সামনেই আসছে শীতকাল। আর আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঠিকভাবে নিজের যত্ন নিলেই এই অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠা যায়।
আর অসুস্থতা সারিয়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক সঠিক খাবার। এসব খাবার আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে রোগ থেকে মুক্তি দিতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।
১. চিকেন স্যুপ
অসুস্থ হলে অনেক চিকিৎসকই চিকেন স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর কারণ হচ্ছে এটি ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ক্যালোরি এবং প্রোটিনের অনেক ভালো উৎস। আর এ জন্য এটি আপনার শরীরের অসুস্থতা থেকে পুনরুদ্ধারের সময় আপনার শরীরে অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। এ ছাড়া চিকেন স্যুপ তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা ডায়রিয়া, বমিভাব, ঘাম বা জ্বরের কারণে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিতে থাকলে তা নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. তরকারির পাতলা ঝোল ও নেহারি
বিভিন্ন মাংসের তরকারির পাতলা ঝোল ও নেহারি খেলে তা আপনার অসুস্থতা সারিয়ে তুলতে অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে মুরগি, কবুতর, কোয়েল ইত্যাদি পাতলা ঝোল করে রান্না ইলেক্ট্রোলাইটের চমৎকার উৎস এবং এগুলো আপনার অসুস্থতা নিরাময়ে সহায়ক হতে পারে। আর হাড়ের ঝোল বা নেহারিতে প্রাণীর হাড় থেকে কোলাজেন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে বলে তা দ্রুতই রোগ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।
৩. রসুন
রসুনের অনেক উপকারী ঔষধি উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন টেস্টটিউব এবং প্রাণী গবেষণায় দেখা গেছে যে, রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং সর্দিজ্বরের সমস্যা কমাতে অনেক উপকারী।
৪. ডাবের পানি
অসুস্থ হলে ডাবের পানি পান করার কথাটি আমাদের অনেক পরিচিত। আর এটি আপনার অসুস্থতা সারিয়ে তুলতে অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে তা বমি, ঘাম, ডায়রিয়া ও জ্বরের সময় শরীরে তরল সরবরাহ করে সেরে উঠতে উপকার করে। এ ছাড়া এতে কিছুটা প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা আপনার শরীরের জন্য দ্রুত এবং সহজেই ব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎস প্রদান করতে পারে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবী)
ইস্তানবুল, কাপাডোসিয়া ও আন্টালিয়া ৮দিন ৭রাত
Maldives (Fun Islands) 3D/2N
৫. গরম চা
ঠাণ্ডা-জ্বরের সঙ্গে লড়াই করতে অন্যতম জনপ্রিয় ও সহায়ক একটি প্রতিকার হচ্ছে গরম চা পান করা। চায়ের মধ্যে পলিফেনল থাকে যার প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী প্রভাব।
৬. মধু
মধুতে জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। এ কারণে মৌসুমি অ্যালার্জি, জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
৭. আদা
আদার অনেক ভেষজ ঔষধি গুণাগুণ থাকার কারণে তা ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে অনেক পরিচিত। তাই আপনার মৌসুমি বিভিন্ন সমস্যার নিরাময়ে আদা খেতে পারেন। এর জন্য আপনি রান্নায় ও চায়ের সঙ্গে কাঁচাআদা খেতে পারেন। এমনকি আপনি কাঁচাআদা খালি মুখে নিয়ে থাকলেও তা আপনার বমিভাব ও বমি হওয়ার পর খারাপ লাগা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৭৩ বার পড়া হয়েছে





