অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের এক ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছিল, তাদের দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষা ফুরাবে শিগগিরই। এবার দিন-তারিখও জানা গেল। অধিদফতর জানিয়েছে, ১৩ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেশে আসছে আগামী বুধবারের (৪ আগস্ট) মধ্যেই। আর এই ভ্যাকসিনগুলো আসছে বৈশ্বিক ভ্যাকসিন জোটের কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায়, জাপান থেকে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর গঠিত ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জাপান থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় এই ১৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসবে দুইটি চালানে। প্রথম চালানটি দেশে আসবে শনিবার (৩১ জুলাই), দ্বিতীয়টি আসবে বুধবার (৪ আগস্ট)।

এর আগে, দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনে। মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে সেই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতে সেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ এলেও ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে আসে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় ৩২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশকে।

ওই এক কোটি দুই লাখ ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। কিন্তু ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে দ্বিতীয় চালানের ২০ লাখ ডোজের পর সিরাম আর কোনো ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেয়নি। ফলে একপর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতেও ছেদ পড়ে। এরপর সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি ফের শুরু করা গেলেও এক ডোজ কোভিশিল্ড নেওয়া অনেকেই এখনো ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় আছেন। তাদের ভ্যাকসিন দিতেই নানামুখী তৎপরতা শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, আমরা জাপান সরকারের কাছ থেকে কিছু ভ্যাকসিন পেয়েছি। আরও ভ্যাকসিন আসছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই। এগুলো হাতে পেলে দ্রুতই আমরা দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমাণদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করবো।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Ho chi minh -Hanoi – Halong Cruise 5D/4N

মূল্য: 49,900 Taka

Cairo-Alexandria-Aswan & Luxor 8D/7N

মূল্য: 91,900 Taka

তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী সরকারের বিভিন্ন বহুমুখী পদক্ষেপের কারণে আরও কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আমরা পেয়ে যাবো। ফলে প্রথম ডোজ নিয়ে যারা দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছে, তাদের সবাইকেই আমরা ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হব।

এর আগে, ২৪ জুলাই দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আসে দেশে। কোভ্যাক্সের আওতায় এই ভ্যাকসিনগুলোও দিয়েছিল জাপান।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১৭২ বার পড়া হয়েছে