কাঠের আসবাবের একটা আলাদা আভিজাত্য আছে। এটি যেমন টেকসই, তেমনি ঘরের চেহারা নিমেষে বদলে দিতে এর জুড়ি নেই। আগেকার দিনে আসবাব বলতে মূলত কাঠের আসবাবই বোঝাত। তখন ব্যবহার হতো দামি সেগুন কিংবা মেহগনি কাঠ। খাট, টেবিল, চেয়ার সবেতেই থাকত ফুল ও পাতার সুন্দর নকশা। এগুলোর আকারও ছিল বিরাট। আজকাল অনেকেই পুরোনো দিনের ওই আসবাবকে খানিকটা সাজিয়ে-গুছিয়ে ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে জায়গার অভাবে এখন হালকা ছিমছাম আসবাবই বেশি জনপ্রিয়। যদিও ঘর সাজাতে আজও বেশিরভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ কাঠের আসবাব। তাই যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে এসেছে স্লিম এবং স্টাইলিশ কাঠের ফার্নিচার। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কাঠের আসবাবে দাগছোপ পড়ে যায় বা ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে মলিন দেখতে লাগে। অনেক সময় দেখা দেয় পোকার সমস্যা। তবে একটু যত্ন নিলে কিন্তু সহজেই কাঠের ফার্নিচার অনেক দিন ভালো রাখা যায়।

যে কোনো ধরনের কাঠের আসবাব নিয়মিত পরিস্কার করা জরুরি। নরম কাপড় বা ফেদার ডাস্টার দিয়ে রোজ বা দু-এক দিন পরপর আলগা ধুলা ঝেড়ে দিন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ কাঠের আসবাবের খাঁজে ধুলা জমলে সহজে নষ্ট হয়ে যায় এবং ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলে। ডাইনিং টেবিল বা সেন্টার টেবিল পরিস্কার করার সময় এগুলোর পায়াও মুছে রাখা জরুরি। তবে ভেজা কাপড় দিয়ে উডেন ফার্নিচার পরিস্কার করবেন না। এতে আসবাবের ওপর দাগ হয়ে যায়। ডাইনিং টেবিলে সুন্দর কভার ব্যবহার করুন। তাহলে খাওয়া-দাওয়ার পর টেবিল ভেজা কাপড় দিয়ে মোছার প্রয়োজন হবে না। কাঠের টেবিলে সরাসরি গরম খাবার বা চা, কফি রাখবেন না। এতে টেবিলে হিট স্টেন পড়ে যায়। গরম ডিশ রাখার জন্য কোস্টার ব্যবহার করুন।

টেবিলে হিট স্টেন থাকলে ব্যবহার করুন কিছুটা টুথপেস্ট এবং বেকিং সোডা। মিশ্রণটি দাগের ওপরে হালকা করে ঘষে লাগিয়ে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পরে তুলে নিন। কয়েকবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে সাদা ভাব অনেকটা কমে যাবে। আসবাবে কোনো দাগ বা স্পট পড়ে থাকলে নরম কাপড়ে একটু লেবুর রস দিয়ে ঘষে দিন। কিছুক্ষণ পরে ড্যাম্প কাপড় দিয়ে জায়গাটা মুছে নিলেই দাগ উঠে যাবে। এ ছাড়া দাগ তোলার আরও একটি সহজ উপায় আছে। পানির সঙ্গে কিছুটা লবণ মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এবার ওই পেস্ট দিয়ে দাগ হওয়ার জায়গায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ বাদে অল্প ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। দেখবেন দাগ সহজেই উঠে যাবে। কাঠের আসবাবের জেল্লা ফেরাতে একটি সহজ হোম মেইড পলিশের সন্ধান দিই। একটি পাত্রে অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। সপ্তাহে একবার আসবাবে এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে কাঠের ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে। শৌখিন আসবাব কয়েক বছর অন্তর পলিশ করিয়ে নিন।

কাঠের আসবাবের একটা প্রধান সমস্যা পোকা ধরা। তাই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি। কাঠের আসবাবে যাতে পোকামাকড়ের উপদ্রব না হয় সেজন্য ছয় মাস অন্তর নিম তেল স্প্রে করুন। কাঠের আলমারি বা আসবাবে পোকা ধরেছে দেখলে প্রথমেই পোকা মারার স্প্রে ব্যবহার করুন। আলমারিতে ন্যাপথলিন, কর্পূর রেখে দিন। এ ছাড়া মাসে একবার এক কাপ নারিকেল তেলে কিছুটা কর্পূরের গুঁড়া মিশিয়ে কাঠের ফার্নিচারের কোনায় দিয়ে দিন। এতে পোকামাকড় কম আসবে। এতে সমস্যার সমাধান হলে ভালো। যদি দেখেন সমস্যা মেটেনি বা বারবার পোকা ফিরে আসছে, তাহলে প্রথমে পুরোনো খবরের কাগজ পেতে ভালো করে ডাস্টিং করে নিন। যদি দেখেন বেশ অনেকটা জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত, তাহলে সেই জায়গার কাঠ কেটে বাদ দিয়ে নতুন কাঠ লাগিয়ে নিতে হবে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

দুবাই ও তুরস্ক ৭দিন ৬ রাত

মূল্য: ৫৫,৯০০ টাকা

মিশর ভিসা (চাকুরীজীবী)

মূল্য: ৬,০০০ টাকা

ব্রুনাই ভিসা

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

রোদের মধ্যে কাঠের ফার্নিচার রাখবেন না। কাঠের রং হালকা হয়ে যাবে। কাঠের মধ্যে অল্প ফাটলও ধরতে পারে। ঘরের মধ্যে খুব রোদ এলে ভারী পর্দা ব্যবহার করুন। একইভাবে বেসমেন্টে, গ্যারেজে বা চিলেকোঠার মতো জায়গায় ফার্নিচার স্টোর করবেন না। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরমে বা বদ্ধ জায়গায় কাঠ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কাঠের আসবাব এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানোর সময় শক্ত জায়গাটা ধরে সরান। না হলে ফার্নিচারের জয়েন্টগুলো আলগা হয়ে যেতে পারে। যেমন চেয়ার সরানোর সময় বসার অংশটা ধরে সরাবেন, আবার টেবিলের ওপরের অংশ ধরে তোলার পরিবর্তে পায়া ধরে সরাবেন

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৫৫ বার পড়া হয়েছে