বিশ্বব্যাপী কোভিড– ১৯ এর মহামারীতে এক কঠিন অর্থনৈতিক মন্দায় নিমজ্জিত সকল ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য। মহামারী হলে অর্থনৈতিক মন্দা হবে এটা খুবই স্বাভাবিক। এই অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব আবাসন শিল্পে অনেক বেশি। ক্রেতার সংখ্যা হুট করে কমে যাওয়ায় আবাসন শিল্পে বিগত অনেক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। তবে এই সময়ের যোগান এবং চাহিদার ভারসাম্য না থাকায় এবং পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় ক্রয় বান্ধব হওয়াতে ক্রেতা বা বিনিয়োগকারীর জন্য খুব ভালো সময় বলা যায়। তাই এই সময় ফ্ল্যাট বা রিয়েল এস্টেট এর যে কোনো খাতে বিনিয়োগ করে একজন ক্রেতা কি কি সুবিধা পেতে পারেন তা ধারাবাহিক আলোচনা করা যেতে পারে।

চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীনতা

কোন পণ্যের চাহিদার তুলনায় যদি যোগান বেশি হয় স্বাভাবিক ভাবে বাজার ভারসাম্যের জন্য দাম কিছুটা কমে যায়। কোভিড– ১৯ এর পূর্বে রিয়েল এস্টেট বাজারের চাহিদার তুলনায় কিছুটা নির্মাণাধীন বা সম্পূর্ণ নির্মিত ফ্লাট এর যোগান বেশি ছিল, তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যান্য খাত সচল থাকায় ভালোই বেচাকেনা চলছিল। কোভিড– ১৯ এর কারণে ক্রেতার সংখ্যা হুট করে কমে যায়। কিন্তু বিক্রয়যোগ্য ফ্লাট যথারীতি বাজারে অবস্থান করছে।যে কারণে ছোট ও মাঝারি অনেক ডেভলপার কোম্পানী নগদ অর্থের সংকটে আছে তাই অনেকে প্রতিষ্ঠান এর আনুষঙ্গিক খরচ উঠানোর জন্য বিনিয়োগের চেয়েও কম মূল্যে ফ্ল্যাট বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। ছোট এবং মাঝারি কোম্পানিগুলো এরকম ব্যবস্থা নেওয়াতে বড় কোম্পানিগুলো অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হচ্ছে কম মূল্যে বা অধিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের পণ্য বিক্রি করতে। বাজারে এই চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক বেশি হওয়াতে ক্রেতারা বিক্রেতার কাছ থেকে অধিক সুবিধা নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।

কম সুদে ব্যাংক লোনের সুবিধা

বিগত অনেক বছরের মধ্যে ব্যাংক লোনের সুদের হার সবচেয়ে কম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রহেলা এপ্রিল ২০১৯ থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত যে কোনো লোনের ক্ষেত্রে ৯% বা কোন কোন ক্ষেত্রে তার চেয়ে অনেক কমে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক মাত্র ৬% হারে আমানতকারী কে সুদ দিচ্ছে। যা দুই বছর আগে বিভিন্ন ব্যাংক বা ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলো ৯ থেকে ১১% হারে সুদ দিত। কাজেই এখন ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রেখে খুব অল্প পরিমাণে গ্রাহকরা সুবিধা পাচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করে অল্প সুদে পরিশোধ করার যে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে তা বিগত দিনগুলোতে কল্পনা করা যাচ্ছিল না।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Siliguri – Gangtok (Sikkim) 6D/5N

মূল্য: ২০,৫০০ টাকা

বিনিয়োগের সঠিক মাধ্যম ও আস্থার অভাব

বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকে টাকা রেখে যেমন খুব অল্প পরিমাণ সুদ পাচ্ছেন তেমনি পুঁজিবাজারে মহা ধসের কারনে সবাই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। পুঁজিবাজারে এখন এক অনিশ্চিত ও হতাশার জায়গা। তাই এখানে আর কেউ নতুন করে বিনিয়োগ করতে চাইবেন না। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের বেশিরভাগ খাতে বিক্রয় কমে যাওয়াতে এই সময় নতুন করে বড় অংকের বিনিয়োগ করা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ না,যেখানে পুরাতন ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছে। আর ঠিক এই অবস্থায় যেহেতু রিয়েল এস্টেট বাজারে ক্রেতার তুলনায় বিক্রেতা অনেক বেশি তাই এই মুহূর্তে প্রত্যেকটি ক্রেতা ফ্ল্যাট বা কোন কমার্শিয়াল স্পেস কেনার সময় অনেক গুলা দেখে একজন রিয়েল এস্টেট পরামর্শকের সহযোগিতায় তুলনামূলক কম দামের মধ্যে ভালো ফ্ল্যাট বা কমার্শিয়াল স্পেস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি যা কোভিড– ১৯ এর পূর্বে ও এতটা সুবিধা ছিল না।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২২৮ বার পড়া হয়েছে