আলু-পিয়াজ, চাল ও ভোজ্য তেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়ায় শঙ্কিত সাধারণ ভোক্তারা। বাজারে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেশি বেড়েছে চাল ও সয়াবিন তেলের দর। টানা তিন সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলেছে এই দু’টি পণ্যের দাম। দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে পিয়াজ, আলু, ভোজ্য তেল, আদা, রসুনসহ আরো বেশ কয়েকটি পণ্য। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবেই গত এক সপ্তাহে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে ৭.৭৬ শতাংশ।
বর্তমানে খুচরা বাজারে যা ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ আগের সপ্তাহে একই চাল ৫৬-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ওদিকে চালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সয়াবিন তেলের দামও। বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহ থেকেই তেলের বাজার অস্থির। ৭ দিনের ব্যবধানে কেজিতে আরো ২-৩ টাকা বেড়েছে। আর টিসিবি বলছে, গত এক সপ্তাহে ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১.৯০ শতাংশ বেড়েছে, যা খুচরা বাজারে ৫১০-৫৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৬.৬৭ শতাংশ বেড়ে ১১৫-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কয়েক মাস ধরে চড়া আলুর বাজার। মাঝে কিছুটা কমলেও আবারো অস্থির হতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। অথচ বিক্রেতারা জানিয়েছিলেন, শীতের সবজি বাজারে এলে আলুর দাম কমবে। তবে বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজি আসায় সব ধরনের সবজির দাম হাতের নাগালে পাওয়া গেলেও আলুর দাম আরো বাড়তির দিকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১১.৮৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। এ ছাড়া দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে ছোলা, জিরা এবং ডিম। ছোলার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৩.৪৫ শতাংশ বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৪.৬২ শতাংশ। ডিমের দাম ৬.৯০ শতাংশ বেড়ে হালি ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দাম কমে গিয়ে স্থিতিশীল থাকা পিয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ৪.৫৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ৫০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পিয়াজের কেজি ১৬.৬৭ শতাংশ বেড়ে গিয়ে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। তবে বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশি নতুন পিয়াজের দাম না বাড়লেও পুরান পিয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৪-৫ টাকা বেড়ে এখন ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর চায়না থেকে আমদানি করা পিয়াজ ২-৩ টাকা বেড়ে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরায় প্রতি কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬-৬০ টাকা। প্রতিকেজি পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা, যা ৭ দিন আগে ছিল ৫০-৫৪ টাকা। আর মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৪-৪৮ টাকা। ওদিকে ভোজ্য তেলের মধ্যে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা, যা ৭ দিন আগে ছিল ১২০ টাকা। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫৮০ টাকায়, যা ৭ দিন আগে ছিল ৫৫০ টাকা।
চালের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে কাওরান বাজারের ঢাকা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. সায়েম মানবজমিনকে বলেন, এমনিতেই বছরজুড়েই চালের বাজার চড়া। এখন নতুন ধান উঠেছে। দাম যেখানে কমার কথা সেখানে দাম আরো বাড়তি। অবস্থা যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে দাম আরো বাড়বে। এই সময়ে নতুন চাল ৪০-৪৮ টাকায় বিক্রি করার কথা সেখানে ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে মিলাররা বলেন- ধানের নাকি সংকট। সেজন্য চালের দামে প্রভাব পড়েছে। তাহলে দেশে এতো ধান উৎপাদন হলো সেগুলো কোথায় গেল? আচ্ছা বুঝলাম যে, ধানের সংকট তাই নতুন চালের দাম বেড়েছে, কিন্তু মিনিকেট নাজিরশাইল চালের দাম বাড়ছে কেন? তিনি বলেন, আসলে এটা তাদের শুধুমাত্র অজুহাত। তারা মৌসুমে ধান কিনে গুদামে মজুত করে বলে ধানের সংকট। মূলত সিন্ডিকেট করে নানা অজুহাতে মিলাররা চালের দাম ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছেন। এতে আমাদের ব্যবসাতেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। কারণ, ক্রেতারা আগের তুলনায় চাল কিনছেও কম। আগে যেখানে তারা ২৪০০-২৫০০ টাকা দিয়ে এক বস্তা চাল কিনতেন সেখানে এখন ২৯০০-৩০০০ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। এতে আমাদের ব্যবসা যেমন খারাপ চলছে তেমনি ক্রেতারাও সমস্যার মধ্যে আছেন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বালি ও লম্বক ৫দিন ৪ রাত
Vietnam & Cambodia 9D/8N
Thimpu-Paro 4D/3N
পিয়াজের দাম নিয়ে কাওরান বাজারের খান অ্যান্ড সন্স বাণিজ্যালয়ের গৌতম বাবু মানবজমিনকে জানান, বাজারে কিছু নতুন পিয়াজ এলেও পুরান পিয়াজের সংকট রয়েছে। সেজন্য দাম বেড়েছে। তবে নতুন পিয়াজের দাম বাড়েনি। পুরান এবং আমদানি করা পিয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। কারণ নতুন পিয়াজ বাজারে এলেও ক্রেতাদের কাছে পুরান পিয়াজের চাহিদা রয়েছে। নতুন দেশি পিয়াজ বাজারে পুরোদমে আসা শুরু হলে দাম আবারো কমে যাবে বলে জানান তিনি।
Source: mzamin
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছেপূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...
২৭৭ বার পড়া হয়েছে