ভ্যালি অফ ফিয়ার পরের দিন সকালে ঘুম ভাঙার সঙ্গেসঙ্গে ম্যাকমুর্দোর মনে পড়ল, হ্যাঁ, গতকাল তার লজ-অন্তভুক্তির দীক্ষাই হয়েছে বটে। হাড়ে হাড়ে তা টের পাওয়া যাচ্ছে। মদ্যপানের ফলে মাথা দপদপ করছে, এবং বাহুর যে অংশে ছ্যাকা দেওয়া হয়েছে, সেখানটা ফুলে ঢোল হয়ে দারুণ টাটিয়েছে। যেহেতু তার রোজগারের উৎস একটু অদ্ভুত, তাই কাজে বেরোনোর মধ্যে কোনো বাঁধা…
দ্য ভ্যালি অফ ফিয়ার
১২. নীরন্ধ্রতম অন্ধকার মুহূর্ত
নীরন্ধ্রতম অন্ধকার মুহূর্ত সঙ্গীদের মধ্যে জ্যাক ম্যাকমুর্দো আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠল গ্রেপ্তার আর খালাস হওয়ার পর। সোসাইটিতে নাম লেখানোর সঙ্গেসঙ্গে সেই রাত্রেই ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করানোর মতো কুকর্ম সে করেছে, সমিতির ইতিহাসে কিন্তু এ-নজির আর নেই। জমাটি সঙ্গী, ফুর্তিবাজ মদ্যপ এবং চড়া মেজাজের দরুন এর মধ্যেই বেশ সুনাম হয়েছিল তার মেজাজ তার এমনই যে…
১৩. বিপদ
বিপদ চরমে উঠল সন্ত্রাসের রাজত্ব। ম্যাকমুর্দো এখন ইনার ডীকন নিযুক্ত হয়েছে। যেকোনো দিন বডিমাস্টার ম্যাকগিন্টির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তার পরামর্শ আর সাহায্য ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ এখন এক পা-ও চলে না। সঙ্গীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গেসঙ্গে রাস্তাঘাটে বেরুলেই ম্যাকমুর্দোর প্রতি জনসাধারণের প্রাকুটি নিক্ষেপ বৃদ্ধি পেয়েছে, কৃষ্ণতর হয়েছে ঘৃণামিশ্ৰিত চাহনি। আতঙ্ক অবশ্য চিত্তেও কিন্তু শহরবাসীরা অত্যাচারীকে…
১৪. ফাঁদে পড়ল বার্ডি এডোয়ার্ডস
ফাঁদে পড়ল বার্ডি এডোয়ার্ডস ম্যাকমুর্দো ঠিকই বলেছিল, বিধবা ম্যাকনামারার বাড়ি সত্যিই খুব নিরিবিলি জায়গায় পরিকল্পনামতো খুনের পক্ষে আদর্শ। শহরের একদম শেষে রাস্তা থেকে অনেক ভেতরে। চক্রীরা সাধারণত যাকে মারে, তার নাম ধরে ডেকে রিভলবার দিয়ে দেহটা ঝাঁঝরা করে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে ওভাবে খুন করলে চলবে না। লোকটা কতদূর জেনেছে, কীভাবে জেনেছে এবং কী-কী…
১৫. উপসংহার
উপসংহার পুলিসকোর্ট জন ডগলাসের কেস পাঠিয়ে দিল উচ্চতর আদালতে। দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারের সাময়িক অধিবেশনে বেকসুর খালাস পেয়ে গেল ডগলাস–আত্মরক্ষার জন্যে গুলি ছুঁড়ে গিয়েছে হাত থেকে সুতরাং সে নিরপরাধ। মিসেস ডগলাসকে চিঠি লিখল হোমস। যেভাবে পারেন এখুনি ওঁকে ইংলন্ডের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যান। যাদের খপ্পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এত বছর, তাদের চাইতেও ঢের বেশি ওত…