৯টা-৫টা অফিস শেষে রাস্তার যানজট ঠেলে বাসায় পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। বাসায় ঢুকেই দেখা গেল সব কটি ঘর অগোছালো। কিন্তু শরীর–মন এতটাই ক্লান্ত যে আয়োজন করে আর গোছানোর ইচ্ছা হয় না। তার ওপর এই করোনাকালে বাসায় বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের আনাগোনাও কম। তাই হয়তো পরিপাটি করে পুরো বাসা গুছিয়ে রাখার তাগিদও হয় না। ঈদের পর থেকে অবশ্য একটু একটু করে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরছেন অনেকেই। এই সুযোগে শীতল হয়ে যাওয়া সম্পর্কগুলোকে আবার উষ্ণ করতে চাচ্ছেন অনেকে। এরই সুবাদে ঘরোয়া আড্ডা বা গেট টুগেদার আয়োজনের কথা ভাবছেন?

তার আগে গুছিয়ে নিতে হবে ফ্ল্যাট বা বাসা। আবার নিজের জন্যও চাই সাজানো–গোছানো ঘর। সারা দিন কাজের পর পরিচ্ছন্ন ঘরে ঢুকলে মনে আলাদা ভালো লাগা কাজ করবে। তা ছাড়া অন্দরসাজ নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। তাই পার্টি আয়োজনের আগে ঘরের মেকওভারটাও সেরে নেওয়া জরুরি।

প্রথমেই মনোযোগ দিতে হবে ড্রয়িংরুমের দিকে। ঘরটি সুন্দর করে গুছিয়ে ফেলুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা ঝাড়ু দিয়ে ঝুল এবং মেঝের ধুলো ময়লা পরিষ্কার করে নিন। আনাচে–কানাচে জমে থাকা ময়লাও পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। ফ্যান বা এসিগুলোও ড্যাম্প কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন।

পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা শেষে ঘর সাজানোর পালা। ঘরের দেয়ালের সঙ্গে রং মিলিয়ে সোফার কভার হলে ভালো হয়। সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের কুশন মানাবে। এতেই ঘরের চেহারায় অনেকটাই পরিবর্তন আসবে। সেন্টার টেবিলও সাজাতে হবে। টেবিলের টপ যদি হয় কাচের, তাহলে প্রথমে ধুলো ঝেড়ে নিয়ে। এবার পরিষ্কার কাপড়ে গ্লাস ক্লিনার নিয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন। টেবিল ঝকঝক করবে। অনেকে বলবে টেবিল যদি হয় কাঠের, তবে উপায় কী। এ ক্ষেত্রে একটি সহজ হোমমেড পালিশ হচ্ছে, অলিভ অয়েল ও লেবুর রসের তৈরি মিশ্রণ। সপ্তাহে অন্তত একবার মিশ্রণটি দিয়ে কাঠ মুছলে, দেখতে উজ্জ্বল লাগবে।

অনেকেরই অভ্যাস অফিস বা বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে চাবি, কলম, চশমা ইত্যাদি সেন্টার টেবিলে জড়ো করে রাখা। ঘর সুন্দর রাখতে চাইলে অভ্যাসটা বদলাতে হবে। কারণ, টেবিলের ওপর সুন্দর একটা ফুলদানিই সবচেয়ে সহজ ও আকর্ষণীয় উপাদান। এখন নানা ধরনের রঙিন ফুলও পাওয়া যায়। সম্ভব হলে তাজা ফুলে ঘর সাজান। ড্রয়িংরুমের আরো একটি জরুরি বিষয় পর্দা। খেয়াল রাখতে হবে পর্দা যেন ঘরের দেয়ালের সঙ্গে মানানসই হয়।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Australia Visa for Lawyer

মূল্য: 20,000 Taka

সুন্দর দু–একটি পেন্টিং ড্রয়িংরুমের আবহই বদলে দেয়। দেখতেও নান্দনিক লাগে। ড্রয়িংরুমে শোকেস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং শোপিসগুলোও গুছিয়ে রাখতে হবে। বড় শোপিস অনেক সময়ই বেমানান। তবে ছোট শোপিস বা কাচের জিনিস বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখা উচিত।

অতিথি আসার আগে, ড্রয়িংরুমে একটা ওয়েস্ট বিন রাখুন। যাতে অতিথিদের ছোটখাটো ময়লা ফেলতে সুবিধা হয়। ওয়েস্ট বিনের ভেতরে একটা গারবেজ ব্যাগও রেখে দিতে পারেন।

অতিথিদের জুতা রাখার সুব্যবস্থা রাখুন। কারণ, ঘরের বাইরে জুতা এলোমেলো থাকলে দেখতে খুব খারাপ লাগে এবং পাশের ফ্ল্যাটের মানুষের অসুবিধা হতে পারে। জুতা গুছিয়ে রাখর জন্য শু র‍্যাক আবশ্যক। এখন চাকা লাগানো র‍্যাকও পাওয়া যায়, যা সহজে সরিয়ে ধুলো–ময়লা পরিষ্কার করা যায়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২০৬ বার পড়া হয়েছে