মার্লিন বেকিকে নিয়ে চলে যাচ্ছে জীপটা, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন গোল্ডম্যান এই সময়ে পাশে এসে দাঁড়াল রেনট্রি। নিউক্লিয়ার ডিভাইস এসে গেছে, বলল রেনট্রি। ছোট্ট, এক মেগাটন। কিন্তু এটাই মাঝারি আকারের একটা পাহাড় উড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। ঠিক কোন জায়গায় বসান হবে বোমাটা? জানতে চাইলেন গোল্ডম্যান। ব্যাটল মাউনটেনের মাইল দুয়েক উত্তর-পশ্চিমে, ফল্ট লাইন ঘেঁষে। হাইইনটেনসিটি লেজার ড্রিলের সাহায্যে…
সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান
১২. শ্যালন চলে যেতেই
শ্যালন চলে যেতেই দ্রুত ক্যুনিকেটরের কাছে গিয়ে দাঁড়াল অস্টিন। বোতাম টিপতেই ছবি ফুটল টেলিভিশনের পর্দায়। করিডোরের একটা অংশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। কি ভেবে আরও দুটো টেলিভিশনের বোতামও টিপল সে। কাউন্সিল চেম্বার দেখা গেল একটায়। তৃতীয় টেলিভিশনটা ভূগর্ভের বাইরের দৃশ্য দেখার জন্যে। বুঝল, এর সাহায্যেই ট্রিনিটি বেসের ওপর নজর রেখেছে শ্যালন আর এপ্লয়। ট্রিনিটি বেসের ওপরই…
১৩. স্তব্ধ হয়ে গেছে ট্রিনিটি বেস
স্তব্ধ হয়ে গেছে ট্রিনিটি বেস। সবাই পাথরের মত স্থির। কারও মুখে কথা নেই। অপেক্ষা করছে সবাই। আর মাত্র দুই মিনিট তিরিশ সেকেন্ড পরেই বিস্ফোরণ ঘটান হবে। প্রথমে একটা চাপা গুম গুম শব্দ শোনা যাবে। তারপর কাঁপতে শুরু করবে মাটি। প্রথমে খুবই ধীরে, আস্তে আস্তে বাড়বে কম্পন। আরও বাড়বে, আরও। ভয়ে গাছপালা মাটি ছেড়ে আকাশে উঠে…
১৪. বনসীমার দিকে এগিয়ে চলেছে অস্টিন
বনসীমার দিকে এগিয়ে চলেছে অস্টিন। কাঁধে শ্যালন। পায়ের নিচে এখনও মাটি কাঁপছে, কিন্তু কম। বনের কাছে পৌঁছে ফিরে দাঁড়াল সে। ইনফ্রারেড স্ক্যানার ব্যবহার করে দেখল, বিস্ফোরিত এলাকার কেন্দ্রে প্রায় শখানেক গজ বৃত্তাকার জায়গায় মাটি লালচে দেখাচ্ছে। কালো ধোঁয়া উড়ছে আকাশে। ওই অংশে যত গাছপালা-ঘাস ছিল, পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জায়গাটার আশেপাশে গাছপালা তেমন নেই, নইলে…
১৫. পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে মেডিক্যাল রুমে
পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে মেডিক্যাল রুমে। শ্যালন অপারেশন করছে। তাকে সাহায্য করতে টেবিল ঘিরে দাঁহিয়ে আছে কয়েকজন মেডিক্যাল ওয়ার্কার। শ্যালনের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে দেখছে অস্টিন। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে সাসকোয়াচ। একটা ছোট্ট শিশির ভেতরে ইনজেকশনের ছুঁচ ঢুকিয়ে দিল শ্যালন। নীল ওষুধ দিয়ে সিরিঞ্জ ভরে নিয়ে শিশিটা একজন সহকারীর হাতে তুলে দিল। অপারেশন টেবিলে এপ্লয়কে চিৎ করে…