প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই আলোকে এখন খোলার বিষয়ে কর্মসূচি ঠিক করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্রিফ করে জানিয়ে দেবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, এর আগে সচিব সভায় নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা কর্মসূচি ঠিক করছে-কীভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এ ছুটি আছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিকল্প উপায়ে টিভি, অনলাইন, অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করা হলেও বাস্তবতা হলো শ্রেণিকক্ষে যেভাবে পড়াশোনা হতো, তা এসবের মাধ্যমে হচ্ছে না। আবার সবাই এসবের সুবিধাও পাচ্ছে না। শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয় নিয়ে গত বুধবার সচিব সভায়ও বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই সভায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার। এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্কুলগুলোও। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, ঘরে থাকতে থাকতে শিশুদের যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Kolkata – Gangtok (Sikkim) 5D/4N
বাংকক-পাতাইয়া-কোরাল আইল্যান্ড-ফুকেট-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৬দিন ৫ রাত
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব সেদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম যেন অনলাইনে বা ডিজিটাল ব্যবস্থায়ও পুরোদমে চলে। পাশাপাশি সুবিধাজনক পরিস্থিতি এলেই যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। আর ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে যেন দ্রুত টিকার আওতায় আনা হয়।
কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুটি বিষয় দেখতে বলেছেন। প্রথমত, করোনার পরিস্থিতি যদি সন্তোষজনক অবস্থায় চলে আসে এবং সংক্রমণ কমে, আরেকটি হলো টিকা দেওয়া। এ দুটি বিষয় বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, তাদের পরিকল্পনা হলো, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। তবে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন১৪৭ বার পড়া হয়েছে