পনেরোই মে জাহাজের খোল তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেল। আস্তে আস্তে আরও এগিয়ে চলল জাহাজের কাজ। আবার শীত নামল লিঙ্কন দ্বীপে। শীতের পর বসন্ত। হঠাৎ সাতই সেপ্টেম্বরে ঘটল ঘটনাটা। ব্যাপারটা প্রথম ক্যাপ্টেনের চোখে পড়ল। ধোঁয়া বেরোচ্ছে ফ্রাঙ্কলিন হিলের চূড়া দিয়ে। সত্যিই তাহলে আবার জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি। ক্রমশ বেড়েই চলল ধোঁয়ার পরিমাণ। লিঙ্কন দ্বীপের সবচেয়ে আশ্চর্য…
রহস্যের দ্বীপ
৩২. ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন ক্যাপ্টেন নিমো
ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন ক্যাপ্টেন নিমো। ব্যক্তিত্বপূর্ণ চাহনি দেখলেই বোঝা যায় শুধু হুকুম করতেই জন্মেছে ওই লোক , ঘাড়ের ওপর লুটাচ্ছে ধবধবে সাদা চুল, মুখভর্তি দাড়ি মলিন মুখ, রোগে কাহিল হয়ে পড়েছেন বোধহয় ক্যাপ্টেন নিমো, শান্ত কণ্ঠে ইংরেজিতে কথা বললেন তিনি, আমার নাম জানলেন কি করে, ক্যাপ্টেন হার্ডিং? শুধু আপনার নামই নয়, আশ্চর্য এই…
৩৩. সুড়ঙ্গ মুখে পৌঁছতে পৌঁছতে
সুড়ঙ্গ মুখে পৌঁছতে পৌঁছতে ভোর হয়ে গেল। নৌকোটাকে সুড়ঙ্গ মুখের একটা পাথুরে তাকে রেখে বাইরে বেরিয়ে এল অভিযাত্রীরা। গুপ্ত গহ্বরটার নাম রাখা হলো ডাক্কার গহ্বর। বিষণ্ণ মনে গ্রানাইট হাউসে ফিরে চলল সবাই। বড় নৌকোটা তৈরির কাজে এবার জোর দিল পেনক্র্যাফট। সবাই সাহায্য করল ওকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করে ফেলতে হবে নৌকোর কাজ। ট্যাবর আইল্যান্ডে…