আমার প্রাইভেট ডায়ারির কিছু অংশ উদ্ধৃত করে গত পরিচ্ছেদ শেষ করেছি। কাহিনি ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই সময় থেকেই ভয়ংকর পরিণতির দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে বিচিত্র ঘটনার পর ঘটনা। পরের কয়েকদিনের ব্যাপার অবিশ্বাস্যভাবে স্মৃতিপটে দাগ কেটে বসে গেছে। ডায়ারির সাহায্য না-নিয়েই লিখতে পারব। দুটো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেদিন আবিষ্কার করলাম, কাহিনির জের তুলে নেওয়া যাক…
দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস
১২. বাদায় মৃত্যু
সেকেন্ড খানেক কি দুয়েক দম বন্ধ করে বসে রইলাম, নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারলাম না তারপরেই ফিরে পেলাম বাকশক্তি এবং বোধশক্তি। নিমেষের মধ্যে দায়িত্বের একটা পাষাণ-ভার নেমে গেল মন থেকে। ছুরির মতো ধারালো বিদ্রুপ তীক্ষ্ম নিরুত্তাপ এই কণ্ঠস্বরের অধিকারী ত্রিভুবনে একজনই আছে। উল্লাসে তাই ফেটে পড়লাম পরক্ষণেই, হোমস! হোমস! বাইরে এসো। দয়া করে রিভলবারটা সামলে…
১৩. জাল বিস্তার
শার্লক হোমসকে দেখে স্যার হেনরি যতটা অবাক হলেন তার চাইতেও বেশি খুশি হলেন। কেননা, দিন কয়েক ধরে আশা করছিলেন সাম্প্রতিক ঘটনার আকর্ষণে লন্ডন থেকে আসবে হোমস। বন্ধুবরের সঙ্গে মালপত্র নেই এবং না-থাকার কোনো ব্যাখ্যাও নেই শুনে একটু ভুরু তুললেন। গোপনে সব বুঝিয়ে বললাম এবং একটু দেরি করে নৈশ আহারে বসে আমাদের অভিজ্ঞতার কিছু কিছু তাকে…
১৪. বাস্কারভিলস হাউন্ড
শার্লক হোমসের একটা ত্রুটি আছে। জানি না আর কেউ একে ত্রুটি বলবেন কিনা। পরিকল্পনা পরিপূর্ণভাবে সফল না-হওয়া পর্যন্ত সে-সম্বন্ধে তিলমাত্র আভাস দিতে নারাজ। এর জন্য কিছুটা দায়ী ওর কর্তৃত্বব্যঞ্জক প্রকৃতি–ধারেকাছে যারা থাকে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার আর তাদের চিত্তে চমক সৃষ্টি ওর স্বভাবের একটা বড় বৈশিষ্ট্য। বাকিটা এসেছে ওর পেশাগত সতর্কতা থেকে কোনো ফাঁক রাখতে…
১৫. স্মৃতিমন্থন
নভেম্বরের শেষ। আর্দ্র; কুয়াশাচ্ছন্ন রাত। বেকার স্ট্রিটের বসবার ঘরে জ্বলন্ত চুল্লির দু-পাশে বসে আমি আর হোমস। ডেভনশায়ের চূড়ান্ত শোচনীয় পরিণতির পর দুটো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেস নিয়ে ব্যস্ত ছিল হোমস। প্রথম কেসে ননপ্যারিউ ক্লাবের বিখ্যাত তাস কেলেঙ্কারির ব্যাপারে কর্নেল আপউডের বর্বরোচিত আচরণ ও ফঁস করে দেয়। দ্বিতীয় কেসে খুনের দায় থেকে বাঁচিয়ে দেয় হতভাগিনী ম্যাডাম পেসিয়ারকে।…