মানুষমাত্রই একটা নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে। একটা ঘর খোঁজে। ঘর থাকা মানুষের মনে বৈরাগ্য হানা দেবে কি না, তা অবশ্য অন্য আলাপ। কিন্তু সাধারণ মানুষ নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য মাথার ওপর একটা ছাদ খোঁজে। মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাসস্থান।

নিরাশ্রয় মানুষের পক্ষে অনেক কিছুই অর্জন করা সহজ নয়। প্রতিটি পদে তাদের লড়াই করে বাঁচতে হয়। মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা ও সীমিত ভূমির বাস্তবতা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকেই এই লড়াইয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বিশেষত নাগরিক মানুষের অধিকাংশের পক্ষেই নিজের একটি ঘরের স্বপ্ন দেখাটা অনেক কঠিন। ফলে তাদের অন্যের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতে হয়, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর এক দীর্ঘস্থায়ী দায় হয়ে দেখা দেয়। এই নাগরিক মানুষ অনেকটা ভারবাহী গাধার মতোই এ দায় বয়ে নিয়ে চলে। এ অবস্থায় সবাই নিজের একটি ঘরের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রয়েছে সামর্থ্যের তারতম্য।
নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের এই সামর্থ্যের কথাটি মাথায় রেখেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাশ্রয়ী আবাসনের একটি বিকল্প খোলা রেখেছে, যাতে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোও নিজের মতো একটি ঘরের মালিকানা পেতে পারে। কিন্তু এখন এই সাশ্রয়ী আবাসনও আর সাশ্রয়ী থাকছে না। এ বছর তিন সদস্যের একটি পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে বার্ষিক ন্যূনতম আয়সীমা ৬২ হাজার ডলারে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত নিউইয়র্কের স্বল্প আয়ের মানুষদের স্বপ্ন ছিনতাইয়ের শামিল।
নিউইয়র্ক নগরে আবাসন একটি স্থায়ী সমস্যা। ব্যয়বহুল এ নগরীর জীবনযাত্রার ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আবাসন ব্যয়। ফলে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার নিউইয়র্ক ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এ নিয়ে ইতিপূর্বে বেশ কিছু প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। সে সময় অত্যধিক ব্যয়ের কথাটি বারবার উঠে এসেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মোকাবিলার প্রতিশ্রুতিও সে সময় দিয়েছিল নগর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাস্তবে আবাসন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিল, তা নিউইয়র্কে থাকার বিষয়ে নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করবে।

নিউইয়র্কসহ পুরো আমেরিকাতেই এখন গৃহহীন সমস্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। অনেকেই গৃহঋণ পরিশোধ করতে না পেরে পথে নেমে আসছেন। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, ঋণ পরিশোধের সামর্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতেই সাশ্রয়ী আবাসনে আবেদনের জন্য ন্যূনতম আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে। মুশকিল হচ্ছে, এর মাধ্যমে নগর কর্তৃপক্ষ আরও বিপুলসংখ্যক মানুষকে গৃহহীন হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ফেলে দিচ্ছে। তাই সাশ্রয়ী আবাসনের মতো প্রকল্পগুলোকে কঠিন না করে, ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা নিরূপণের পাশাপাশি তা তৈরির মতো উদ্যোগ গ্রহণ বরং জরুরি। কারণ, দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষদের দেখভালের দায়িত্বটি শেষ পর্যন্ত সরকারি প্রশাসনের ওপরই বর্তায়। তাই মৌলিক চাহিদাসংশ্লিষ্ট যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নগর কর্তৃপক্ষের আরও সুবিবেচক হওয়া প্রয়োজন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



৩৪৫ বার পড়া হয়েছে