ফের সংকটের মুখে পড়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ও সমৃদ্ধ গ্যাসক্ষেত্র তিতাস। এর ‘লোকেশন-১’-এর ৭টি কূপের কম্প্রেসার স্থাপনে দ্বিতীয় দফার দরপত্র নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে বছরে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। কম্প্রেসার বসাতে না পারলে দৈনিক ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা বন্ধ হয়ে যাবে। দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ভিগ্যাস। সবমিলে প্রকল্পের দাতা সংস্থা এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (ADP) কিছুটা অসন্তুষ্ট। তারা বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির কাছে এসব বিষয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে প্রকল্পের দাতা সংস্থা এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিপি) বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডকে চিঠি দিয়েছে। এতে এডিবি দরপত্রের ৭টি কারিগরি বিষয় সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়েছে। অভিযোগ বিজিএফসিএল যে কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয়ার জন্য চূড়ান্ত শর্ট লিস্ট তৈরি করেছে ওই কোম্পানির দেয়া কারিগরি স্পেসিফিকেশনের সঙ্গে ৭ থেকে ১২টি টেকনিক্যাল প্যারামিটার কোয়ালিফাই করছে না।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক কাসেম খান যুগান্তরকে বলেন, এডিবি তাদের কাছে চিঠি দিয়ে যে ব্যাখ্যা চেয়েছে তার প্রতিটি প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেয়া হয়েছে। এখন এডিবিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী হবে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের দাতা সংস্থা এডিবি, কাজেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তাদের। তবে তিনি বলেন, আগে যে কারণে শর্ট লিস্ট হওয়া কোম্পানি নন রেসপন্সিভ হয়েছিল, এবার তারা সেটি পূরণ করেছে। তাছাড়া ওই দরদাতা প্রতিষ্ঠান যে কোম্পানির কম্প্রেসার দিচ্ছে, সেটি বিশ্বসেরা।
কিন্তু এই শর্তও পূরণ করতে পারেনি ওই দরদাতা। এছাড়া টেন্ডার স্পেসিফিকেশন শর্ত অনুযায়ী ওয়াটার কুলিং সিলিন্ডার অফার করা হয়েছিল। কিন্তু দরদাতা প্রতিষ্ঠান এয়ার কুলড সিলিন্ডার সরবরাহ করেছে, যা এই টেন্ডারের জন্য প্রস্তাবিত নয়।
এ প্রসঙ্গে পিডি কাশেম খান যুগান্তরকে বলেন, ওয়াটার কুলিং সিস্টেম অনেক পুরনো। অপরদিকে এয়ার কুলিং আধুনিক ও আপগ্রেড। তাদের এই অভিযোগ সঠিক নয়। তাছাড়া সর্বনিু দরদাতা এপিআই-৬১৮ স্ট্যান্ডার্ডের মান অনুযায়ী দরপত্র জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, এসব অভিযোগের সব উত্তর তারা এডিবিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
এদিকে নানা অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে কম্প্রেসার বসাতে না পারায় তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে দ্রুত কমে যাচ্ছে গ্যাসের চাপ (রিজার্ভার প্রেসার)। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ক্ষেত্রটির ‘লোকেশন-১’-এর ৫টি কূপের। সম্প্রতি এডিবিকে দেয়া বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বালি-লম্বক-গিলি আইল্যান্ড ৭দিন ৬ রাত
Paradise island, Maldives, 4D/3N
Australia Visa for Lawyer
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক প্রাকৃতিক চাপে এসব কূপ থেকে এক বছর পর্যন্ত গ্যাস তোলা সম্ভব হবে। এরপর দৈনিক ২০ কোটি (২০০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাবে, যার আর্থিক মূল্য বছরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এজন্য কম্প্রেসার বসানো জরুরি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সময়মতো ‘কম্প্রেসার’ বসাতে না পারার কারণেই সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতির। এজন্য বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা লোকেশন-১-এর ৫টি কূপে কম্প্রেসার বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এই ক্ষেত্রটি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার টিসিএফ গ্যাস তোলা হয়েছে। এরপরও এখানে প্রায় সমপরিমাণ গ্যাসের মজুদ আছে। এই গ্যাস তোলার জন্য ওয়েলহেড কম্প্রেসার বসানো প্রয়োজন। এজন্য এডিবির আর্থিক সহায়তায় বিজিএফসিএল ওই ৫টি কূপে ওয়েলহেড কম্প্রেসার বসানোর প্রকল্প গ্রহণ করে।
সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার মধ্যেই ৫টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের হার দৈনিক ৩০ কোটি ঘনফুট থেকে কমে ২০ কোটি ঘনফুটে দাঁড়ায়। ৫টি কূপে কম্প্রেসার বসানো হলে গ্যাস উত্তোলন আবার ৩০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৮১ বার পড়া হয়েছে