মমতাজ বেগমের বয়স এখন ৫৫ বছর। স্বামী মারা গেছেন ১৬ বছর আগে। এরপর ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঠাঁই হয় সদর উপজেলার গোলাবাড়ীয়া গ্রামের ভাড়া বাসায়। আয় রোজগার না থাকায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে একটি রুমে কোনো রকমে দিন চালিয়ে নিতেন তিনি। ঘর ভাড়া দিয়ে তিন বেলা খাবার জোগাড় করা সেখানে ছিল কষ্টসাধ্য, সেখানে একটু ভালো খাবার দিয়ে ঈদ উদযাপন করা তার কাছে ছিল আকাশ কুসুম স্বপ্ন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর উপহার পেয়ে এবার তার ভাগ্য বদলেছে। আনন্দের সঙ্গে এবারের ঈদ পালন করছেন তিনি।
মমতাজ বেগম বলেন, ১৬ বছর আগে এক ছেলে আর তিন মেয়ে রেখে স্বামী আক্রাম মুন্সী মারা যাওয়ায় দুই চোখে অন্ধকার নেমে আসে। হোটেলে কাজ করে কোনোরকমে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে এখন ভ্যান চালায়।
মমতাজ আরও বলেন, ‘ভাড়া বাসায় থাকতে কখনো বুঝিনি ঈদ কী? তবে এবার প্রধানমন্ত্রী উপহার দেয়া নিজের ঘরে প্রথমবারের মতো ঈদ উদযাপন করছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’ তার মতো নিজের ঘরে আনন্দের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ঈদ উদযাপন করছেন উপকারভোগীরা।
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার গোলাবাড়িয়া আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, এ আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী উপহার দেওয়া নিজেদের ঘরে বসবাস করছেন ৩০টি পরিবার। এসব পরিবারের মুখে আনন্দের হাসি। নিজেদের ঘরের চারপাশে আর ছোট ছোট টবে নানা ধরনের ফুল গাছ দিয়ে সাজিয়েছেন নিজেদের বাড়ি।
সুসজ্জ্বিত নিজেদের ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন এসব পরিবারগুলো। কেউ কেউ মাংস-পোলাও রান্না করছেন। বাচ্চারা ভালো পোশাক পরে ঘুরছে। নিজেদের ঘরে ঈদ করতে পেরে খুশি এসব পরিবারগুলো।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ব্যাংকক-ফুকেট-ফিফি আইল্যান্ড-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৬দিন ৫ রাত
Maldives (Centara Ras Fushi Resort & Spa) 3D/2N
Cambodia (Siem Reap & Angkor Wat) 3D/2N
উপকারভোগী ফজর মুন্সী (৩৫) বলেন, স্ত্রী আর দুই মেয়ে নিয়ে তার ঠাঁই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী উপহার দেওয়া ঘরে। আগে ভাড়া বাসায় থাকার সময় দিনমজুরি করে যা আয় করতেন তার অর্ধেকটাই দিয়ে দিতেন বাসা ভাড়ায়। এতে দিন চালাতে কষ্ট হতো তার। তবে এবার নিজের ঘর থাকায় ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করছেন তিনি। দুই মেয়েকে সেমাই আর মাংস পোলাও করে দিতে পরে খুশি তিনি।
দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিব আহম্মেদ মোল্যা বলেন, এখানে প্রকৃত ভূমি ও ঘরহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর দেওয়া হয়েছে। ঘর পাওয়ায় এবারের ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারছেন তারা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৪৮০ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৮১টি গৃহ নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা এসব গৃহে বসবাস করছেন। শুধু ঘর উপহার দিয়ে শেষ নয়, নানান সুবিধা প্রদানসহ তাদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
১৫৫ বার পড়া হয়েছে