চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় আছে ২০০ বছরের পুরোনো এক বাতিঘর। ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে কর্ণফুলি নদীর মোহনা থেকে ৪০ মাইল দূরে কুতুবদিয়ায় বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। বাতিঘর বা লাইট হাউসের আলো দেখেই রাতে সমুদ্রের নাবিকরা দিক নির্দেশনা পেয়ে থাকেন। সেইসঙ্গে সমুদ্রের অগভীর অঞ্চল সম্পর্কে নাবিককে সতর্ক করতে বাতিঘর ব্যবহার করা হয়।
১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার জাহাজ চলাচলের উপযোগী করে চট্টগ্রাম নৌবন্দর গড়ে তোলে। প্রাথমিকভাবে দুটি অস্থায়ী জেটি তৈরি করা হয়েছিল। এরও বহু আগে থেকে চট্টগ্রামে জাহাজ চলাচল করত। ক্যাপ্টেন হেয়ারের পরিচালনায় এবং ইঞ্জিনিয়ার জে এইচ টুগুডের নকশায় এ বাতিঘর নির্মাণ করা হয়। ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দে বাতিঘরটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। সে সময়ে এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৪২৮ টাকা। বাতিঘরের ভিত্তিভূমিতে পাথর স্থাপন করা হয়। ভিত্তির উপর গড়ে তোলা হয় ১২০ ফুট উচ্চতার টাওয়ার।
এর ৬টি কামরায় পাটাতন ও সিঁড়ি ছিল কাঠের। সর্বোচ্চ কামরায় ৮ ফিতার ল্যাম্প বসানো হয়েছিল। ল্যাম্পের জ্বালানি ছিল নারকেল তেল। বাতিঘরের নিচতলা ছিল মাটির নিচে এবং এর দেয়াল ছিল খুবই পুরু। ৮ তলা এ বাতিঘরের প্রতি তলার উচ্চতা ছিল প্রায় পাঁচ মিটার। প্রতিটি ঘরে ছিল কাচের জানালা। সবচেয়ে উপরের ঘরে জ্বালানো হতো বাতি। একটি কাঠের ফ্রেমে রাখা বাতিটি প্রতিদিন সূর্যাস্তের আগে জ্বালানো হতো।
বাতিঘরটি ১৮৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমগ্র লাইট হাউস নড়বড়ে হয়ে যায়। ১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে স্থায়ী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় লাইট হাউসটি। এর আগ পর্যন্ত বাতিঘর বিরামহীন আলো দিয়েছে সমুদ্রগামী নাবিকদের। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত দেখা যায় লাইট হাউসের আলো।
যদিও আগের বাতিঘরটি সমুদ্রে বিলীন হয়েছে। তবে এখনো ভাটার সময় বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ জেগে উঠতে দেখা যায়। বাতিঘর এলাকায় পরে যে বাতিঘর তৈরি করা হয়েছিল, সেটিই এখন নাবিকদের পথ দেখায়। কক্সবাজারের এ বাতিঘর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি স্থান। তাই প্রতিদিন এখানে পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ইস্তানবুল, কাপাডোসিয়া ও কুসাডাসি ৭দিন ৬রাত
Manila & Cebu 5D/4N
ইস্তানবুল ও কাপাডোসিয়া ৫দিন ৪ রাত
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে একটি নতুন বাতিঘর নির্মিত হয়েছে ১৯৭২ সালে। বড়ঘোপ বাজার থেকে সমুদ্রসৈকত ধরে উত্তর দিকে কিছুদূর গেলেই বর্তমান বাতিঘরের অবস্থান। বাতিঘরটি তৈরি করা হয়েছে ইস্পাতের কৌণিক দণ্ড ব্যবহার করে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে একমাত্র ওয়্যারলেস যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে ১৫টি ব্যাটারিতে চার্জ করা হয়। ওই ব্যাটারির মাধ্যমে বাতিঘরে আলো জ্বালনো হয়।
Source: jagonews24
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৪৯ বার পড়া হয়েছে