আমার বয়স ২৭ বছর। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সেই সুবাদে আমার এক সহকর্মীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়। ধীরে ধীরে আমরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। এবং আমরা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। তার মা-বাবা আমাকে মেনে নিতে পারবে না বলে আমার সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক রাখবে না বলে জানিয়েছে সে। তার সঙ্গে প্রতিদিন অফিসে দেখা হয়। তখন খুব বেশি কষ্ট লাগে। আমার এবং আমার পরিবারের জন্য চাকরিটা দরকার, তাই চাকরিটা ছাড়তেও পারছি না। আত্মহত্যা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। খুব বিষণ্নতায় ভুগি। আমার কী করা উচিত? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: সম্পর্কটি এতটা গভীর হওয়ার আগেই তাঁর পরিবার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণাগুলো নেওয়া এবং পরস্পরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন ছিল। আমি বুঝতে পারছি না আপনারা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কি না।

পরিপক্ব বয়সে আবেগের কাছে এতটা নতিস্বীকার করলে এর জন্য অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়। ছেলেটির তো তাঁর মা-বাবার মন বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না। তাঁর উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে অনেক আগেই সরাসরি আলোচনা করে নেওয়া। এ ব্যাপারে তিনি যদি যথেষ্ট উদ্যোগ না নিয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি আপনার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আর একটি ব্যাপার হচ্ছে, আপনাদের দুজনের মধ্যে মানসিক বা আবেগময় বন্ধনটি হয়তো এতটা দৃঢ় ছিল না। এর ফলে ছেলেটি তাঁর প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করে আপনাকে তার স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আন্তরিক হননি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

ব্রুনাই ভিসা

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

Cambodia (Phnom Penh & Siem Reap) 6D/5N

মূল্য: 43,900 Taka

অফিসে তাঁর সঙ্গে রোজ দেখা হওয়াটা সত্যিই খুব পীড়াদায়ক। যেহেতু আপনার চাকরিটি করা প্রয়োজন, কাজেই এই মুহূর্তে সেটি ছেড়ে দেওয়া তো সম্ভব নয়। আপনি অন্যান্য জায়গাতেও কী সুযোগ রয়েছে তা খুঁজতে শুরু করুন। ছেলেটির প্রতি আপনার যদি রাগ বা ক্ষোভ কাজ করে, তাহলে তাঁকে বড় করে চিঠি লিখে সেটি প্রকাশ করুন। এতে করে মনের ভার কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এ ঘটনার কারণে আপনি ছোট হয়ে গেছেন, এই কথা ভেবে নিজেকে অসম্মান করবেন না বা আপনার মধ্যে কোনো কিছুর ঘাটতি আছে বলে এটি ঘটেছে, তা ভেবে নিজেকে কষ্ট দেবেন না। তবে এই বিশেষ ঘটনা থেকে আপনি যে শিক্ষা গ্রহণ করলেন, তা ভবিষ্যতে কাজে লাগালে আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন না আশা করি।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৪১৩ বার পড়া হয়েছে