রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত লেক টেরেস রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি ভ্যাট গ্রহণ করার অনিয়ম উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দারা। ভ্যাট আইন লঙ্ঘন করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার ( ২৪ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, রেস্টুরেন্টটি ক্রেতার কাছ থেকে বেশি ভ্যাট কর্তন করেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রেতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। রেস্টুরেন্টটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং ১৫% হারে গ্রাহকদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করে থাকে। অথচ আইন অনুসারে এই ক্ষেত্রে ১০% হার প্রযোজ্য হবে।
মইনুল খান আরও জানান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেট অনুসারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) রেস্টুরেন্ট এর ক্ষেত্রে ১০% হারে এবং নন-এসি রেস্টুরেন্ট এর ক্ষেত্রে ৭.৫% হারে ভ্যাট কর্তনপূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। লেক টেরেস রেস্টুরেন্টটি অবৈধভাবে অধিক হারে (১৫% হারে) গ্রাহকদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করছে যা অবৈধ ও প্রতারণামূলক মর্মে ভ্যাট গোয়েন্দাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
এদিকে ভ্যাট গোয়েন্দা বলছে, অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির ২৯৫টি চালান/বিল ভাউচার জব্দ করা হয় যার প্রতিটি বিলের বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। জব্দকৃত তথ্য অনুসারে গত এক সপ্তাহের মূসক আরোপযোগ্য পণ্যের বিক্রয়মূল্য ছিল ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭৬০ টাকা। যার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট ৪২ হাজার ৮৭৬ টাকা। কিন্তু রেস্টুরেন্ট কর্তপক্ষ ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট কাটা হয়েছে ৫৬ হাজার ৬০৪ টাকা।
ফিচার বিজ্ঞাপন
USA Visa (Private Job Holder)
Email Marketing
Kathmandu-Pokhara 5D/4N
স্থানীয় ভ্যাট সার্কেল টঙ্গী ভ্যাট বিভাগে যোগযোগ করে জানা যায়, লেক টেরেস রেস্টুরেন্টটি গত ৬ মাসে শূন্য রিটার্ন দাখিল করেছে। এ ছাড়া গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১২ মাসে মাত্র ৮৭ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়েছে।
এতে প্রতীয়মান হয় যে, রেস্টুরেন্টটি গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত ভ্যাট যথাযথভাবে সরকারি কোষাগার জমা দেয় না। অভিযানে প্রাপ্ত দলিলাদি যাচাই-বাছাই করে মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করা হয়।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)২৬৫ বার পড়া হয়েছে





