ভবনে ব্যবহৃত রডে যেন মরিচা না লাগে সেজন্যে আমরা ভবনের প্রত্যেকটি মেম্বার যেমন কলাম, বীম, স্লাবে নূন্যতম ক্লিয়ার কভার ব্যবহার করে থাকি। ক্লিয়ার কভার হচ্ছে রডের টাই থেকে কংক্রিটের যতটুকু অংশ থাকে সেটিকে বলা হয়ে থাকে। একজন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার যথাযথভাবে এই ক্লিয়ার কভার ড্রয়িং উল্লেখ করে দেয় যাতে মরিচা লেগে ভবনের ক্ষতি সাধিত না হয়। এরপর অবশ্যই ভালো মানের কংক্রিট ব্যবহার করতে হবে এবং ভালো মানের কংক্রিটের জন্য উন্নত সিমেন্ট ও রড ব্যবহার করতে হবে।
ঢালাইয়ের সময় কংক্রিটে সিমেন্ট দ্বারা যে হাইড্রেশন বিক্রিয়া হয়, সেটির ফলে রডের চারপাশে একটি প্যাসিভ লেয়ার তৈরি করে যা রডকে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে রড ভাল স্ট্রেন্থের হতে হবে এবং ক্রোমিয়ামের মাত্রা ঠিক করতে হবে। আবার যে এ্যাগ্রেগেট বা স্টোন চিপ্স ব্যবহার করা হবে, তা ভাল গ্রেডের কৌনিক আকৃতির হবে।
কংক্রিটে বেশি পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ অতিরিক্ত পানি ক্যাপিলারি চ্যানেল তৈরি করে ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে অতি দ্রুত কংক্রিটের ভিতর প্রবেশ করিয়ে এর শক্তিমাত্রা কমিয়ে দিতে পারে যা ভিতরের রডে মরিচা পড়তে সহায়তা করে। অন্যদিকে পানি কমিয়ে দিলে কংক্রিটের নমনীয়তাও কমে যায় যা এ্যাডমিক্সার ব্যবহার করে দূর করতে হবে।
তাপমাত্রাও মরিচা হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এজন্যে খুব গরম আবহাওয়ায় কংক্রিট তৈরি না করাই ভাল অথবা তাপমাত্রা কমানোর জন্যে এ্যাডমিক্সার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন যৌগের আক্রমণে ভবনে মরিচা দেখা যেতে পারে।
ক্লোরাইড আক্রমণঃ
সিমেন্ট, পানি, এ্যাগ্রিগেট, এ্যাডমিক্সার থেকে ক্লোরাইড আক্রমণ হতে পারে যা রডে মরিচা ধরায়। কোন সিমেন্ট, এ্যাগ্রিগেট, এ্যাডমিক্সার ব্যবহার করলে ভালো হবে তা একজন কংক্রিট বিশেষজ্ঞের কাছে জেনে নেওয়া ভালো। তবে আমরা পানির বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়না। সাইটে কাজ শুরু করার আগে কংক্রিটে ব্যবহৃত পানিতে ক্লোরাইডের মাত্রা কত তা দেখে নিতে হবে। সাধারণভাবে পানের যোগ্য যে কোন পানি ব্যবহার করা উত্তম।
কারবোনেশনঃ
বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড বা পানি মিশ্রিত কার্বন ডাই অক্সাইড রডের সংস্পর্শে আসলে কংক্রিটের তৈরি প্যাসিভ লেয়ার নষ্ট করে ফেলে যা রডে মরিচা লাগায়। এটি কংক্রিটের গুণগত মানও কমিয়ে দেয়। ফেনোলফথালিন দিয়ে কারবোনেশনের মাত্রা কতটুকু তা জানা যায়।
ফিচার বিজ্ঞাপন
নির্ভেজাল ও নিস্কন্টক প্লটে বিনিয়োগের নিশ্চয়তা
কানাডা ভিসা
৩০০ফিট ও জিন্দা পার্ক প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
সালফেট আক্রমণঃ
এই সালফেট আক্রমণ সাধারণত মাটিতে হয়ে থাকে। এর ফলেও মরিচা লেগে থাকে। ফলে মাটির উপরে যে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই সিমেন্ট মাটির নীচে কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩৫১ বার পড়া হয়েছে




