অস্থির এলপি গ্যাসের বাজার। প্রতি কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১৭ টাকা। গত দুই মাসে খুচরা বাজারে ৩ দফায় দাম বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে এলপিজির গ্রাহকরা। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কথা বলে বেসরকারি কোম্পানিগুলো দেশীয় বাজারে কয়েক গুণ বেশি দাম বাড়িয়েছে। গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টনে ৩৫০ ডলার দাম বেড়েছে বলে দাবি করছে আমদানিকারকরা। তবে বিপিজি সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে জানুয়ারি মাস থেকে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি টনে ৫৫ ডলার দাম বেড়েছে। শুধু এলপি গ্যাসই নয়, সিলিন্ডারের দামও বেড়েছে। ৫০০ টাকার খালি সিলিন্ডার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমদানিকারকরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক ভাবে এলপিজির দাম বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাস যাবত্ আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড অব্যাহত রয়েছে। এতে আমদানিও কিছুটা কম হচ্ছে। জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে এলপিজি উত্পাদন হয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলপিজি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে আনা হয়। পরে এসব দেশ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এনে থাকেন।
করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে এলপিজির বাজারে চরম মন্দা শুরু হয়। রপ্তানি কমে যায়। এতে উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। মন্দার কারণে অনেকেই প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও লোকসানের কারণে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়া প্ল্যান্ট চালু করতে পারেনি। ফলে বিভিন্ন দেশে এলপিজির চাহিদা বাড়লেও উত্পাদন তুলনামূলক ভাবে বাড়েনি। তাই আমদানি ও খুচরা বাজারে এলপিজির দাম বেড়ে গেছে।
এলপিজি ব্যবসায়ী বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন হাবিব ইত্তেফাককে বলেন, ‘গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টনে ৩৫০ ডলার বেড়েছে। দেশীয় বাজারেও চাহিদা ক্রমশ: বাড়ছে। বিক্রয়মূল্যের ওপর সরকার ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কারণে এলপিজির বাজারে প্রভাব পড়েছে। গরম কালে ইউরোপীয় দেশগুলোতে চাহিদা কমে যায়। এতে আগামী মার্চ মাসের পর বাজারে এলপিজির দাম আবার কমে যাবে। বাড়তি ভ্যাট আরোপের কারণে সিলিন্ডারের উত্পাদন খরচও বেড়ে গেছে। ’
ফিচার বিজ্ঞাপন
US Visa (Spouse)
Dubai (City tour- Abu Dhabi- Burj Khalifa) 6D/5N
Kandy- Nuwara Eliya- Galle & Colombo 6D/5N
দেশে গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ থাকায় এলপি গ্যাসের চাহিদা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবাসিকে এলপিজি ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে চাহিদাও কয়েক গুণ বেড়েছে। শহর ছাড়াও গ্রামে ব্যাপক হারে এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে। এলপি গ্যাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খান ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমাদের সিলেটের কৈলাশটিলার প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় বর্তমানে দৈনিক ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার বোতল এলপিজি সরবরাহ দিচ্ছি। প্রতি বোতল ৬০০ টাকা দরেই বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছি। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ এলপিজি ব্যবসায়ীরা জানান, ইতিপূর্বে সিলিন্ডার আমদানি নির্ভর ছিল। তখন ক্রেতাদের বেশি দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হতো। এখন দেশে অনেক সিলিন্ডার তৈরি কারখানা নির্মিত হয়েছে। তারপরও সিলিন্ডারের দাম কমছে না।
Source: Ittefaq
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন৩১০ বার পড়া হয়েছে




