মোনালিসার মতো বিশ্ববিখ্যাত ছবিতে মানুষই মূল চরিত্র। তবে প্রাণহীন বস্তুর ছবিও পশ্চিমা শিল্পকলার বিষয়বস্তু হতে পারে ‘স্টিল লাইফ’ এমনই এক ধরনের ছবি নেদারল্যান্ডসের এক শিল্পী ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ কাজ করছেন তার নাম বাস মেউস। তিনি ফুলের তোড়ার মাধ্যমে অবহেলিত এই শিল্পকলাকে নতুন মাত্রা দিচ্ছেন।
ফটোশিল্পী বাস মেউস প্রতিটি ফুলের আলাদা ছবি তোলেন তারপর কম্পিউটারের পর্দায় তিনি ডিজিটাল কোলাজ তৈরি করেন। প্রথমবার দেখলে এসব ছবি চিরায়ত ‘স্টিল লাইফ’ শৈলীর উদাহরণ মনে হতে পারে। সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর ফ্লেমিশ চিত্রকরদের ছবি দেখে তিনি প্রেরণা পান সেই আমলের চিত্রশিল্পীদের মতোই তিনি এমনভাবে ফুল সাজাতে ভালোবাসেন, বাস্তবে যা অসম্ভব।
তিনি বলেন, আমার স্টিল লাইফ সৃষ্টিকর্মে আমি সময় নিয়ে খেলতে ভালোবাসি প্রত্যেক মরসুমে ফুলের ছবি তুলে আমি সেই কাজ করি আমি বসন্ত, গ্রীষ্ম ও হেমন্তকালের এমন সব ফুল একসঙ্গে সাজাই, বাস্তব জীবনে যা একেবারেই সম্ভব নয়।
বাস মেউস সব জায়গায় প্রেরণা খুঁজে পান প্রায়ই তিনি নতুন মোটিফের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। সারা বছর ধরে তিনি সব রং ও আকারের ফুলের ছবি তুলে বেড়ান তার তথ্যভাণ্ডারে এর মধ্যে বারো হাজারেরও বেশি ছবি জমা হয়েছে। দামি দোকানের অসাধারণ পুষ্পশয্যা থেকে শুরু করে পাড়ার ছোট ফুলের দোকান অথবা বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিরল ফুলÑ তিনি কোনো উৎসই অবহেলা করেন না দুই যুগের মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে বাস মেউস বলেন, সপ্তদশ শতাব্দীর চিত্রকররা তেল, প্যালেট ও ক্যানভাস কিনে ছবি আঁকতেন আর আমার ফুলের ছবির প্রয়োজন হয়; যা আমার স্টিল লাইফের ভিত্তি? অর্থাৎ ফটোগুলো আমার ডিজিটাল রং এবং আমার কম্পিউটার এক ধরনের ক্যানভাস হয়ে ওঠে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
মিশর ভিসা (বিজনেসম্যানদের জন্য)
Singapore Tour with Sentosa 4D/3N
চায়না ভিসা (বিজনেসম্যান)
আমি ডিজিটাল পদ্ধতিতে তার ওপর ছবি আঁকি তিনি বলেন, বিভিন্ন গ্যালারি ও মিউজিয়ামে গিয়ে তিনি ফুলদানির ছবি তোলেন স্টিল লাইফ মোটিফের মধ্যে এটি অপরিহার্য। বাস মেউস বলেন, আমার স্টিল লাইফ কম্পোজিশন শুরু করার সময় সবার আগে ফুলদানি দিয়ে শুরু করি অর্থাৎ এই ফুলদানি শুধু একটি সরঞ্জাম নয়, বরং সেটিই ছবির ভিত্তি হয়ে ওঠে। এটা অত্যন্ত জরুরি তা ছাড়া ফুলের তোড়া ও ফুলদানির মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হবে? কখনো ফুলদানি একেবারে সামনে থাকে তখন ভারসাম্যের স্বার্থে ফুলের তোড়াকে তরতাজা ও রঙিন করে তুলতে হয়।
এমন ছবির কম্পোজিশনের ধারার ক্ষেত্রে যুগে যুগে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ডিজিটাল শিল্পী হিসেবে মেউসও আলাদা করে প্রতিটি ফুল বেছে নেন। ধীরে ধীরে ছবিটি ফুটে ওঠে অবশ্যই ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বাস মেউস মনে করেন, আমার মতে, ভালো ও প্রাণবন্ত স্টিল লাইফ ছবির মধ্যে কিছু উত্তেজনা থাকতে হবে। আমি ছবিকে প্রাণবন্ত করতে চাই সে কারণে আমি ছবিতে অনেক পোকামাকড় ও অন্যান্য প্রাণী রেখেছি। বাস্তবে গাছপালা প্রজননের জন্য পোকামাকড়ের ওপর নির্ভরশীল। কখনো আবার পোকা বা শুঁয়োপোকা গাছপালার জন্য হুমকি হয়ে ওঠে। আসলে সবটাই জীবনের এক বৃত্ত মানুষকে সেটাই দেখাতে চাই।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
৮৪১ বার পড়া হয়েছে