সুস্থ থাকার জন্য অতিরিক্ত ওজন কমানো খুবই জরুরি। তবে অনেক চেষ্টা করেও হয়তো আপনার ওজন কমছে না। দেহ গঠনে ও সুস্থ থাকতে রাতের খাবার গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাতের খাবারের পরিমাণ ও তা সঠিকভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা সেদিকে মনোযোগ রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে রাতের খাবার খাওয়ার সঠিক উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হলো:
১. চর্বি, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট যেন প্রতিবেলার খাবারে থাকে সে দিক খেয়াল রাখুন। এই তিনটি উপাদান ধীরে হজম হয় ও দীর্ঘক্ষণ পেটভরা রাখতে সহায়তা করে।
২. আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো আঁশ। শস্যজাতীয় খাবার হচ্ছে প্রাকৃতিক আঁশ। এ ছাড়া খাবারের তালিকায় ফল ও সবজি রেখে আঁশের চাহিদা পূরণ করা যায়।
৩. পুষ্টিকর খাবার হিসেবে প্লেটের অর্ধেক সবজি, ফল বা এই দুয়ের সমন্বয়ে সাজান এবং বাকি অর্ধেক স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন দিয়ে পূরণ করুন। স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন- পনির, মুরগির মাংস ইত্যাদি রাখতে পারেন।
৪. ক্ষুধা নিবারক হিসেবে আলু খুব উপকারী। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘স্যাটিয়াটি ইনডেক্স অফ কমন ফুড’ অনুসারে অন্যান্য কার্বহাইড্রেইটের তুলনায় আলুর তৃপ্তির মাত্রা সর্বোচ্চ। এটি সাধারণ সাদা রুটির চেয়ে তিনগুণ বেশি পরিতৃপ্ত রাখতে সহায়তা করে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Dubai (City tour- Abu Dhabi- Burj Khalifa) 6D/5N
Vietnam & Cambodia 9D/8N
Kolkata – Gangtok (Sikkim) 5D/4N
৫. প্রতিদিন রাতের খাবারে খানিকটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করুন। এতে খাবারের স্বাদে পরিবর্তন আসবে। ওজন কমবে ও সারা সপ্তাহব্যপী নানা রকম পুষ্টি পাওয়া যাবে।
৬. ‘ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন রিসার্চ’য়ে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান, খাবারের চাহিদা কমায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৭. রঙিন খাবার খাওয়ার অর্থ হলো একসঙ্গে বিভিন্ন রকমের ফাইটোনিউট্রিইয়েন্ট গ্রহণ করা।
হার্ভার্ড হেলথের মতে, যারা বিভিন্ন রকমের উদ্ভিজ্জ ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট খায় তাদের হৃদরোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্যান্সারের ঝুঁকি– এমনকি কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৮৩ বার পড়া হয়েছে





