রূপের হাওরের ভাগ্যবিড়ম্বিত প্রায় ২৬ হাজার গ্রামের দু’কোটি বাস্তুসঙ্কটাপন্ন হাওরবাসীর বিষাদের গল্প কাব্য দিয়েই শুরু করা যাক—‘মাটির উপরে জলের বসতি জলের উপরে ঢেউ/ তরঙ্গের সাথে পবনের পিরিতি নগরের জানে না কেউ।’ হাওরের জলবায়ুর দুটি রূপ—স্বপ্নীল ও ভয়াল। আবহাওয়ারও দুটি ধরন—নিরাগ (শান্ত) ও আফাল (তুফান)। যা একেক সময় একেক রূপে আবির্ভুত হয়।

নৈসর্গিক হাওরের রূপবৈচিত্র্যের বৈপরীত্যে রুদ্রতার উপাখ্যানই বিমূর্তভাবে চিত্রায়িত হয়েছে লোকগীতির চরণখানিতে। কিন্তু পর্যটনে ও বিনোদনে গৌণ-গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমের কল্যাণে বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের বৃহৎ মিঠা পানির একক ‘ওয়াটার বডি’ হাওরাঞ্চল স্বপ্নীল রূপে। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জের হাওর। বলা হচ্ছে বর্ষায় অস্ট্রেলিয়া, শুকনায় নিউজিল্যান্ড। আসলে হাওর তার চেয়েও বেশি। সুন্দরে সুন্দরে পাল্লা।

জলের কিনারায় বিশ্বের তাবৎ পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠায় পর্যটন শিল্পের প্রাচীনতম ইকো ট্যুরিজম এবং কমিউনিটি ট্যুরিজমের সর্বোৎকৃষ্ট তীর্থক্ষেত্র এখন হাওরাঞ্চল। জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময়তার বিচারে ট্যুরিজমে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান সমগ্র হাওরাঞ্চল পর্যটকদের কাছে এক স্বপ্নের ঠিকানা। প্রতিনিয়ত ডাকছে অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনার দুর্নিবার হাতছানিতে। প্রকৃতিও সাজিয়েছে উদার নীড়ে তার সৃষ্টিকে। প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার মতো এখানে রয়েছে পর্যটকদের চিত্তাকর্ষণে যত সব উপজীব্য, যা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে হয়ে উঠেছে রূপকন্যার স্বপ্নপুরীতে।

স্বপ্নীল হাওর: ‘প্রকৃতি সাদিয়া সিদ্ধি/সেবে দেখ না/প্রকৃতি সাধনের মূল/যথায় অনন্তের মূল।’ রূপসী বাংলার অপরূপ হাওরের বিশালতা ও মনোহর রূপমাধুরী রূপায়নে কবি জীবনানন্দ দাশের পক্ষেই হয়তো সম্ভব ছিল। রূপকন্যা হাওরের সৌন্দর্য এমনই যে, ‘পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে জলে,/পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু’জনার মনে।/আকাশে ছড়ায়াছে শান্তি হয়ে আকাশে আকাশে,/ছুটছে প্রকৃতিপ্রেমি মহোৎসবে প্রশান্তি লাভে অসীমের প্রাণে।’

ফিচার বিজ্ঞাপন

US Visa for Retired Person

মূল্য: 5,000 Taka

হাওরের রূপ-সৌষ্ঠব-মাধুর্য স্বচক্ষে না দেখলে উপলব্ধিতেও আসবে না প্রকৃতির ঐশ্বর্য। হাওরের রূপের হৃদয়কাড়া সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছেন বিখ্যাত চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান সব পর্যটকরা। সর্বশেষ আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা হাওরকে আখ্যায়িত করেছেন ‘উড়াল পঙ্খির দেশ’ হিসেবে। পূর্ববঙ্গকে প্রাচীন গ্রন্থসম্ভারে অভিহিত করা হয়েছে ‘উড়া পঙ্খির দেশ’ বলে। ওই পাখি শিকারেই এসেছিলেন বাংলার ছোট লাট লর্ড কারমাইকেল ১৯১২ সালে নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরীর হাওরে।

Thanks to: রফিকুল ইসলাম

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩০৬ বার পড়া হয়েছে