করোনাকালে ঘরবন্দি মানুষকে টার্গেট করে ভয়ঙ্কর রকমের অনলাইন প্রতারণা করছে কয়েকটি চক্র। অনলাইনে বিভিন্ন পণ্যর চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা নিম্ন্নমানের পণ্য পাঠিয়ে আবার অনেক সময় প্রকৃত পণ্য না দিয়ে আলু/পটল/পিয়াজের মতো পণ্য পাঠিয়ে প্রতারণা করছে। আর গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অনলাইন সাইটে পণ্যের অর্ডার করে প্রতারণার শিকার এখন হাজার হাজার মানুষ। এসব ভুক্তভোগী অভিযোগ দেয়ার মতো জায়গাও খুঁজে পাচ্ছেন না। বড়জোর থানায় একটি জিডি করে রাখছেন। অথচ প্রতারণা করে চক্রের সদস্যরা লাখ লাখ টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। বড় ধরনের প্রতারণা করেও তারা অনেক সময় আইনের আওতায় আসছে না।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের নামে সাইট খুলে ভয়ঙ্কর অনলাইন প্রতারণা চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। তারা হলেন, রকি বিশ্বাস (২৫), মো. হেকমত আলী (২৭), মো. কচিবুর রহমান (২২), শিমুল মণ্ডল (২৭), মো. আনিছুর রহমান শেখ (২৯) ও মো. মাজহারুল ইসলাম (২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কোচ সার্ভিসের বুকিং মেমো ২০২টি, পণ্য বিক্রয়ের ক্যাশ মেমো ১১৭টি, ৪৬ জোড়া বিভিন্ন রঙের ব্যবহারের অযোগ্য জুতা, ১০টি চার্জার, ১টি ল্যাপটপ, ১৫টি বিভিন্ন পণ্যের বুকিং ফেরতযোগ্য বক্স, ১২টি বিভিন্ন মডেলের ব্যবহারের অযোগ্য মোবাইল ফোন ও ব্যবহারযোগ্য ১৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এই চক্রটি তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে সর্বমোট ২৪টি সাইট খুলে মানুষের সঙ্গে অনলাইন প্রতারণা করছে। এসব সাইটের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডও রয়েছে। ডিবি জানিয়েছে, দারাজ অনলাইন, দারাজ অনলাইন৭১, দারাজ অনলাইন শপ, দারাজ এক্সপ্রেস, দারাজ অনলাইন বিডি, ফ্যাশন জোন, গ্যালাক্সি২৪, অনলাইন মোবাইল গ্যালাক্সি, শপিং সেন্টার নেট, শপিং জোন বিডি, শপিং ডেলস, স্মার্ট শপ বিডি, উইনটার কালেকশন, সোনিয়া ফ্যাশন হাউজ, সু বাজার ডটকম, ফ্যাশন হাউজ২৪, চায়না ফ্যাশন বিডি, বিডি ফ্যাশন শপসহ আরো অনেক নামে-বেনামে পেজ খুলে তারা প্রতারণা করতো।
ডিবি জানিয়েছে, চক্রের সদস্য কচিবুর রহমান ৫টি পেজ, রকি বিশ্বাস ও হেকমত ১৬টি পেজ ও শিমুল মণ্ডল ৩টি পেজ পরিচালনা করতো। এসব পেজে তারা সবসময় ভালোমানের মোবাইল, জুতা, ঘড়ি, থ্রি-পিস, শাড়িসহ মূল্যবান প্রয়োজনীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতো। কোনো ব্যক্তি এসব পণ্য দেখে অর্ডার করলে ১৫০ টাকা নিয়ে অর্ডার কনফার্ম হওয়ার পর চক্রের সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন ফুটপাথ থেকে কম দামে পণ্য কিনে প্যাকেট করে ক্রেতার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতো।
ডিবি জানায়, প্রতারক চক্রের কাছ থেকে কেউ যদি এস এ পরিবহন থেকে কন্ডিশনে টাকা দিয়ে পণ্য বুঝে নিতে রাজি হতো তাহলে প্রথমে তারা ১৫০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিতো। বাকি টাকা এস এ পরিবহন নিয়ে পরে তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়। কেউ যদি হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পণ্য চায় সেক্ষেত্রে পার্সেলের ১৫০ টাকাসহ পণ্যের মূল্য অনুযায়ী সমুদয় টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয়। অনেক সময় তারা টাকা পেয়ে কোনো পণ্য না পাঠিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ক্রেতারা যদি অন্য কোনোভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তবে প্রতারকরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বালি ৫দিন ৪ রাত
কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবি)
যমুনা রিসোর্ট প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছেপূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...
৩৮৬ বার পড়া হয়েছে





