গত কয়েক দিন ধরে উত্তরবঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ইত্তেফাক সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম): ভূরুঙ্গামারীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা আর কন কনে ঠান্ডায় মানুষ অনেকটাই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এদিকে এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়া চলতি ইরি-বোরো চাষের মৌসুম শুরু হলেও শীতের কারণে খেতে আমন চারা রোপণ করতে পারছেন না কৃষক। এছাড়া শীতজনিত বিভিন্ন রোগও বেড়েছে।
উপজেলার অটোচালক হামিদুল জানান, অটো নিয়ে রাস্তায় বেড় হইছি; কিন্তু প্রয়োজনীয়সংখ্যক যাত্রী পাচ্ছি না। গত দুই দিনে অটোমালিকের জমার টাকা রোজগার করতে পারি নাই। পরিবারের জন্য খাবার কিনতে কষ্ট হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডায় শীতজনিত রোগ বেড়েছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে আসছেন। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, শীতবস্ত্র হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ৪ হাজার ৬০০ কম্বল পাওয়া গেছে যা ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরো ২ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে, যা আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে বিতরণ শুরু হবে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী): শীতে কষ্টে পড়েছেন সৈয়দপুরের অভাবী ও ছিন্নমূল মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে গরিব ও দুস্থ মানুষের পাশাপাশি বিত্তবানরাও পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি বলে জানান ক্রেতা জয়তন নেছা ও জমিলা বেওয়া। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলে প্রায় বিঘ্ন ঘটছে। সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু হাসনাত সরকার জানান, বরাদ্দ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Maldives (Paradise Island-Beach Vila & Hulhumale) 3D/2N
তুরস্ক ভিসা (চাকুরীজীবী)
Cairo & Luxor 5D/4N
রৌমারী (কুড়িগ্রাম): গত তিন দিনে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় কর্মজীবী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
নতুন বন্দর স্থলবন্দরের পাথর ভাঙ্গা শ্রমিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কয়েক দিন যাবত্ ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কাজও বন্ধ রয়েছে, ঘরে খাবার নেই। দিনমজুর জয়নাল আবেদীন জানান, তিন দিন যাবৎ ঠান্ডার জন্য কাজ করতে পারি না। ঘরে খাবার না থাকায় অন্যের কাছে ধার নিয়ে সংসার চালাচ্ছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ইতমধ্যে প্রথম পর্যায়ে আসা কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরো বরাদ্দ পেয়েছি পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন৩৩৭ বার পড়া হয়েছে




