আবাসন ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্লট-ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ব্যয় কমাতে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে ভ্যাট-ট্যাক্স আর নিবন্ধন ফিসহ সবমিলিয়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে ১৪ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে। এ ব্যয় কমে ১০ শতাংশের নিচে নামতে পারে। আগামী বাজেটে এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর ভিত্তিতে সম্প্রতি এনবিআরের আয়কর বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স ও নিবন্ধনের অন্যান্য ফি কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আবাসনের বিদ্যমান ভ্যাট বিদ্যমান তিন শতাংশ থেকে দুই শতাংশে, স্ট্যাম্প শুল্ক তিন শতাংশ থেকে দেড় শতাংশে, নিবন্ধন ফি দুই শতাংশ থেকে এক শতাংশ এবং স্থানীয় সরকার কর দুই শতাংশ থেকে দেড় শতাংশে নামতে পারে। অর্থমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে প্লট ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ব্যয় কমবে। অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষ আবাসনে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।
এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সাধারণ ও স্বল্প আয়ের মানুষ ফ্ল্যাট ক্রয়ে আগ্রহী হবেন বলে মনে করছেন আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা। রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) প্রথম সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ইত্তেফাককে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এ দাবি জানিয়ে আসছি। প্রতিবেশী দেশগুলোতে আবাসনের নিবন্ধন ব্যয় অনেক কম। সরকার আবাসনের ব্যয় কমালে উচ্চবিত্তের পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষও ফ্ল্যাট ক্রয় করতে আগ্রহী হবেন। তবে তিনি বলেন, এনবিআর ও রিহ্যাবের যৌথ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ ব্যয় অর্ধেকে নামিয়ে আনার দাবি আমাদের।
ফিচার বিজ্ঞাপন
মিশর ভিসা (বিজনেসম্যানদের জন্য)
Alexandria & Cairo 6D/5N
Toyota Allion 2014 G Package
সূত্র জানিয়েছে, সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোতে ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় চার শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ সাত শতাংশ। বাংলাদেশে মাত্রাতিরিক্ত নিবন্ধন ব্যয় নিয়ে গত এক দশক ধরে কথা বলে আসছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
ফ্ল্যাটের বিদ্যমান নিবন্ধন ফি অর্ধেকে নামিয়ে আনা ছাড়াও এ খাতের সেকেন্ডারি বাজার শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একই ফ্ল্যাট দ্বিতীয়, তৃতীয়বার বিক্রির ক্ষেত্রে নামমাত্র নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা, অর্থপাচার রোধে অপ্রদর্শিত আয় এ খাতে বিনিয়োগের বিধান সহজ করা ও অন্যান্য সংস্থার প্রশ্ন উত্থাপন থেকে দায়মুক্তি দেওয়া, সরবরাহকারীর ভ্যাট ও উেস কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে আবাসন নির্মাতাদের অব্যাহতি দেওয়া, ডেভেলপারদের প্রদেয় আয়করকে ‘চূড়ান্ত কর দায়মুক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করা এবং গেইন ট্যাক্স বিদ্যমান ১৫ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৪ শতাংশে নির্ধারণের দাবি রয়েছে রিহ্যাবের।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৮৯৮ বার পড়া হয়েছে