বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি আমন মৌসুমে পরপর চার দফা বন্যায় আমনের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১৫ লাখ টন চাল কম উত্পাদন হতে পারে কিন্তু যে পরিমাণ চাল উত্পাদন হবে তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ২৮ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। এই গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আমন মৌসুমে ১ কোটি ৫৫ লাখ টনের কিছু বেশি চাল উত্পাদন হয়েছিল। তবে চলতি আমন মৌসুমে বন্যায় ৩৫টি জেলার আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমন চালের উত্পাদন প্রায় ১০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টনে নামতে পারে। কিন্তু তাতে দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই।

আমনের উত্পাদন কম ও সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত গত বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমে আসায় একটি সিন্ডিকেট চাল নিয়ে কারসাজি শুরু করেছে। তারা সরকারের মজুত খাদ্যের পরিমাণ কমে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছে। খাদ্য অধিদপ্তরের প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারের গুদামে ৭ দশমিক ৮৮ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চাল ৫ দশমিক ৫৬ লাখ টন ও গম ২ দশমিক ৩৩ লাখ টন। অথচ মাত্র এক মাস আগে গত ৫ নভেম্বর খাদ্যশস্যের মজুত ছিল ১০ লাখ ৩ হাজার ২০ টন। আর গত বছর এই সময়ে সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মোট মজুত ছিল ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪০ টন। এর মধ্যে চাল ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩০ টন এবং গম ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১১০ টন। এই হিসাবে গত প্রায় এক বছরের ব্যবধানে সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত কমেছে ৮ লাখ ৮ হাজার ৮৪০ টন।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৪৬ থেকে ৫০ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৫৩ থেকে ৫৮ টাকা ও সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু এক মাস আগে ইরি/স্বর্ণা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পাইজাম/লতা ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা ও নাজিরশাইল/মিনিকেট ৫২ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। এ হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে নাজিরশাইল/মিনিকেটের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, ইরি/স্বর্ণার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ আর পাইজাম/লতার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর এক বছরের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধির এই হার যথাক্রমে ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ৪৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বলে টিসিবি তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছে

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...



২০৫ বার পড়া হয়েছে