শিক্ষা জীবন শেষ করেই একজন শিক্ষার্থীকে চাকরির জন্য দৌড়াতে হয়। চাকরির এই দৌড়ে অনেকে খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য পায় আবার অনেকের একটু সময় লাগে। প্রতিযোগিতার এই জগতে টিকে থাকতে হলে তাই চাকরির জন্য ভালো প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চাকরির জন্য এক এক জন প্রার্থীর এক এক ধরনের পছন্দ রয়েছে। কারো পছন্দ সরকারী চাকরি আবার কারো বেসরকারী বা এনজিও এর চাকরি। কিন্তু বর্তমান সময়ে বেতন ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভালো থাকায় তরুণদের মধ্যে বিসিএস, ব্যাংক সহ অন্যান্য সরকারী চাকরির প্রতি বেশি আকর্ষণ দেখা যায়। প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ায় পড়াশুনার প্রতি ভালো পরিমাণ সময় দিয়ে এ ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করতে হয়।

অতিসম্প্রতি ৩৮ তম বিসিএসের সার্কুলার দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাও নিয়মিত হচ্ছে। তাই চাকরি প্রার্থীরা সময় খরচ না করে দিন রাত পড়াশোনা করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময়ই সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। গত বছরও দেশের শতকরা ৮০ শতাংশ বিসিএস ক্যাডার হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্য থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরী, বিভিন্ন হলগুলোর লাইব্রেরীতে তাই সারাবছরই থাকে চাকরি প্রার্থীদের ভিড়। সকাল হতে না হতেই কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ও পাবলিক লাইব্রেরীতে দেখা যায় দীর্ঘলাইন। অনেকে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজের রুমেই।

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে প্রত্যেক দিন পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা সোহান। তাঁর মতে, এখন সরকারী ভালো চাকরি পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কষ্ট করে যাচ্ছি। জানি না কবে কাঙ্খিত চাকরি পাব।

অন্যদিকে ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শুভর মুখে হতাশা শোনা গেল। তাঁর মতে, প্রত্যেক দিন পাবলিক লাইব্রেরীতে পড়াশোনা করে যাচ্ছি। কিন্তু ব্যাংকের পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। তাই এত পড়াশোনা করেও ভরসা পাচ্ছি না কবে চাকরি পাব।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Australia Visa for Lawyer

মূল্য: 20,000 Taka

Day Long Package

মূল্য: ৩,০০০ টাকা

Singapore Tour with Universal Studios & Sentosa 5D/4N

মূল্য: ৩৮,৯০০ টাকা

জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র চন্দন বললেন, বিসিএস বা ব্যাংকের প্রশ্নের কোন সিলেবাস নেই। তাই সব বিষয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি। লাইব্রেরীতে প্রস্তুতি নিতে পারলে ভালো হত কিন্তু লাইব্রেরীতে জায়গা পেতে কষ্ট তাই নিজের রুমেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিভিন্ন হলগুলোর ছাত্ররা অনেক রাত জেগে পড়াশোনা করছে। আবার সকাল হলেই দ্রুত ঘুম থেকে উঠে লাইব্রেরীতে চলে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে একজন ছাত্র বললেন, এত রাত পড়াশোনা করার পর সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয়। কিন্তু জীবন গড়ার জন্য কষ্ট করে যাচ্ছি।

হলের অনেক ছাত্ররা আবার প্রথম বর্ষ থেকেই চাকরি যুদ্ধে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে । এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র শুভাশিস বলল, হলে ওঠার পর থেকেই বড় ভাইদের কাছে চাকরির পড়াশোনার ক্ষেত্রে সংগ্রামের কথা শুনছি। তাই নিজেকে গুছিয়ে নিতে চাকরির প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।

মতিঝিল থেকে প্রতিদিন শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে পড়াশোনা করতে আসে সজল। তাঁর মতে, লাইব্রেরীতে গ্রুপ করে একসঙ্গে পড়াশোনা করা যায়। এইভাবে গ্রুপ করে পড়াশোনা করলে পড়া মনে থাকে। চাকরি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই কষ্ট চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করবে বলে তাঁর বিশ্বাস।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১,১৫৭ বার পড়া হয়েছে