অ্যালোভেরাতে রোগ নিরাময়, ত্বক মেরামত ও প্রশান্তিদায়ক শক্তি রয়েছে বলে শতশত বছর ধরে এটাকে হার্বাল মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে শরীরের কিছু সমস্যায় অ্যালো ভেরার ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।

* পোকামাকড়ের কামড়: মশার মতো পোকামাকড় কামড়ানোতে ত্বক ফুলে গেছে? চুলকাচ্ছে? তাহলে সেখানে অ্যালোভেরার নির্যাস লাগিয়ে দেখতে পারেন। মাউন্ট সিনাই হসপিটালের অন্তর্গত আইকান স্কুল অব মেডিসিনের ডার্মাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডেব্রা জালিমান বলেন, ‘অ্যালোভেরার প্রদাহনাশক উপাদান পোকামাকড়ের কামড় জনিত চুলকানি, খোঁচানি ও ফোলা কমাতে পারে।’

* দাঁতের ক্যাভিটি: ২০১৫ সালে জার্নাল অব ফার্মেসি অ্যান্ড বায়োঅ্যালায়েড সায়েন্সেসে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দাঁতে অ্যালোভেরার নির্যাস ব্যবহার করলে দাঁতের সংবেদনশীলতা কমতে পারে, দাঁত পরিষ্কার হতে পারে ও ক্যাভিটি (দাঁতের ক্ষয়) প্রতিরোধ হতে পারে।’ গবেষকরা দেখেছেন, ক্যাভিটি সৃষ্টিকারী জীবাণুকে (যেমন- স্ট্রেপ ও ই. কোলাই) নিয়ন্ত্রণ করতে দুটি বাণিজ্যিক জনপ্রিয় টুথপেস্টের তুলনায় অ্যালোভেরা টুথ জেল বেশি কার্যকর ছিল।

* পেটের সমস্যা: ২০১৮ সালে জার্নাল অব নিউরোগ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড মোটিলিতে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, অ্যালোভেরার শরবত পান করলে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের (আইবিএস) উপসর্গ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যেতে পারে। আইবিএসের কিছু উপসর্গ হলো- কোষ্ঠকাঠিন্য, পাতলা পায়খানা, ডায়রিয়া, পেট কামড়ানো, পেট ব্যথা, পেটে গ্যাস জমা, পেট ফেঁপে যাওয়া ও বমিভাব। অ্যালোভেরার নির্যাসে শক্তিশালী ল্যাক্সাটিভ ইফেক্ট (মল নিঃসারক ক্ষমতা) রয়েছে। এটি পরিপাক নালীতে বর্জ্য চলাচল সহজ করে।এর ফলে পেটের সমস্যা কমে যায়।

* ফোসকা: ডা. জালিমান জানান, ফোসকার ওপর অ্যালোভেরার নির্যাস ঘষলে লালতা ও ফোলা কমে যাবে, কারণ এতে প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে। অ্যালোভেরার নির্যাস ত্বকে প্রয়োগ করলে ফোসকার নিরাময় দ্রুত হবে ও আরাম পাবেন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Singapore Tour with Universal Studio 4D/3N

মূল্য: ২৬,৯০০ টাকা

US Visa (Spouse)

মূল্য: 5,000 Taka

* রোদে পোড়া ত্বক: সানবার্ন হলে, অর্থাৎ রোদে ত্বক পুড়ে গেলে সেখানে অ্যালোভেরার নির্যাসের প্রলেপ দিয়ে উপকার পেতে পারেন। সানবার্নের চিকিৎসায় অন্যতম জনপ্রিয় প্রাকৃতিক চিকিৎসা হলো অ্যালোভেরার নির্যাস। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজির মতে- প্রচলিত ময়েশ্চারাইজার পেট্রোলিয়াম জেলি, লিডোকেইন অথবা বেনজোকেইনের ব্যবহারে সানবার্ন আরো খারাপ হতে পারে, কিন্তু অ্যালোভেরা ব্যবহারে এমনটা ঘটে না। ডা. জালিমান বলেন, ‘অ্যালোভেরার প্রশান্তিদায়ক উপাদান সানবার্নকে আরাম দেবে এবং আর্দ্রকারী উপাদান চামড়ার খসে পড়া এড়াবে ও নিরাময় দ্রুত করবে।’

* ত্বকের শুষ্কতা: ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে গেলে ত্বক ফেটে যেতে পারে। শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা দ্রুত উবে যায় বলে এসময় বাড়তি যত্নের প্রয়োজন রয়েছে, যেমন- নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। আপনি জেনে খুশি হবেন যে অ্যালোভেরার নির্যাস মেখেও ত্বককে আর্দ্র করা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না, কারণ এটা ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে- তাই এটা ঘনঘন ব্যবহার করলে ত্বক উক্ত্যক্ত হতে পারে ও আরো শুষ্ক দেখাতে পারে।

* ব্রণ: আপনি হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবেন না, কিন্তু তারপরও এটা সত্য যে অ্যালোভেরার ব্রণ হঠানোর ক্ষমতা রয়েছে। ডা. জালিমান বলেন, ‘অ্যালোভেরার নির্যাস প্রদাহ কমিয়ে ব্রণের লালতা কমায়। অন্যদিকে এই নির্যাসের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ব্রণ দূর করে।’ তিনি এটাকে ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন। আপনার ত্বক অ্যালোভেরার নির্যাসের প্রতি সংবেদনশীল কিনা যাচাই করতে প্রথমে অন্য স্থানের ত্বকে একটু করে লাগিয়ে দেখুন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২১৪ বার পড়া হয়েছে