‘পর্দা ঝুলান। সেগুলো ঘরে পরিপূর্ণতা আনবে। সাজের অন্যতম অনুষঙ্গ লিপস্টিকের মতোই একে চিন্তা করতে হবে।’ বিখ্যাত মার্কিন ডিজাইনার ও অন্দরসজ্জাবিদ পিটার ডানহামের এমন উক্তির সঙ্গে একমত হয়তো হওয়াই যায়। কারণ, ঘরের সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে পর্দা আর বিছানার চাদরের ওপর।

আসছে ঈদুল আজহা। ঘরের পর্দা বা চাদর নিয়ে নতুন করে ভাবাই যায়। রুচিশীল নকশা ও রঙের পর্দা–চাদর, ঈদের দিনে আপনার ঘরের সাজে পরিপূর্ণতা আনবে। তবে জানালা-দরজার পর্দা ও বিছানার জন্য চাদর নির্বাচনে হতে হবে যত্নবান। অন্দরের আকার, মেঝের ধরন অনুযায়ী বিছানার চাদর আর পর্দা পরিবর্তন করতে হবে। আর এতেই ঈদের সাজে পুরো ঘর নতুন হয়ে উঠবে।

ঘরের আকার–আকৃতি কেমন, তার ওপর নির্ভর করেই ঈদের দিনে বিছানার চাদর ও পর্দা বাছাই করা উচিত। মেঝের ধরন, ঘরের আকার আর আলোর উপস্থিতি—সব বিষয়েই দিতে হবে প্রাধান্য। আকারে বড় ঘর এবং মেঝেতে কাঠের কারুকাজ বা মার্বেল করা ঘরে গাঢ় যেকোনো রঙের বিছানার চাদর ও পর্দা মানিয়ে যাবে খুব সহজেই। ছোট ঘরে ছোট ছাপা ও ব্লক করা এবং হালকা রঙের বাটিক বা টাই–ডাইয়ের পর্দা ও চাদর ভালো লাগবে। এতে ঘরের আকার বড় মনে হবে এবং এলোমেলো দেখাবে না।

চাদর অবশ্যই হতে হবে বিছানার মাপমতো, তবেই এর সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। বর্ষার সময়ে সুতি চাদর আরামদায়ক হবে। পর্দার ক্ষেত্রে সুতি ছাড়াও সিল্ক বা কৃত্রিম তন্তুর পর্দা ব্যবহার করা যায়। এমন মতামত দিলেন অন্দরসজ্জা প্রতিষ্ঠান এম অ্যান্ড এসের প্রধান ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসালটেন্ট মুমানা ইসলাম। 

বছরজুড়ে চাদর আর পর্দায় যে ধরনের নকশা দেখা গেছে, এখন সেসবে এসেছে পরিবর্তন। বাজারে এখন চলছে চারপাশে বর্ডার দেওয়া বিছানার চাদর। ফুলেল ছাপা বা ব্লকপ্রিন্টের বর্ডার দিয়ে ভেতরে ছোট কলকি, গোল আলপনা বা লতার সঙ্গে বড় কয়েকটি ফুলের নকশা এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। পর্দায় শুধু নিচের বা ওপরের দিকে করা নকশার প্রাধান্য কমে আসবে। পুরো পর্দায় করা নকশা রয়েছে এবার ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Singapore Tour with Sentosa 4D/3N

মূল্য: ২৪,৯০০ টাকা

US Visa for Retired Person

মূল্য: 5,000 Taka

আড়ংয়ের বিছানার চাদর ও পর্দার নকশায় রয়েছে নতুনত্ব। ফুলেল ছাপার প্রাধান্য থাকলেও তার ধরনে এসেছে পরিবর্তন। পুরো চাদরে ছোট ছোট ফুল, ফুলের আলপনা রয়েছে। আছে ফুল ও লতাপাতার আরও সব নকশা। এগুলোর জন্য মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লকপ্রিন্ট, অ্যাপলিক ও কাটওয়ার্ক ইত্যাদি। পাশাপাশি টাই–ডাইয়ের নকশাও দেখা যাচ্ছে পর্দায়।

হোমটেক্সের টুইল কাপড়ের ফুলেল ছাপের বর্ডার দেওয়া চাদরের চাহিদা বেশ বলে জানা গেল। এ ছাড়া চাদরের পুরোটায় লতার সঙ্গে ছোট ছোট পাতার নতুন নকশাও দেখা যাচ্ছে। ঈদে ঘরে দেশীয় আমেজ আনতে নকশি কাঁথার কাজ করা চাদরও ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনভিত্তিক দেশি ই-শপে চিরাচরিত নকশি কাঁথার চাদরের পাশাপাশি ডোরাকাটা হালকা নকশি করা চাদর একেবারেই ভিন্নধর্মী।

ফ্যাশন হাউস যাত্রায় চাদর ও পর্দা সারা বছরই পাওয়া যায়। এখন রয়েছে ব্লকপ্রিন্ট ও টাই–ডাই করা বিশেষ কিছু পর্দা ও চাদর। অনলাইনভিত্তিক ঐক্যতে হাতের কাজ করা, ছাপা ও এমব্রয়ডারি করা হালকা ও গাঢ় দুই রঙের পর্দা পাওয়া যাচ্ছে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৪৮২ বার পড়া হয়েছে