ছয় বছর হলো আমার বিয়ে হয়েছে। তখন এইচএসসিতে পড়তাম। এরপর পড়াশোনা হয়ে ওঠেনি। পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে হয়। যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে সে আমার চেয়ে ১০ বছরের বড়। পারিবারিকভাবে ব্যবসায়ী, সম্ভ্রান্ত। স্বামীর সঙ্গে নানা অসংগতি থাকা সত্ত্বেও ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে সংসার করে যাচ্ছিলাম। সবকিছু ভালোই চলছিল। বছর খানেক হলো একটা ছেলের সঙ্গে আমার ভালো লাগার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের বাসারই নিচের তলায় দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে এক পরিবার। যাদের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই পারিবারিক। ছেলেটি সেই বাসারই। আমার চেয়ে বয়সে ছোট। এখনো পড়াশোনা করছে। তাই সবকিছু ছেড়ে ওর সঙ্গে চলে যাব সেটাও সম্ভব নয়। আমি নিজেও স্বাবলম্বী নই। এ ছাড়া আমাদের চার বছর বয়সী মেয়ে আছে। তাই লজ্জায় কারও সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেও পারি না। আবার নিজেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ওর সঙ্গে কথা না বললে, দেখা না করলে ভীষণভাবে ভেঙে পড়ি। আমারও কষ্ট হয়। একই বাসা বলে দেখা হয়, তখন তাঁর চোখমুখ দেখে স্থির থাকতে পারি না। সবকিছু ছেড়ে আসতে মন চায়। আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে নিপীড়িত হচ্ছি। আমার স্বামীকে আর মেনে নিতে পারছি না। এ জন্য নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। স্বামীর প্রতি আমার অনিচ্ছা, সেটা সে বুঝতে পারে। এ জন্য গায়ে হাতও তুলেছে কয়েকবার। আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি। কারও সঙ্গে মিশতে পারছি না। দিনে দিনে আমার আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ছে এটা নিজেও কিছুটা বুঝতে পারছি। এখন কী করব? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
পরামর্শ: তুমি খুব বড় ধরনের একটি দ্বন্দ্বে পড়ে গেছ, তা বুঝতে পারছি। এইচএসসি পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তোমাকে বেশ অল্প বয়সে অনেক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যেতে হয়েছে। বিয়ের সময় তোমার মতামত নেওয়ার অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। অন্তত গ্র্যাজুয়েশনের পর বিয়ে হলে তুমি অনেক পরিপক্ব মন নিয়ে সম্পর্কটিকে যত্ন করতে পারতে। এ ছাড়া স্বামীর সঙ্গে বয়সের বড় ব্যবধান থাকায় তিনি হয়তো তোমার কম বয়সের আবেগগুলো বুঝতে সক্ষম হননি। এ কারণেই তুমি নিজের ভাগ্যকে মেনে নিয়ে জীবনের পথে চলছিলে। হয়তো বা কিছু না পাওয়ার যা কিছু বঞ্চনার অনুভূতি তুমি দীর্ঘদিন পর্যন্ত বহন করেছ। সেই কারণেই বিয়ের বাইরে অন্য একটি সম্পর্ক তোমাদের দুজনের অজান্তেই তৈরি হয়ে গেছে। যার সঙ্গে তোমার এখন বন্ধুত্ব হয়েছে সেই সম্পর্কটিকে কোনো নাম দেওয়া যায় কি না তা ভেবে দেখো। ছেলেটির প্রতি তোমার যে আবেগটি তৈরি হয়েছে সেটিকে যুক্তির সাহায্যে তুমি কমাতে পারছ না বলে নিজেকে সেখান থেকে সরিয়ে রাখতে কষ্ট হচ্ছে। একই বাসায় থাকার ফলেও দুজনের অনুভূতিগুলো প্রকাশের সুযোগটিও তৈরি হচ্ছে। তুমি এখন শুধু একজনের আইনগত সঙ্গী নও, কাঙ্ক্ষিত সন্তানের মা-ও হয়েছ। তোমাকে খুব ভালো করে ভেবে দেখতে হবে এ সম্পর্কটি এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী সময়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হবে, তা মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট মানসিক শক্তি তোমার রয়েছে কি না। এ ছাড়া দুটো সম্পর্ক একসঙ্গে থাকাটাও নৈতিকতাবিরোধী। তুমি এ মুহূর্তে অত্যন্ত অসহায় বোধ করছ এবং সেটি আরও তীব্র হচ্ছে স্বামীর নির্যাতনের কারণে। কারও সঙ্গে মন খুলে কথা বললে তোমার আবেগগুলো মোকাবিলা করা হয়তো সহজ হবে। স্কয়ার টয়লেট্রিজ পরিচালিত টেলিসেবা নম্বরে (০৯৬১২২২২৩৩৩) ফোন করে বেশ কিছুদিন কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণ করলে, তুমি নিজের যুক্তির মনটিকে ব্যবহার করে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম। প্রথম আলোর সৌজন্যে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বালি ৫দিন ৪ রাত
Dubai City tour- Dhow cruise- Desert safari- Burj Khalifa 6D/5N
শেনজেন ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
২৯৮ বার পড়া হয়েছে