আমাদের দেশে সবচেয়ে পরিচিত ফলগুলোর তালিকায় শীর্ষে কলা। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফলটির রয়েছে অনেক গুণ। এ ফলটির জনপ্রিয়তা রয়েছে পুরো বিশ্বব্যাপী। ফুড কেমিস্ট্রি জার্নালের তথ্যানুসারে— সারাবিশ্বে প্রায় ৩০০টিরও বেশি ধরনের কলা চাষ হয়ে থাকে।

কলাতে থাকা ক্যালরি ও চিনির বিষয়ে অনেকেরই ধারণা কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ) চিনি না খাওয়ার বিষয়ে কঠোর নির্দেশিকা দিলেও সেটি কেবল অতিরিক্ত চিনি বা প্রক্রিয়াজাত চিনির বিষয়ে বলেন। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে তাজা ও পুরো ফল থেকে যে চিনি শরীরে যায় তা আমাদের ক্ষতি করে না।

একটি মাঝারি আকৃতির কলায় প্রায় ১০০ ক্যালরি পর্যন্ত থাকে। এ ছাড়া কলার অনেক উপকারিতা রয়েছে।  জানুন যে পুষ্টিগুণের কারণে খাবেন কলা—

১. পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ
কলা পটাশিয়াম উপাদানের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। আর এই খনিজটি আমাদের শরীরের  জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

মূলত পটাশিয়াম হলো এক ধরনের ইলেকট্রোলাইট, যা নিয়মিত হৃদস্পন্দন, স্নায়ুকে কাজ করতে এবং পেশিগুলোকে সংকোচন করতে সহায়তা করে। এটি পুষ্টিকে কোষে স্থানান্তর করতে এবং কোষের বাইরের বর্জ্য স্থানান্তর করতে সহায়তা করে।

২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
কলা পলিফেনিলিক নামে এক ধরনের পদার্থে সমৃদ্ধ; যেটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট প্রদাহ এবং কোষের ক্ষতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, ধমনী শক্ত হওয়া, বয়স-সংক্রান্ত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার এবং অ্যালজেইমারস রোগে উপকারী ভূমিকা পালন করে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Cairo & Luxor 5D/4N

মূল্য: 62,900 Taka

মায়ানমার ভিসা (ভিজিট ভিসা)

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

Singapore Tour with Universal Studio 4D/3N

মূল্য: ২৬,৯০০ টাকা

এ ছাড়া কলায় থাকা বিভিন্ন যৌগগুলো জেনেটিক ক্ষতি বা ডিএনএ আপস, রোগের ঝুঁকি কমায় এবং স্নায়বিক কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে।

৩. অন্যান্য পুষ্টিগুণ
কলাতে থাকা প্রতিরোধী স্টার্চ আমাদের শরীরে একটি অনন্য ধরনের কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে থাকে। আর জার্নাল অব অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রির তথ্যমতে, কলাতে পাওয়া আরেকটি প্রাকৃতিক পদার্থ ফ্রুক্টুলিগোস্যাকারাইডস প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এর কারণে কলা শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভালো প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে, যা হজমের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।

এ ছাড়া কলার পুষ্টিগুণ একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধকের মতো কাজ করে, অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং তরল শরীর থেকে বের করে দেয় আর শরীরে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে।

৪. শক্তি সরবরাহ করে
কলা আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করতে অনেক কার্যকরী। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মলিকিউলার সায়েন্সের তথ্যমতে, কলা টেকসই শক্তির জন্য অন্যতম সেরা খাবার। কারণ কলাতে থাকা ফাইবার এবং ভিটামিন বি-৬ রক্তে শর্করার পরিমাণ এবং ইনস্যুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



২৯৩ বার পড়া হয়েছে