ব্যবসা করার পরিকল্পনা থাকলে এই আইডিয়া নিয়ে ভেবে দেখতে পারেন ৷ অল্প টাকা ইনভেস্ট করে প্রায় দ্বিগুণ লাভ করার সুযোগ রয়েছে এই ব্যবসায় ৷ বিকল্প প্রাণী পালনের মধ্যে খরগোশ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ৷ কোনও কৃষকবন্ধু যদি খরগোশ বিক্রির বাজার ঠিক করে নিতে পারেন তাহলে অল্প সময় এবং অল্প পরিশ্রমেই এই প্রাণীটি পালন করে বেশ লাভ করতে পারবেন
মাত্র ৪ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে খরগোশ পালনের (Rabbit Farming) ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ৷ খরগোশের মাংসকে হোয়াইট মিট বলা হয় কারন এটা কোলেস্টরল ও ফ্যাট ফ্রি ৷ ফলে সহজেই হজম করা যায় ৷ ৮ বছরের বাচ্চা থেকে ৮০ বছরের বয়স্করা এই মাংস খেতে পারবেন ৷ স্বাভাবিক ভাবেই এই মাংসের বিপুল চাহিদা রয়েছে বাজারে ৷ দেখে নিন খরগোশ পালনের পদ্ধতি-
ইনভেস্ট করতে হবে ৪ লক্ষ টাকা- খরগোশ পালনের এই ব্যবসা ইউনিটে ভাগ করা হয় ৷ এক ইউনিটে ৭টি স্ত্রী ও ৩টি পুরুষ খরগোশ রাখা হয় ৷ প্রথমদিকে ১০ টি ইউনিট দিয়ে শুরু করা হয় ব্যবসা ৷ এর জন্য ৪ থেকে প্রায় ৪.৫০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয় ৷ এর মধ্যে টিন শেডের জন্য ১ থেকে ১.৫০ লক্ষ টাকা লাগে, খাঁচার জন্য ১ থেকে ১.২৫ লক্ষ টাকা, চারা এবং ইউনিটের জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচা হয়ে থাকে ৷
প্রায় ৬ মাস পর ব্রিডিংয়ের জন্য খরগোশ তৈরি হয়ে যায় ৷ একটি খরগোশ একবারে প্রায় ৬-৭টি বাচ্চার জন্ম দেয় ৷ স্ত্রী খরগোশের প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড ৩০দিনের হয় ৷ এর ৪৫ দিন পর বাচ্চা প্রায় ২ কিলোগ্রাম হওয়ার পর বিক্রির জন্য তৈরি হয়ে যায় ৷
ফিচার বিজ্ঞাপন
চায়না ভিসা (চাকুরীজীবী)
Cambodia (Phnom Penh & Siem Reap) 6D/5N
ফিলিপাইন ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবী)
কীভাবে হবে আয় – একটি খরগোশ থেকে ৫টি বাচ্চা হলে ৪৫ দিনে ৩৫০টি বাচ্চা হবে ৷ খরগোশের ইউনিট ব্রিডিংয়ের জন্য ৬ মাসে তৈরি হয়ে যায় ৷ ১০ ইউনিট খরগোশ থেকে ৪৫ দিনে হওয়ায় বাচ্চা প্রায় ২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন ৷ বাচ্চাগুলি ফার্ম ব্রিডিং, মাংস ও উল ব্যবসার জন্য বিক্রি করা হয়ে থাকে ৷ একটি স্ত্রী খরগোশ বছরে প্রায় ৭ বার বাচ্চা জন্ম দেয় ৷
মোর্টালিটি, অসুস্থতা ও অন্যান্য কারন খেয়াল রেখে ৫টি প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড হিসেব করলে চললে বছরে ১০ লক্ষ টাকার খরগোশ বিক্রি করতে পারবেন ৷ খরগোশ পালনে আপনার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা খরচা হলে ৭ লক্ষ টাকার নেট প্রফিট আয় করতে পারবেন ৷ শুরুর বছরে ৪.৫ লক্ষ টাকার ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে৷ ফলে সেই বছর প্রফিট একটু কম অর্থাৎ ৩ লক্ষ টাকা হবে ৷ বেশি রিস্ক নিতে না চাইলে বড় ফার্ম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েও এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ৷
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৭২ বার পড়া হয়েছে