ময়লা কাপড়ের ঝুড়ি। নামেই যেন প্রকাশ করে দেয় নিজস্ব রূপ। অযত্নে কেনা হয়। এরপর রাখা হয় অবহেলায়। ঘরের কোনায় থাকা বাক্সের রূপ ধারণ করে রূপকথার কুৎসিত হাঁসের সেই ছানার মতোই। বাড়িতে বাড়তি জায়গার অভাবে অনেক সময় ঘরের মধ্যেই রাখতে হয় ময়লা কাপড় ফেলার ঝুড়িটি। গতানুগতিক ঝুড়িই যে কিনতে হবে, এমনটি কিন্তু নয়। নান্দনিকতা শব্দটি খুব সহজেই জুড়ে দিতে পারেন এর গায়ে। এরপর নাহয় কাপড়গুলো ছুড়ে দিলেন ভেতরে।

প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান দিয়েও তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ঝুড়ি। এগুলোর আছে নানা আকার ও দৈর্ঘ্য। ঘরের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন আকারের ঝুড়ি বেছে নেওয়া সম্ভব। রঙের ক্ষেত্রেও যাঁরা একটি রঙিন কিছু পছন্দ করবেন, তাঁরা পেয়ে যাবেন লাল, সবুজ, খয়েরি, চকলেট, কালোর মতো রং। আছে সাদা ও ঘিয়ে রংও। পাট, বাঁশ, বেত, হোগলাপাতা আমাদের এখানে খুব সহজেই পাওয়া যায়। পণ্য তৈরিতে এখন এই জিনিসগুলোর প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। এসব উপাদান ব্যবহারে চলে আসছে দেশীয় আমেজও।

জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) প্রায় সারা বছরই পাটের বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রি চলে। এখানে গিয়ে দেখা গেল, পাটের তৈরি বিভিন্ন আকারের ময়লা কাপড় রাখার ঝুড়ি রয়েছে। আকারেও রয়েছে ভিন্নতা, যেমন লম্বাটে, গোলাকৃতি, কিছুটা আয়তাকার। ২ থেকে ৩ ফুট, ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার ঝুড়ি রয়েছে। অন্যদিকে হাতলসহ, হাতল ছাড়া, ঢাকনাসহ, ঢাকনা ছাড়া ঝুড়িও পাওয়া যাবে এখানে।

জেডিপিসির এক বিক্রয়কর্মী বলেন, পাট দিয়ে প্রায় ২৮০ ধরনের পণ্য তৈরি করে হয়, যার মধ্যে এটি একটি। পরিবেশবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি খুব সহজেই এই ঝুড়ি বহন করা সম্ভব। তবে পাট যেহেতু পচনশীল, তাই খুব ভেজা কাপড় পাটের ঝুড়িতে না রাখাই ভালো। এ ছাড়া অরণ্যতে রয়েছে বাঁশ, বেত ও পাটের নানা আকার ও লম্বা ঝুড়ি। অন্যদিকে যাত্রায় একেবারেই ভিন্নধর্মী হোগলাপাতার ঝুড়ি রাখা হয়েছে। আবার বাঁশ ও বিভিন্ন গ্রামীণ নকশার কাপড় দিয়ে তৈরি ঝুড়ি ঘরের সৌন্দর্যও বাড়াবে নিশ্চিন্তে। আড়ংয়ে বাঁশ ও বেতের হাতলসহ ও হাতল ছাড়া—দুই ধরনের ঝুড়ি রয়েছে।

দামদর

ফিচার বিজ্ঞাপন

চায়না ভিসা (চাকুরীজীবী)

মূল্য: ১০,০০০ টাকা

বেইজিং ও কুনমিং ৭ দিন ৬ রাত

মূল্য: ৮৪,৯০০ টাকা

জেডিপিসিতে আকারের ওপর নির্ভর করে ৩০০, ৩৫০, ৪০০, ৭০০, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকায় পাওয়া যাবে পাটের ঝুড়ি। অরণ্যতে বাঁশ ও বেতের ঝুড়ির দাম পড়বে ২০০০ থেকে ২৬০০ টাকা ও পাটের ঝুড়িগুলো ৩০০০ থেকে ৫৫০০ টাকা পর্যন্ত। যাত্রায় হোগলাপাতায় ঝুড়ি পেয়ে যাবেন ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং বাঁশ ও কাপড়ের ঝুড়ি পাবেন ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। আড়ংয়ে ঝুড়ি পাবেন ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকায়।

কৃতজ্ঞতা: জেডিপিসি

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৯২১ বার পড়া হয়েছে