করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দেশব্যাপী চলছে সাধারণ ছুটি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া মানা। তবে জরুরি বাজার সদাই করাই লাগছে। অনেকেই নিজে বাজারে যাচ্ছেন আবার অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে বাজার করছেন। তবে এইসব বাজার ও বাজারের ব্যাগ থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। আসুন দেখে নেই এসময়ে বাজার থেকে আনা জিনিসপত্র কীভাবে জীবাণুমুক্ত করা যায়।

ধরা হচ্ছে করোনাভাইরাস খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে আসে না। কিন্তু এটি খাবারের প্যাকেটে কয়েক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। শুরুর দিকের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এরা কার্ডবোর্ডে একদিন ও প্লাস্টিকে তিনদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু বেশ বড় একটা সংখ্যক ভাইরাস এই সময়ের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়।

ধরে নেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। কিন্তু এটি কোন বস্তুতেও কয়েক দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। তাই আসুন দেখে নেই কীভাবে বাজার থেকে আনা জিনিসপত্র পরিষ্কার করবেন।

বাজারের যাওয়ার আগে বাসা থেকেই ধোয়া যায় এমন থলে বা ব্যাগ নিয়ে যান। এতে করে সেটি বাসায় এনে পরিষ্কার করা সহজ হবে। এছাড়াও গ্লাভস ও মাস্ক পরে যাবেন। যদি গ্লাভস না থাকে তাহলে সঙ্গে করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে যান। অনেক দোকান ও সুপার মার্কেটে অবশ্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করার সুবিধা আছে ঢোকার আগে।

দোকানে বা সুপার শপে যাওয়ার পর ওদের সরবরাহকৃত কার্ট নিলে সেটির হাতল জীবাণুমুক্ত করে নিন। তারপর শুধুমাত্র সেটিই ধরুন যে জিনিসটা আপনি নেবেন।

কাঁচা বাজার বা অন্যান্য খাবার যা ধোয়ার মত তা শুধুমাত্র পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। বাসন মাজার বা কাপড় কাঁচার সাবান দিয়ে ধোঁয়া ঠিক হবে না। কারণ,  জীবাণুমুক্ত করার জন্য যেসব পণ্য আপনি ব্যবহার করবেন সেগুলো খাবারের সংস্পর্শে আসা উচিৎ নয়। এসব রাসায়নিক দ্রব্য কঠিন পদার্থ জীবাণুমুক্ত করার উপযোগী তাই খাবারে ব্যবহার নিরাপদ নয়। বাজারের এক্সট্রা ব্যাগ বা খাবার মোড়ানো প্যাকেট ফেলে দিন। তারপর ভালোমত হাত ধুয়ে নিন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সম্প্রতি খাবারের প্যাকেট ও জীবাণুমুক্ত করতে উৎসাহ দিচ্ছে না। বরং যারা বাজারে যাচ্ছেন তাদের হাত ভালোমত ধোয়া দরকার বলে জানাচ্ছে তারা।

ফিচার বিজ্ঞাপন

US Visa (Spouse)

মূল্য: 5,000 Taka

ইস্তানবুল ৪দিন ৩ রাত

মূল্য: ২৯,৯০০ টাকা

আবার কারও যদি সামান্যতমও করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকে তাহলে বাইরে বা বাজারে যাবেন না। এতে অন্যরা ঝুঁকির মুখে পড়বেন। সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘরেই খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেসব নাম্বারে ফোন দিলে আপনার ঘরেই পৌঁছে যাবে প্রয়োজনীয় বাজার। তাছাড়া যাদের বিভিন্ন রোগ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা আছে তারাও বাজার থেকে দূরে থাকুন।

হোম ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে বাজার আসলে সেগুলো দরজার বাইরে রেখে দিতে বলুন। দাম যতটা সম্ভব বিকাশ বা অন্য মাধ্যমে দিন। আর যদি সরাসরি টাকা দিতেই হয়, মানিব্যাগ স্যানিটাইজার, অ্যালকোহল প্যাড বা অন্য কোন জীবাণু নাশক দিয়ে মুছে ফেলুন। আর অন্য কিছু ধরার আগে হাত ধুয়ে ফেলুন।

বাজার গোছানোর শেষ হলে এসব ব্যাগের সংস্পর্শে এসেছে এমন প্রতিটা জায়গা জীবাণুমুক্ত করুন। তারপর বাজারের ব্যাগটি সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এবং সবার শেষে আবারও ভালো মত হাত ধুয়ে ফেলুন।

মোবাইল বাসায় রেখে যান অথবা বাজার করা অবস্থায় মোবাইল ধরবেন না। এতে করে মোবাইলে ভাইরাস চলে আসতে পারে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩২৫ বার পড়া হয়েছে