অবশেষে কাতারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে সৌদি আরব। দেশটির সঙ্গে স্থল ও সমুদ্র বন্দর খুলে দিচ্ছে তারা। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান বিরোধের মধ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কাতারের সঙ্গে বিরোধের ফলে সৌদি আরব সহ বেশ কিছু পারস্য উপসাগরীয় দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু অনলাইন বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার সৌদি আরবে হতে যাচ্ছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সামিট। তার আগেটই এমন ঘোষণা এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বিরোধ নিরসনের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রতিবেশী দেশগুলো। অভিযোগ করা হয়, কাতার সন্ত্রাসে সমর্থন দিচ্ছে। এ সিদ্ধান্তে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে কাতারের সঙ্গে। এই উদ্যোগে সৌদি আরবের সঙ্গে যোগ দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর। আরোপ করা হয় কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। কাতার একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। কিন্তু উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্পদে ভরা এ দেশটি। তারা বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে আনীত জিহাদিদের সমর্থন দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বেশ কয়েক মাস ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে। কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে সেই উদ্যোগে এগিয়ে আছে কুয়েত। কিন্তু হোয়াইট হাউজ থেকে এক্ষেত্রে চাপ আসতে থাকে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। তার আগেই তার প্রশাসন এ বিষয়ে একটি সমাধান চায়। প্রায় সাড়ে তিন বছরের ‘ব্লকেডের’ ফলে একই সঙ্গে কাতারের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে একীভূত পারস্য উপসাগরেরর একতার ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের পিঠে যে ছুরিকাঘাত করেছে সেই ক্ষত কি এত সহজেই সেরে যাবে! এ জন্যই বিশেষ করে একটি দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, এ উদ্যোগ নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করেছে। তাদের সংশয় কাতার প্রকৃতপক্ষে তার পথ পরিবর্তন করবে না। কাতার যখন সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তখন তারা গাজা, লিবিয়ায় ও অন্যান্য স্থানে ইসলামপন্থি রাজনীতিকদের সমর্থন দিয়েছে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

কুনমিং ৪ দিন ৩ রাত

মূল্য: ৪২,৯০০ টাকা

Moscow & St.Petersburg 6D/5N

মূল্য: 145,000 Taka

Source: Mzamin

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৫৮ বার পড়া হয়েছে