অনেক ডায়েট করি, হাঁটাহাঁটিও করি, কিন্তু ওজন তো কমে না—অনেকেই এমন অভিযোগ করে থাকেন। ওজন কমানোর চেষ্টায় হতাশা খুব চেনা সমস্যা। গবেষণা বলছে, সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় কারও ওজন বড়জোর ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। এই কাতারে থাকা মানুষদের বেশির ভাগেরই এক বছরের মধ্যে আবার দুই–তৃতীয়াংশ পর্যন্ত ওজন বাড়ে। তাহলে এই হতাশা থেকে মুক্তির উপায় কী? আসলে ওজন কমাতে গিয়ে আমরা সাধারণ কিছু ভুল করে থাকি। এই ভুলগুলোই ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

তাড়াহুড়ার কিছু নেই

বেশির ভাগ মানুষই খুব দ্রুত ওজন কমাতে চান। ৫ থেকে ১০ বছরে যে ওজন বেড়েছে, তা তিন মাসের মধ্যে ঝরিয়ে ফেলা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রথমেই একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। প্রাথমিক ওজন থেকে ৫–১০ শতাংশ কমাতে পারলেই স্থূলতাসংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। আগে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে। প্রতি সপ্তাহেই ওজন মাপারও প্রয়োজন নেই। এতে হতাশা বাড়ে।

ক্র্যাশ ডায়েট নয়
ক্র্যাশ ডায়েটে (খাবারে পরিবর্তন এনে দ্রুত ওজন কমানোর কৌশল) প্রাথমিকভাবে দ্রুত ওজন কমে বটে, কিন্তু তিন বছরের মধ্যে আবার ওজন বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনকার খাবার থেকে ৫০০-৬০০ ক্যালরি বাদ দেওয়াটাই অপেক্ষাকৃত ভালো। সেই সঙ্গে খেতে হবে সুষম খাবার। অর্থাৎ খাদ্যতালিকায় শর্করা প্রায় ৫০ শতাংশ, আমিষ প্রায় ৩০ এবং ফ্যাট প্রায় ২০ শতাংশ, সঙ্গে যথেষ্ট ভিটামিন ও খনিজ থাকতে হবে।

শুধু ডায়েটে ওজন কমে না
কেবল ডায়েট করলে ওজন কমে না, ব্যায়াম বা কায়িক শ্রমও চাই। ওজন কমানোর ম্যাজিকের ৭০ শতাংশই হলো খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, বাকি ৩০ শতাংশ ব্যায়াম। ব্যায়ামের বাইরেও নিজেকে যথেষ্ট সচল রাখতে হবে। যারা ঘণ্টায় একবার আসন ছেড়ে উঠে খানিক স্ট্রেচিং (হাত–পা টানা দেওয়া) করেন, তাঁদের বিপাকক্রিয়া ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Alexandria & Cairo 6D/5N

মূল্য: 38,900 Taka

চায়না ভিসা (বিজনেসম্যান)

মূল্য: ১০,০০০ টাকা

পর্যাপ্ত ঘুম চাই
বেশি ঘুমালে ওজন বাড়ে—এই ধারণা ঠিক নয়। বরং যাদের ঘুমের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম, তাদের মধ্যে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। রাত জাগলে ওজন বাড়ে। মানসিক চাপও ওজন বাড়ায়। কাজেই ওজন কমছে না বলে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হবেন না।

অন্য কারণ আছে কি না
থাইরয়েড, কর্টিসোল ও অন্য কিছু হরমোনের জটিলতায় ওজন বাড়তে পারে। কিছু ওষুধের পার্শ্ব–প্রতিক্রিয়ায়ও ওজন বাড়ে। ওজন না কমার পেছনে কোনো কারণ রয়েছে কি না জানতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

ডা. তানজিনা হোসেন: হরমোন বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছে

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...



৭২৭ বার পড়া হয়েছে