যবহার করে, ন্যায্য ব্যবহার করে। প্রতিটা পণ্যের জন্য ভাল…
২.১১ এরা এত জটিল জিনিস বানায় কেন
এরা এত জটিল জিনিস বানায় কেন? একরাতে সান্তিয়াগো জিজ্ঞেস করে ইংরেজকে। যেন যাদের বোঝার দায় পড়েছে তারা বুঝে নেয়, একবার দেখ, সবাই যদি পারদকে স্বর্ণ করতে জানে তাহলে স্বর্ণের দামটা থাকবে কোথায়? কিন্তু শুধু কাগজে কলমে কাজ করলে হবে না, অনেক জানলেও হবে না, হলে আমি চলে আসতাম না এখানে, এ মরুভূমির মধ্যে। একজন সত্যিকার…
৩. সামনে দেখা
সামনে দেখা রাত নেমে আসার সময় ছেলেটা হাজির হয় ছোট খালি গির্জায়। এখনো বেদীর কাছে আছে গাছটা। আজো ভাঙা ছাদ দিয়ে আকাশ দেখা যায়। ভেড়ার পাল নিয়ে আসার পর সে রাতের কথা মনে পড়ে যায় তার। কী শান্তিময় রাত ছিল… শুধু সমস্যা বাধায় স্বপ্ন। এবার আর সে ভেড়ার পাল নিয়ে হাজির হয়নি, হাজির হয়েছে বেলচা…