কার্পেটের কারচুপি [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য সেকেন্ড স্টেন ] কোন বছর তা বলব না। এমনকী সেযুগটারও কোনো নামকরণ করব না। শরৎকালে এক মঙ্গলবারের সকালে বেকার স্ট্রিটে আমাদের দীনহীন ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে আবির্ভূত হলেন ইউরোপবিখ্যাত দুজন পুরুষ। একজন তপঃকৃশ চেহারা, উন্নত নাক, ইগল পাখির মতো চোখ এবং সব মিলিয়ে ক্ষমতাবান পুরুষের মতো প্রভুত্বময় মূর্তি।…
দ্য রিটার্ন অব শার্লক হোমস
কালাপাহাড়ের কাণ্ড নয়
কালাপাহাড়ের কাণ্ড নয় [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য সিক্স নেপোলিয়ন্স ] প্রায় সন্ধ্যাতেই আমাদের ঘরে আসতেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মি. লেসট্রেড। সেদিন সন্ধ্যাতেও খবরের কাগজ আর আবহাওয়া সম্বন্ধে আলাপ আলোচনা করার পর চুপচাপ বসে ছিল লেসট্রেড। আনমনা ও চিন্তামগ্ন মুখে সিগার টানছিল অনেকক্ষণ ধরে। তীক্ষ্ণ চোখে সেদিকে তাকিয়ে হোমস জিজ্ঞাসা করে, জবর খবর আছে মনে হচ্ছে?…
কুটিল বুড়োর কুচক্র
কুটিল বুড়োর কুচক্র [দি অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য উড বিল্ডার] যে সময়ের কথা বলছি, তখন মাত্র কয়েক মাস হল অজ্ঞাতবাস সাঙ্গ করে ঘরে ফিরেছে হোমস। আমিও তার অনুরোধে প্র্যাকটিস বেচে দিয়ে ফিরে এসেছি বেকার স্ট্রিটের পুরোনো বাড়িতে। চেয়ারে কাত হয়ে বসে হোমস অসলভাবে চোখ বুলিয়ে যাচ্ছে সকালের কাগজে। এমন সময়ে দুজনেই সজাগ হয়ে উঠলাম সদর দরজায়…
খেলোয়াড়ের খেলায় অরুচি
খেলোয়াড়ের খেলায় অরুচি [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য মিসিং থ্রি-কোয়ার্টার ] বেকার স্ট্রিটের ঠিকানায় দুর্বোধ্য বিদঘুটে টেলিগ্রাম পাওয়ায় মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম আমরা। কিন্তু একটা কথা আমার বিশেষ করে মনে আছে। বছর সাত-আট আগে ফেব্রুয়ারির এক বিষণ্ণ সকালে টেলিগ্রামটা এসে পৌঁছোয় আমাদের হাতে। এবং তা পাওয়ার পর ঝাড়া পনেরো মিনিট রীতিমতো হকচকিয়ে বসে রইল মি….
গোরুর খুরের রহস্য
গোরুর খুরের রহস্য [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য প্রায়রি স্কুল ] বেকার স্ট্রিটে আমাদের ছোট্ট রঙ্গমঞ্চে অনেকরকম নাটকীয় আসা যাওয়াই দেখেছি, কিন্তু ড. থনিক্রফট হাক্সটেবল, এম. এ., পি, এইচডি, ইত্যাদির প্রথম আবির্ভাবের মতো চমকপ্রদ ও আকস্মিক আর কিছু মনে পড়ছে না। রাশি রাশি ডিগ্রির অনুপাতে অত্যন্ত পুঁচকে একটা কার্ড আসার কয়েক সেকেন্ড পরেই ঘরে ঢুকলেন…
তিন গেলাসের রহস্য
তিন গেলাসের রহস্য [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য অ্যাবি গ্যাঞ্জ ] ১৮৯৭ সালের শীতকাল। তুষার পড়ছিল সেরাত্রে। কনকনে ঠান্ডায় হাড় পর্যন্ত কেঁপে উঠছিল। ভোররাতের দিকে কাঁধ ধরে ঝাঁকানি দিয়ে কে আমায় ঘুম ভাঙিয়ে দিলে। দেখি হোমস। হাতের মোমবাতির আলো ঝিকমিকিয়ে উঠছিল তার মুখের ওপর। সতর্ক ব্যগ্র মুখে আগ্রহের দীপ্তি আর তার ঝুঁকে পড়ার ভঙ্গিমা দেখে…
তিমি শিকারির বুকে হারপুন
তিমি শিকারির বুকে হারপুন [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব ব্ল্যাক পিটার ] ১৮৯৫ সালের জুলাইয়ের প্রথম হপ্তায় বন্ধুবরকে ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময়ের জন্যে আমাদের আচ্ছা থেকে উধাও হতে দেখে অনুমান করেছিলাম একটা কিছু নিয়ে আবার মাথা ঘামাতে শুরু করেছে ও। এই সময় আবার রুক্ষ চেহারার কয়েকজন লোক এসে ক্যাপ্টেন বেসিল সম্বন্ধে খোঁজখবর নেওয়ায় আমি বুঝেছিলাম…
প্যাঁসনের প্যাঁচে প্রফেসর
প্যাঁসনের প্যাঁচে প্রফেসর [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য গোল্ডেন প্যাঁসনে ] ১৮৯৪ সাল। বিচার করে দেখতে গেলে আমার মনে হয়, ইয়ক্সলে ওল্ড প্লেসের উপসংহারের মতো কোনো কেসটিতেই এতগুলি অসাধারণ পয়েন্টের একত্র সমাবেশ ঘটেনি। এই কেসেই শোচনীয়ভাবে মৃত্যুবরণ করে তরুণ উইলোবি স্মিথ। শুধু তাই নয়, এরপর যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তা থেকেই প্রকাশ পায় খুনের কারণ।…
প্রশ্নপত্রের পলায়ন
প্রশ্নপত্রের পলায়ন [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য থ্রি স্টুডেন্টস ] ১৮৯৫ সাল। একসঙ্গে অনেকগুলো ঘটনার চাপে পড়ে মি. শার্লক হোমস এবং আমাকে কয়েক হপ্তা একটি বিশ্ববিদ্যালয় শহরে থাকতে হয়েছিল। এইখানেই এক সন্ধ্যায় এক পরিচিত ভদ্রলোক দেখা করতে এলেন আমাদের সঙ্গে। ভদ্রলোকের নাম মি. হিলটন সোমস, কলেজ অফ সেন্ট লিউকস-এর শিক্ষক এবং লেকচারার। রোগাটে লম্বা। নার্ভাস…
ভাংচি দেওয়ার ভয়ংকর কাহিনি
ভাংচি দেওয়ার ভয়ংকর কাহিনি [ দি অ্যাডভেঞ্চার অব চার্লস অগাস্টাস মিলভারটন ] অভ্যাসমতো উদ্দেশ্যবিহীন সান্ধ্য-ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম হোমস আর আমি। কুয়াশা-ঘন, হাড়কাঁপানো শীতের সন্ধ্যা। ছ-টা নাগাদ ঘরে ফিরে হোমস বাতিটা জ্বালতেই আলো গিয়ে পড়ল টেবিলের উপর রাখা একটা ভিজিটিং কার্ডের ওপর। একবারমাত্র চোখ বুলিয়ে নিয়ে কার্ডটাকে সে পরম ঘৃণাভরে কণ্ঠে বিরক্তির স্বর প্রকাশ করে ফেলে দিলে…